শীতকালে শিশির পড়ে কেন - শিশির কোন ফুলে পড়ে
প্রিয় পাঠক আপনি কি শীতকালে শিশির পড়ে কেন সে সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কেননা আজকের আর্টিকেলটিতে শীতকালে শিশির পড়ে কেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই শীতকালে শিশির পড়ে কেন তা জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
নিচে আপনাদের জন্য কোন ঋতুতে শিশির পড়ে, এবং শীতকালে শিশির পড়ে কেন ইত্যাদি বিষয়গুলো ধাপে ধাপে আলোচনা করা হয়েছে। যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই শীতকালে শিশির পড়ে কেন তা জেনে নিতে পারবেন। তাই দেরি না করে আর্টিকেলটি পড়ে শীতকালে শিশির পড়ে কেন জেনে নিন।
পেজ সূচিপত্রঃ শীতকালে শিশির পড়ে কেন - শিশির কোন ফুলে পড়ে
কোন ঋতুতে শিশির পড়ে
কোন ঋতুতে শিশির পড়ে - নতুন ঋতুর আগমন বদলে দেয় প্রকৃতির রূপ। হেমন্ত ঋতুতে শীতের আগমন ঘটে। তাই হেমন্ত ঋতুকে বলা হয় শীতের বাহন। হেমন্ত ঋতু থেকে গ্রামগঞ্জে শীত পড়তে শুরু করে। এই হেমন্ত ঋতুকে সবচেয়ে চেনা যায় ভোরের শিশিরে। অর্থাৎ হেমন্ত ঋতুতে ভোর বেলায় খুব শিশির পড়ে। আশা করি কোন ঋতুতে শিশির পড়ে সে সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন।
সন্ধ্যা বেলায় শিশির পড়ে না কেন
প্রিয় পাঠক আপনারা অনেকেই দেখে থাকেন সকালবেলা শিশিরে ঘাস ঢেকে থাকে। কিন্তু অনেক সময় সন্ধ্যা বেলায় শিশির পড়ে না। এখন আপনাদের অনেকের মধ্যে এই প্রশ্নটি হতে পারে যে সন্ধ্যা বেলায় শিশির পড়ে না কেন। আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন যে সন্ধ্যা বেলায় শিশির পড়ে না কেন।
আরো পড়ুনঃ শীতের আগমনে বার্তা নিয়ে কবিতা ও উক্তি
বাতাসের জলীয় বাষ্প ধারণ করার একটি সীমা রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্প ধারণ করার নির্ভর করে তাপমাত্রার উপর। তাপমাত্রা বেশি হলে বাতাস জলীয় বাষ্প ধারণ বেশি করে আবার তাপমাত্রা কম হলে বাতাস জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারে না। বাতাসের একপর্যায়ে জলীয় বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়। ঠিক তখনই সেগুলো শিশির আকারে ঝরে পড়ে। সন্ধ্যার সময় বাতাসের জলীয় বাষ্প ধারণ করার ক্ষমতা বেশি থাকে বলে সন্ধ্যা বেলায় শিশির পড়ে না।
গরম কালে শিশির জমে না কেন
আপনারা জানেন যে গরমকালের শিশির জমেনা। শীতকালে শিশির জমে থাকে। কিন্তু গরমকালে শিশির জমে না কেন সে সম্পর্কে অনেকেই জানে না। আজকে আপনাদের জানানো হবে গরম কালে শিশির জমে না কেন সে সম্পর্কে। তাহলে চলুন গরমকালে শিশির জমে না কেন জেনে নিন।
গ্রীষ্মকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যাধিক হয়ে থাকে। গরমকালে খুব বেশি তাপমাত্রায় জলীয় বাষ্প ঘনীভূত হতে পারে না বলে দেখা যায় যে গরমকালে শিশির জমে না। মূলত এই কারণেই গরমকালে শিশির জমে না। আশা করি গরম কালে শিশির জমে না কেন তা জানতে পেরেছেন।
শীতকালে শিশির পড়ে কেন
শীতকালে শিশির পড়ে কেন? শীতকালে শিশির পড়ে কেন তা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না। বাতাসে যে পরিমাণ জলীয় বাষ্প থাকবে তা প্রাথমিকভাবে তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে। ঠান্ডা বাতাস গরম বাতাসের মতো জলীয় বাষ্প ধরে রাখে না। আপেক্ষিক আর্দ্রতা হল একটি অনুপাত যা বর্তমানে বাতাসে কতটা জলীয় বাষ্প ধারণ করছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাতাসের পক্ষে কতটা ধরে রাখা সম্ভব। তাপমাত্রা কমার সাথে সাথে আপেক্ষিক আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুনঃ লেবু দিয়ে পাকা চুল কালো করার উপায়
