চোখের ব্যথা দূর করার দোয়া - চোখের দোয়া আরবি
সূচিপত্রঃ চোখের ব্যথা দূর করার দোয়া - চোখের দোয়া আরবি
- চোখের ব্যথা দূর করার দোয়া
- চোখের দোয়া আরবি
- চোখের ব্যথা দূর করার উপায়
- চোখের ময়লা বের করার দোয়া
- শেষ কথা
চোখের ব্যথা দূর করার দোয়া| চোখের ছানি দূর করার দোয়া
মানুষের অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে চোখ। বিভিন্ন কারণে এই অঙ্গটি ব্যথা কিংবা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই চোখের যত্ন সব সময় নেয়া দরকার। চোখে ব্যথা কোন কারনে অনুভূত হলে কোরআনুল করিমে এই দোয়াটি পড়ার মাধ্যমে চোখে ব্যথা দূর করা যায়। দোয়াটি হচ্ছে-
আরবি উচ্চারণঃ لقد قمت في غفله من هدى فكسفنا عنك قطاعك اليوم حديد
বাংলা উচ্চারণঃ লাক্বাদ কুংতা ফি গাফলাতিম মিন হাজা ফাকাশাফনা আংকা গিত্বাআকা ফাবাচারুকাল ইয়াওমা হাদিদ। (সূরা ক্বফ, আয়াতঃ ২২)
আরো পড়ুনঃ খুসখুসে কাশি দূর করার উপায় - পুরাতন কাশি দূর করার উপায়
আমলঃ নামাজের পর যে ব্যক্তি এই দোয়া টা তিনবার পড়বে তার চোখের ব্যথা ইনশাল্লাহ দূর হয়ে যাবে। মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের পর চোখের ব্যথা দূর করার দোয়াটি বা চোখের ছানি দূর করার দোয়া টা তিনবার পড়ার মাধ্যমে চোখের ব্যথা থেকে মুক্ত থাকার তৌফিক দান করুক।
চোখের দোয়া আরবি| চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির দোয়া
চোখের জ্যোতি বৃদ্ধির দোয়া ও চোখের দোয়া আরবি অর্থাৎ চোখ ভালো রাখার আমল সম্পর্কে এখন আলোচনা করব। যদি যেকোনো কারণে কমে গেলে দেরি না করে মনোযোগ সহকারে এই ঈসম মুবারক (ইয়া নুরু) ২৫৬ বার পাঠ করবে। পড়ার প্রথমে ও শেষে তিনবার দুরুদ শরীফটা পাঠ করিবে।
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা ইয়া নূরান নূরী ছল্লিআলা নূরিকাল মুনিরী ওয়া আলাইহি ওয়া বারিক ওয়া সাল্লিম।
তারপর পরিষ্কার তাজা পানিতে কিংবা জমজমের পানিতে দম করে উক্ত পানি চোখে লাগাবে এবং অবশিষ্ট পানিগুলো খেয়ে নিবে। প্রত্যেক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর উভয় হাতের আঙ্গুলী সমূহ চোখের উপরে রেখে ১১ বার ইয়া নূরু পাঠ করে হাতের আঙ্গুলের উপর দম করে চোখে গুলিয়ে নিতে হবে। এছাড়াও ফুলযুক্ত একটা লবঙ্গের উপর ২১ বার নিচের দুরুদ শরীফ পাঠ করে দম করে সেই লবঙ্গটা সমাধানের মধ্যে রেখে দিবে এবং প্রতিদিন সেই সুরমা দু'বার করে চোখে লাগাবে।
আরো পড়ুনঃ বিনিয়োগের প্রকারভেদ - বিনিয়োগের বৈশিষ্ট্য
দরুদ শরীফঃ আল্লাহুম্মা সাল্লি ওয়া সাল্লিম ওয়া বারিক আলা-সাইয়েদিনা ওয়া মাওলানা মোহাম্মাদিন তিব্বিল কুলূবি ওয়া দাওয়ায়িহা ওয়া আফিয়াতিল আবদানি ওয়া শিফায়িহা ওয়া নূরিল আবচারি ওয়া জিয়ায়িহা ওয়া আলিহী ওয়া ছাহবিহী দায়িমান আবাদা।
মনে রাখতে হবে যে, একমাস পরপর আরেকটি ফুল ওয়ালা লবঙ্গ একই নিয়মে ২১ বার পাঠ করে দম করে সুর মাদানীতে রাখবে এবং আগের লবঙ্গ টি বের করে খেয়ে নিবে। সর্বদা এই আমল যথারীতি পালন করলে ইনশাল্লাহ সারা জীবন চোখে কোন রোগ বা অসুখ দেখা দিবে না। এবং চোখের জ্যোতি কমে গেলেও পুনরায় আবার বৃদ্ধি পাবে। এমন কি চশমার অভ্যাস আল্লাহর রহমতে ছুটে যাবে।
চোখের ব্যথা দূর করার উপায়| চোখের সমস্যা দূর করার উপায়
