খুসখুসে কাশি দূর করার উপায় - পুরাতন কাশি দূর করার উপায়
খুসখুসে কাশি দূর করার উপায় গুলো আজকের এই আর্টিকেলে জানানো হবে। অনেক সময় হালকা ঠান্ডা লাগার কারণে অথবা বিভিন্ন কারণে আমাদের খুসখুসে কাশি হতে পারে। আমরা যদি খুসখুসে কাশি দূর করার উপায় জেনে রাখতে পারি তাহলে খুব সহজে ঘরোয়া পদ্ধতিতে সমাধান করতে পারব। আপনাদের সুবিধার্থে খুসখুসে কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
তাহলে চলুন দেরি না করে ঝটপট খুসখুসে কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। এর জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
সূচিপত্রঃ খুসখুসে কাশি দূর করার উপায় - পুরাতন কাশি দূর করার উপায়
- খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়
- পুরাতন কাশি দূর করার উপায়
- এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায়
- সর্দি কাশি দূর করার উপায়
- খুশখুশে কাশি দূর করার ঔষধ
- শুকনো কাশি দূর করার ঔষধ
- আমাদের শেষ কথা
খুসখুসে কাশি দূর করার উপায় - খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়
খুশখুসে কাশি হলে আমাদের বিরক্ত লাগে। যে কোন কাজ করতে ভালো লাগেনা কাজের ভেতরে মন বসে না তাই খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। বিশেষ করে শীতের সময় এই খুসখুসে কাশি বেশি দেখা যায়। খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায় নিচে উল্লেখ করা হলো।
আরো পড়ুনঃ ইমিউনিটি কি - ইমিউনিটি কাকে বলে - ইমিউনিটি বাড়ানোর উপায়
খুসখুসে কাশি দূর করার উপায়ঃ
মধু খেতে পারেন - মধুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা কাশি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনি যদি প্রতিদিন এক চামচ মধু হালকা গরম পানি করে খেতে পারেন তাহলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই খুসখুসে কাশি থেকে আরাম পেয়ে যাবেন।
তুলসী পাতা খেতে পারেন - তুলসী পাতাতে রয়েছে ভিটামিন সি ও জিংক। এটি শরীরের প্রদাহ কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার যদি খুসখুসে কাশি হয় তাহলে প্রতিদিন কয়েক চামচ তুলসির পাতা গরম পানি করে এবং মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
আদা খেতে পারেন - আদাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জীবাণুর অধি উপাদান এটি কফ এবং কাশি দূর করতে ভূমিকা রাখে। খুসখুসে কাশি দূর করার জন্য আদা ছোট ছোট করে কেটে সিদ্ধ পানিতে ভিজিয়ে সেটি পান করতে পারেন। খুসখুসে কাশি দূর করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি।
রসুন খেতে পারেন - রসুনের মধ্যে রয়েছে আমাদের দেহের জন্য উপকারী উপাদান। এবং বিভিন্ন জীবানু ধ্বংসের উপাদান রয়েছে এখানে। আপনি কিন্তু প্রতিদিন সকালে দু একটি কোয়া রসুন খেতে পারেন তাহলে এটি খুসখুসে কাশির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
মসলা চা খেতে পারেন - খুসখুসে কাশি দূর করার জন্য মসলা চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মসলা চা তৈরি করার জন্য পানিতে লবঙ্গ এলাচ দারুচিনি, গোলমরিচ সহ বিভিন্ন রকমের মসলা দিয়ে সেটিকে হারবাল চা তৈরি করতে হবে এরপরে পান করতে হবে।
পুরাতন কাশি দূর করার উপায়
শীতকালে বহু রোগ ব্যাধি দেখা যায় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো খুশখুসে কাশি, গলা ব্যথা সহ শ্বাসকষ্ট। অনেক সময় আমাদের পুরাতন কাশি থাকে পুরাতন কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে না জেনে থাকার কারণে এটি আমাদের সঙ্গী হয়ে যায়। নিচে পুরাতন কাশি দূর করার উপায় গুলো উল্লেখ করা হলো।
পুরাতন কাশি দূর করার উপায়ঃ
১। সর্দি কাশি ও ঋতু পরিবর্তনের জ্বর থেকে মুক্তি পেতে হলে এলাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং জীবানু নাশক যা ভেতরে থাকা জীবাণুগুলোকে দূর করতে সাহায্য করে। আপনার যদি পুরাতন কাশি হয়ে থাকে তাহলে এলাচ খেতে পারেন নিয়মিত। অথবা গরম পানিতে এলাচ চায়ের মত করে খেতে পারেন।