একবার এটি ১০০% আর্দ্রতায় পৌঁছে গেলে, অতিরিক্ত জলীয় বাষ্প পৃষ্ঠের উপর শিশির হিসাবে ঘনীভূত হয় (যদি পৃষ্ঠের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের উপরে হয়) বা হিম (যদি পৃষ্ঠের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে থাকে)। এটি একই প্রক্রিয়া যা কোল্ড ড্রিঙ্কের বাইরে ঘনীভূত করে।
শিশির কোন ফুলে পড়ে
শিশির কোন ফুলে পড়ে তা কি আপনারা জানেন? হেমন্ত কাল শীতের আগমন ঘটায়। তাই হেমন্তকাল থেকে শিশির পড়তে দেখা যায়। শীতের এই শিশির রাতে বাতাসের আদ্রতা বেশি হয়ে গেলে জমিনে ঘাস পাতা ফল ফুলে পড়ে থাকে। গাঁদা, কসমস, ডালিয়া, গন্ধরাজ, দেবকাঞ্চন, বোতাম ফুল, চন্দ্রমল্লিকা, পপি, পেটুনিয়া, মোরগ ফুল ইত্যাদি সকল ধরনের ফুলে শিশির পড়তে দেখা যায়।
শিশির ও কুয়াশার পার্থক্য
কুয়াশা এবং শিশির দুটি একই রকম মনে হলেও শিশির ও কুয়াশার পার্থক্য রয়েছে। কুয়াশা এবং শিশির উভয়ই বাতাসে আর্দ্রতার উপস্থিতির সাথে সম্পর্কিত, তবে তারা তাদের গঠন এবং চেহারাতে আলাদা। চলুন কুয়াশা ও শিশিরের মধ্যে পার্থক্য জেনে নিন।
কুয়াশা হল একটি মেঘ যা মাটির স্তরে বা তার কাছাকাছি তৈরি হয় যখন আর্দ্র বায়ু ঠান্ডা হয় এবং তার স্যাচুরেশন পয়েন্টে পৌঁছায়, যার ফলে জলের ফোঁটা তৈরি হয় এবং বাতাসে স্থগিত থাকে। কুয়াশা প্রায়ই ঘন হয় এবং উল্লেখযোগ্যভাবে দৃশ্যমানতা হ্রাস করতে পারে, এটি দেখতে কঠিন করে তোলে।
অন্যদিকে, শিশির হল আর্দ্রতার একটি পাতলা স্তর যা ঘাস, পাতা এবং গাড়ির উইন্ডশীল্ডের মতো পৃষ্ঠের উপর তৈরি হয়, যখন তারা ঠান্ডা হয় এবং বাতাসের আর্দ্রতা তাদের উপর ঘনীভূত হয়। শিশির সাধারণত পরিষ্কার, শান্ত রাতে তৈরি হয়, যখন মাটি ঠান্ডা হয় এবং বায়ুমণ্ডলে তাপ বিকিরণ করে, যার ফলে মাটির কাছাকাছি বাতাস শীতল হয় এবং তার শিশির বিন্দুতে পৌঁছায়।
সুতরাং, কুয়াশা হল একটি মেঘ যা মাটির কাছে তৈরি হয়, যখন শিশির হল আর্দ্রতার একটি স্তর যা পৃষ্ঠের উপর তৈরি হয়। কুয়াশা দৃশ্যমানতা হ্রাস করে এবং কয়েক ঘন্টা বা এমনকি দিন ধরে চলতে পারে, যখন শিশির সাধারণত সকালে চলে যায় এবং দৃশ্যমানতার উপর খুব কম প্রভাব ফেলে।
শিশির জমে বরফে পরিণত হলে তাকে কি বলে
শিশির জমে বরফে পরিণত হলে তাকে কি বলে তা কি জানেন? আমরা জানি যে শিশির জমে বরফে পরিণত হয়। কিন্তু আমরা অনেকে জানিনা যে শিশির জমে বরফে পরিণত হলে তাকে কি বলে। আজকে আমরা এ বিষয়ে জানব। শিশির জমে বরফে পরিণত হলে তাকে বলা হয় তুহিন।
প্রিয় পাঠক আশা করি আজকের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন এবং শীতকালে শিশির পড়ে কেন সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আর্টিকেলটিতে শীতকালে শিশির পড়ে কেন ছাড়াও বিভিন্ন বিষয় যেমন শিশির জমে বরফে পরিণত হলে তাকে কি বলে, শিশির ও কুয়াশার পার্থক্য, শিশির কোন ফুলে পড়ে ইত্যাদি বিষয়গুলো জানতে পেরেছেন। আশা করি এসকল তথ্যগুলো আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। তাই এধরণের তথ্য বেশি বেশি জানতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করুন। 21021.
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url