হঠাৎ করেই দেখা যায় যে মাঝেমধ্যে চোখের ব্যথা অনুভূত হয়। যে কোন ধরনের চোখের সমস্যা দূর করার উপায় জানা না থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া দরকার। চোখের ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে প্রাথমিক কিছু ধারণা নিয়ে আজকের পোস্টে হাজির হয়েছি। এগুলো অবলম্বন করলে আশা করি চোখের ব্যথা সাময়িকভাবে নিরাময় করা সম্ভব হবে।
ঠান্ডা চামচঃ একটা চামচ বরফ শীতল ঠান্ডা পানিতে ডুবিয়ে রাখার পর সেটা ঠান্ডা হলে চোখের উপর ধরতে হবে, এটাতে চোখের আরাম অনুভূত হয়। চামচের ঠান্ডা ভাব শেষ হয়ে গেলে চামচ পরিবর্তন করতে হবে।
কান্নাঃ জানেন কি চোখ ব্যথা কান্নাকাটি করেও সারানো যায়। হালকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট মূলত চোখের পানি। যা চোখের ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে ফেলতে সাহায্য করে থাকে। পাশাপাশি এটা চোখকে আদ্র রাখতে সাহায্য করে। ফলে চোখে ঘর্ষণের ফলে তৈরি ব্যথা কম হয়ে থাকে।
শসাঃ রূপচর্চার পাশাপাশি চোখের ব্যথা দূর করতেও শসা অনেক উপকারী। শসা কেটে চোখের উপর রাখলে চোখের ব্যথা দূর করে।
ঠান্ডা পানিঃ কনজাঙটাইভ বা চোখের সাদা অংশের প্রসারিত রক্তনালীর কারণে চোখ লাল হয়ে থাকতে দেখা যায়। চোখে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিলে এই যন্ত্রণাদায়ক রক্তনালী গুলা শিথিল করার মাধ্যমে লাল ভাব দূর করা যায়। ছাড়াও বরফের টুকরো পরিস্কার কাপড়ে নিয়ে আক্রান্ত চোখে ব্যবহার করার মাধ্যমেও উপকার পাওয়া যায়।
গোলাপজলঃ বন্ধ চোখে একটা তুলার বল দিয়ে গোলাপজল মাখানোর মাধ্যমে ও চোখ ব্যথার উপসর্গ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
চোখের ময়লা বের করার দোয়া
নিজের চোখ হোক বা অন্যের চোখ হোক না কেন, চোখের কোন কিছু পড়লে চোখ স্পর্শ না করে আগে হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। এতে করে চোখে ইনফেকশন হবার ঝুঁকি কম থাকে। চোখে কোন ধরনের বস্তু কনা কিংবা পোকামাকড় ঢুকলে চোখে বারবার পলক কাটতে হবে। এতে করে বাহ্যিক বস্তুটি চোখ থেকে এমনিতেই বের হয়ে আসতে পারে। চোখ যদি সেই অনাহত বস্তুটিকে বার করতে না পারে তাহলে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজে বা কারো সাহায্য নিয়ে একটা কাজ করতে পারে। আক্রান্ত চোখের পাতাটার পাপড়ির প্রান্ত টাকে ধরে উক্ত পাতাটাকে উপরের দিকে উঠাইতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ক্যালসিয়াম এর অভাব জনিত লক্ষণ
তারপর ময়লা খুজে বের করার জন্য আলোর দরকার হবে। সে বস্তুটাকে দেখামাত্রই পরিষ্কার রুমালের একটা কণা দিয়ে সেটা বের করে আনার চেষ্টা করতে হবে। এই কাজটা খুব হালকা এবং সতর্কভাবে করা বাঞ্ছনীয়। কোন ধরনের চোখের ময়লা বের করার দোয়া পড়তে হয় না। তবে আপনি চাইলে সূরা ফুরকান এর ৬৫ নম্বর আয়াত পড়তে পারেন। যার উচ্চারণ-রাব্বানাছরিফ আন্না-আজা-বা জাহান্নামা ইন্না আযা-বাহা-কা-না গারামা ইন্নাহা সাআত মোস্তাকাররাও ওয়া মুকাম্মা।
শেষ কথাঃ চোখের ব্যথা দূর করার দোয়া - চোখের দোয়া আরবি
চোখের দোয়া আরবি এবং চোখের ব্যথা দূর করার দোয়া সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোষ্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। চোখের দোয়া আরবি এবং চোখের ব্যথা দূর করার দোয়া সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।
আজ আর নয়, চোখের দোয়া আরবি এবং চোখের ব্যথা দূর করার দোয়া সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই চোখের দোয়া আরবি এবং চোখের ব্যথা দূর করার দোয়া সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬
good artikel post