২। আমরা সকলে জানি যে পুরাতন কাশি দূর করার উপায় গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো তুলসী পাতা। তুলসী পাতার রস কাশি দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। শিশুদের জন্য কয়েকটি তাজা তুলসী পাতার সঙ্গে একটু আদার রস ও মধু দিয়ে খেতে পারেন এতে খুবই উপকারী। সকালে তুলসী পাতা রস খাওয়ার উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়।
৩। যে কোন কাশি দূর করতে মধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনার যদি পুরাতন কাশির জেগে ওঠে তাহলে আপনি নিয়মিত মধু খেতে পারেন। এর জন্য মধুগুলোকে আপনাকে গরম করে নিতে হবে এরপরে সে মধু নিয়মিত খেতে হবে। এভাবে খেতে পারলে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই আপনার পুরাতন কাশি ভালো হয়ে যাবে।
৪। গরম পানির ছ্যাকা দিতে পারেন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে কোন কাশির দূর করার জন্য গরম পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার যদি পুরাতন কাশি জেগে ওঠে তাহলে আপনি গরম পানি দিয়ে ছ্যাকা দিতে পারেন।
এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায়
খুসখুসে কাশি দূর করার উপায় গুলো জানা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এলার্জিজনিত কারণে কাশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এর জন্য আপনাকে প্রথমে আপনার কোন জিনিসে এলার্জি রয়েছে সেই জিনিসটি খুঁজে বের করতে হবে। তাহলে আপনি এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায় গুলো কার্যকরী হবে।
এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায়ঃ
১। আমাদের এলার্জির জনিত সমস্যা অনেকের প্রায় লেগেই থাকে। যার জন্য নিয়মিত ওষুধ খাওয়া হয়। সেজন্য আমাদের প্রথমে এলার্জিজনিত কারণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে। যে সকল বস্তু অথবা খাবারে আমাদের অ্যালার্জি রয়েছে সেগুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।
আরো পড়ুনঃ তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ দূর করার উপায়
২। গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেতে পারেন। এলার্জিজনিত কাশি দূর করার জন্য গরম পানিতে হলুদ মিশিয়ে খেলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। আমরা জানি যে হলুদ আমাদের জন্য অনেক উপকারী বিশেষ করে কাশি দূর করার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী।
৩। এলার্জিজনিত কাশির জন্য আদা খেতে পারেন। আদার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান যা আমাদের কাছে দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আদার সাথে লবণ মিশিয়ে নিয়মিত খেতে পারেন যা আপনাকে কাশি দূর করতে সাহায্য করবে।
৪। এলার্জিজনিত কাশির জন্য খুবই কার্যকরী মধু এবং তুলসী পাতা। মধুর মধ্যে রয়েছে আমাদের দেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান এছাড়া তুলসী পাতার মধ্যেও রয়েছে প্রয়োজনে পুষ্টি উপাদান। তাই এলার্জিজনিত কাশি দূর করার জন্য মধু এবং তুলসী পাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সর্দি কাশি দূর করার উপায়
সর্দি কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে জেনে রাখতে পারলে আমরা খুব সহজেই ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই সর্দি কাশি দূর করতে পারবো। ঋতু পরিবর্তনের কারণে আমাদের সর্দি কাশি হয়ে থাকে। সর্দি কাশির সাথে মাথা ব্যথা, বুকে ব্যথা, বুকে কফ জমে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট হওয়া এই সমস্যাগুলো দেখা যায়। নিচে সর্দি কাশি দূর করার উপায় গুলো উল্লেখ করা হলো।
