রেডিওথেরাপি কাকে বলে - রেডিওথেরাপি কেন দেওয়া হয়
সূচিপত্রঃ রেডিওথেরাপি কাকে বলে - রেডিওথেরাপি কেন দেওয়া হয়
- রেডিওথেরাপি কাকে বলে
- রেডিওথেরাপি কত প্রকার
- রেডিওথেরাপি কেন দেওয়া হয়
- রেডিওথেরাপি কিভাবে দেওয়া হয়
- শেষ কথা
রেডিওথেরাপি কাকে বলে
রেডিওথেরাপি কাকে বলে বা রেডিওথেরাপি কত প্রকার এরকম অনেকের মনেই প্রশ্ন আসে। জানার আগ্রহ নিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে খোঁজ করে থাকে। তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি। এখন আলোচনা করব রেডিও থেরাপি কাকে বলে। যে চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে বিকিরণ রশ্মি ক্যান্সার চিকিৎসাতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাকে রেডিওথেরাপি বলা হয়। রেডিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সারের আক্রান্ত ব্যক্তির বিকিরণ রশ্মি চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ নাকের কালো দাগ দূর করার উপায়
এটা মূলত ব্রাকিথেরাপি এবং টেলিথেরাপির মাধ্যমে দেওয়া হয়। রোগীদের বিভিন্ন ধরনের ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে রেডিওথেরাপি সম্পর্কে। কেউ কেউ মনে করেন যে মেশিনের সাহায্যে পায়ে হাতে তাপ প্রয়োগ করানো হয় কিংবা সেঁক দেয়া হয়ে থাকে। যার কারণে পুড়ে যেতে পারে শরীরের চামড়া। কেউ কেউ আবার মনে করেন মেশিনের সাহায্যে হাত-পা বেঁধে চিকিৎসা দেয়া হয়ে থাকে। রোগীরা এসব ভেবে আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন।
এরকম ধারণা করা মোটেও উচিত না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে সাথে রেডিওথেরাপি চিকিৎসার ও যথেষ্ট পরিমাণ উন্নতি হয়েছেন। এখন ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা সাইবার নাইফ ও গা মা নাইফ রেডিয়েশন আনকোলজির যুগান্তকারী টেকনিক হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে। এতে কোন প্রকার প্রয়োজন হয় না অস্ত্রপাচারের।
রেডিওথেরাপি কত প্রকার
রেডিওথেরাপি কত প্রকার বা রেডিওথেরাপি কাকে বলে এসব মানুষ জানার জন্য ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে থাকে। আজকে আমরা এই পোস্টে সবকিছু স্পষ্ট করে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। রেডিওথেরাপি প্রয়োগ করার পদ্ধতি অনুসারে মূলত রেডিওথেরাপিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। অর্থাৎ রেডিওথেরাপি দুই প্রকার। একটা হচ্ছে ব্রাকিথেরাপি বা ইন্টার্নাল রেডিওথেরাপি এবং অপরটি টেলিথেরাপি বা এক্সটার্নাল রেডিওথেরাপি। টেলি থেরাপি হচ্ছে বিকিরণ রশ্মি। শরীরের বাইরে থেকে একটা নির্দিষ্ট ও নির্ধারিত স্থানে এটা প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ কুহেলিকা উপন্যাস - কুহেলিকা উপন্যাসের বিষয়বস্তু
এখানে ইমোবালাইজেশন ডিভাইসের মাধ্যমে রোগীকে সঠিকভাবে অবস্থান করানোর জন্য পজিশনিং করানো হয়ে থাকে। ব্রাকিথেরাপির মাধ্যমে শরীরের ভেতরে ক্যান্সার আক্রান্ত অংশে বিকিরণ রশ্মি অ্যাপ্লিকেটরের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকে। প্রধানত আমাদের দেশে স্তন, জরায়ুরমুখ, ফুসফুস, গলা, কণ্ঠনালী, মুখগহ্বর প্রভৃতি ক্যান্সারের চিকিৎসা প্রদান করা হয় টেলি থেরাপির মাধ্যমে। ব্রাকিথেরাপিও করা হয় জরায়ুর মুখে।
রেডিওথেরাপি কেন দেওয়া হয়
