ওযুর ফরজ, সুন্নত ও ওযু ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

 নামাযের জন্য ওযু করা অবশ্যই শর্ত। ওযু ব্যতীত নামায হয় না। তাই আমাদের উচিত সবার ভালো করে ওযু করিয়া নামাজে শরিক হওয়া। 

হে মোমিন গন যখন তোমরা নামাজের জন্য উঠ, তখন সীয় মুখ মন্ডল, হস্ত সমূহ কনুই পর্যন্ত সম্পূর্ণ মাথা এবং পদ যুগল গীটসহ ধৌত করে নাও। ** মায়েদা-৬**



পোস্ট সূচীপত্র:

কি কি কারণে ওযু ফরজ হয়

 ১। প্রত্যেক নামাজের ক্ষেত্রে ওযু ফরজ,  সে নামাজ ফরজ হোক বা ওয়াজিব হোক সুন্নত বা নফল হোক।

২। জানাযার নামাজে ওযু করা ফরজ।

৩। সিজদায়ে তিলাওয়াতের ওযু করা ফরজ।

যেসব অবস্থায় ওযু ওয়াজিব:

১। কাবা শরীফ তাওয়াফের ক্ষেত্রে ।

২। কুরআন স্পর্শ করার ক্ষেত্রে।

যেসব কারণে ওযুর সুন্নত:

১। ঘুমানোর পূর্বে অজু করা সুন্নত।

২। গোসলের পূর্বে অজু করা সুন্নত।

ওযুর ফরজ চারটি:

(ক) সমস্ত মুখমণ্ডল একবার ধোয়া।

(খ) কনুই সহ উভয় হাত তিনবার ধোয়া।

(গ) মাথা মাসেহ করা।

(ঘ) টাখনু সহ উভয় পা তিনবার ধোয়া।

ওযুর সুন্নত :

(১) বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে ওযু শুরু করা।

(২) কবব্জি সহ উভয় হাত তিনবার ধোয়া।

(৩) কুলি করা।

(৪) নাকে পানি দেওয়া।

(৫) মেছওয়াক করা।

(৬) সমস্ত মাথায় একবার মাসেহ করা।

(৭) প্রত্যেক অঙ্গ তিনবার করে ধোয়া।

(৮) কান মাসেহ করা।

(৯) হাতের আঙ্গুল সমূহ খেলান করা।

(১০) পায়ের আঙ্গুল সমূহ খেলান করা।

(১১) ডান দিক থেকে ওযু শুরু করা।

(১২) কোরআনে বর্ণিত ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।

(১৩) গর্দান মাসেহ করা।

(১৪) ওযুর শুরুতে মেসওয়াক করা।

(১৫) দুই কান মাসেহ করা।

(১৬) এক অঙ্গের পানি শুকানোর পূর্বে অন্য অঙ্গ ধৌত করা।

 বি:দ্র: পুরুষদের ঘন দাড়ি থাকলে মুখ মণ্ডল ধোয়ার পর ভিজা হাতে তিনবার দাড়ি খিলান করতে হবে।

ওযু ভঙ্গের কারণ সমূহ:

১। প্রস্রাব পায়খানা করলে।

২। পায়খানার রাস্তা দিয়ে বায়ু নির্গত হলে।

৩। শরীরের কোন অংশ থেকে রক্ত বা পুঁজ বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে।

৪। নিদ্রামগ্ম হলে।

৫। মুখ ভরে বমি করলে।

৬। নামাজের মধ্যে উচ্চ শব্দে হাসলে।

ধন্যবাদ***

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url