আদা চা উপকারী - সর্দি কাশি দূর করার জন্য আদা চা খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এর জন্য চা তৈরি করার সময় পানিতে কুচি কুচি করে আদা কেটে দিয়ে দিতে হবে। যার ফলে সর্দির কাছে সমস্যা একেবারেই দূর হয়ে যাবে।
দুধ এবং হলুদ উপকারী - আমরা জানি যে হলুদের মধ্যে রয়েছে এন্টিভাইরাস এবং পুষ্টি উপাদান। আপনি যদি সর্দি কাশি দূর করতে চান তাহলে দুধ এবং হলুদ একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। ফলে সর্দি কাশির কষ্ট থেকে খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া যায়।
লেবু এবং মধু খেতে পারেন - আদা চা যেমন সর্দি কাশির জন্য উপকারী। ঠিক তেমন লেবু এবং মধু একই উপকার দিয়ে থাকে। এক চামচ গরম পানিতে দুই চামচ মধু এবং এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে সেটিকে খেতে পারেন। সর্দি কাশির ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী।
রসুন খেতে পারেন - সর্দি কাশির দূর করার ক্ষেত্রে রসুন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রসুনের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সর্দি কাশির মোকাবেলা করে। আপনি যদি প্রতিদিন সকালে নিয়মিত দুই থেকে তিনটি কোয়া রসুন খেতে পারেন তাহলে সর্দি কাশি থেকে সবসময় দূরে থাকবেন।
তুলসী পাতা এবং মধু - তুলসী পাতা ভালোভাবে বেটে সেটির রস বের করে নিতে হবে এরপর সেখানে এক চামচ মধু মিশিয়ে হালকা গরম করে খেয়ে নিতে হবে। তাহলে সর্দি এবং কাশি থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যাবে।
খুশখুশে কাশি দূর করার ঔষধ
আমরা যদি খুশখুসে কাশির কারণ জেনে রাখতে পারি তাহলে খুব সহজেই খুসখুসে কাশি দূর করার উপায় গুলো অবলম্বন করে এখান থেকে মুক্তি পেতে পারবো। অনেক সময় আমরা খুশখুশে কাশি দূর করার ঔষধ খেয়ে থাকি কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ধরনের ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। নিচে খুশখুশে কাশি দূর করার ঔষধ উল্লেখ করা হলো।
ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত কোন ধরনের ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। তাই আপনি যদি খুশখুসে কাশি নিয়ে খুবই সমস্যার মধ্যে থাকেন তাহলে আগে আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এরপরে ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যে সকল ওষুধ দিবে সেগুলো খেতে হবে। কিছু সিরাপের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো।
- Devas
- Adovas
- Dexpoten
- Ofcof
- Tusca
শুকনো কাশি দূর করার ঔষধ
শুকনো কাশি সহজে আমাদের ছেড়ে যেতে চাই না। এটি খুবই বিরক্ত কর একটি বিষয়। যার ফলে অনেকেই শুকনো কাশি দূর করার ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাই। কিন্তু আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি কোন ধরনের ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ অনেক সময় নিজে থেকে ওষুধ খাওয়ার ফলে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে।
আরো পড়ুনঃ চোখ ফুলে যাওয়ার কারণ - চোখের উপরের পাতা ফুলে যায় কেন
শুকনো কাশি দূর করার ঔষধঃ
- Encilor {10 mg}
- Axodin 180
- Acorex {15mg}
- Brolyt {4mg}
- Sedno {5mg}
আমাদের শেষ কথাঃ খুসখুসে কাশি দূর করার উপায় - পুরাতন কাশি দূর করার উপায়
প্রিয় পাঠক গণ আজকের এই আর্টিকেলে খুসখুসে কাশি দূর করার উপায়, শুকনো কাশি দূর করার ঔষধ, খুশখুশে কাশি দূর করার ঔষধ, সর্দি কাশি দূর করার উপায়, এলার্জিজনিত কাশি দূর করার উপায়, খুসখুসে বিরক্তিকর কাশি দূর করার উপায়, সর্দি কাশি দূর করার উপায়, পুরাতন কাশি দূর করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি সম্পূর্ণ আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে না পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে নিন।২০৭৯১
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url