রেডিওথেরাপি ক্যান্সারের চিকিৎসা করার জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। সার্জারি বা অস্ত্রপাতের মাধ্যমে প্রথম অবস্থায় ক্যান্সার ঠিক করা হয়ে থাকে। তারপরে ই রেডিওথেরাপির কিন্তু দরকার পরেই। আবার কিছু জায়গাতে রেডিওথেরাপির প্রথম অবস্থাতে দরকার হয় না। যেমন মনে করেন যে কোলন ক্যান্সার। এক্ষেত্রে শুধু কেমোথেরাপি বা সার্জারিই যথেষ্ট হয়ে থাকে। দেখা যায় ৩ বছর পর হয়তো হারে বাসা বেধেছে সেই কোষ হারকে ভেঙে ফেলছে। অথবা মস্তিষ্কের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেই মুহূর্তে কিন্তু সবচাইতে জরুরি চিকিৎসা হচ্ছে রেডিওথেরাপি চিকিৎসা।
সেক্ষেত্রে যেখানে রেডিও থেরাপি লাগেই না পরবর্তীতে সেখানেও লাগতে পারে রেডিওথেরাপি। রেডিও থেরাপি ছাড়া কিছু কিছু জায়গায় তো চিকিৎসা কেমন ভালো ফলাফল পায় না। তার মধ্যে অন্যতম হদ ক্যান্সার হচ্ছে হেডনেক ক্যান্সার। এখানে রেডিও থেরাপি অসাধারণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়াও জরায়ের মুখের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অসাধারণ ভূমিকা রয়েছে রেডিওথেরাপির। এরকম ভাবে চিন্তা করলে দেখা যাবে যে মস্তিষ্কের টিউমার, স্থান ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার সহ এমন কোন জায়গা নাই যে রেডিওথেরাপির ভূমিকা কে সেখানে অস্বীকার করা যাবে।
রেডিওথেরাপি কিভাবে দেওয়া হয়
সাধারণত ১ থেকে ১০ সপ্তাহের জন্য সপ্তাহে পাঁচ দিন রেডিওথেরাপি চিকিৎসা সেশন নেওয়া হয়ে থাকে। ক্যান্সারের সামগ্রিক সংখ্যা পদ্ধতির আকার এবং প্রকারের উপর নির্ভর করে থাকে। সাধারণত 10 থেকে 30 মিনিট করে প্রত্যেকটা রেডিও থেরাপি সেশন সময় নিয়ে থাকে। প্রত্যেক সপ্তাহে প্রায় রোগীকেই থেরাপি থেকে ছুটি দিয়ে থাকে, যা সুস্থ কোষ পুনরুদ্ধারের জন্য সাহায্য করে থাকে। প্রত্যেক সেশনের সময় চিকিৎসা টেবিলে আপনাকে শুয়ে দিবে এবং আপনাকে অবস্থান করবে আপনার দল।
আরো পড়ুনঃ শীতকাল রচনা - শীতকাল রচনা প্রথম শ্রেণী
প্রাথমিক বিকিরণ শিমুলেশনের সময় ব্যবহৃত আপনার একই রকমের সংযম এবং কুশন প্রয়োগ করে থাকবে। আপনার শরীরের অন্যান্য অংশকে ক্ষতিকারক বিকিরণ থেকে রক্ষা করার জন্য কভার বা প্রতিরক্ষামূলক শিল্ডিং আপনার চারপাশে বা ওপরে স্থাপন করতে পারেন। একটা লিনিয়ার অক্সিলেটর সিস্টেম রেডিয়েশন থেরাপির জন্য ব্যবহার করা দরকার। যেটা বিকিরণ ফোকাস সঠিক অবস্থানে করতে পারে। বিকিরণ লক্ষ্য সঠিক কোনে করবার জন্য মেশিনটাকে টেবিলের চারদিকে স্থানান্তর করে।
শেষ কথাঃ রেডিওথেরাপি কাকে বলে - রেডিওথেরাপি কেন দেওয়া হয়
রেডিওথেরাপি কাকে বলে এবং রেডিওথেরাপি কেন দেওয়া হয় সে সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের পুরো পোষ্টটি ভালোভাবে পড়ুন, আশা করি সবকিছু ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। রেডিওথেরাপি কাকে বলে এবং রেডিওথেরাপি কেন দেওয়া হয় সম্পর্কে সবার আগে জানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন।
আজ আর নয়, রেডিওথেরাপি কাকে বলে এবং রেডিওথেরাপি কেন দেওয়া হয় সম্পর্কে আপনার কোন কিছু জানার থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। আশা করি আমরা আপনার উত্তরটি দিয়ে দেবো। তাহলে আমাদের আজকের এই রেডিওথেরাপি কাকে বলে এবং রেডিওথেরাপি কেন দেওয়া হয় সম্পর্কে পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে আপনার ফেসবুক ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইলে আমাদের পোস্টটি শেয়ার করতে পারেন। ধন্যবাদ। ২৩৭৬৬
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url