আমের উপকারিতা, অপকারিতা ও ভিটামিন
আমাদের বাংলাদেশের মানুষের জন্য ফলের রাজা আম। আমের মৌসুমে গাছে এবং বাজারে বাহারি রঙের বেশ কয়েক জাতের আম পাওয়া যায়। আমাদের দেশে আমের মৌসুমে আঁশযুক্ত আবার আঁশ বিহীন অনেক আম পাওয়া যায়।
কিন্তু অনেকেই আম খাওয়ার আগে আমের উপকারিতা ও অপকারিতা জানতে চান। এর অবশ্য অনেক কারণ ও আছে আম অতিরিক্ত মিষ্টি হওয়ায় অনেকে মনে করেন চিনির ক্ষতিকর
দিকগুলো আম খেলে হয় কিনা।
অনেকে আবার মনে করেন বাচ্চাদের অতিরিক্ত আম খাওয়ালে কোন সমস্যা হয় কিনা। এছাড়াও আম খাওয়া নিয়ে মানুষের মনে হাজারো প্রশ্ন থাকে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
আমের উপকারিতা সমূহঃ
প্রিয় ভাই ও বোনেরা আম খেলে উপকার আছে তা সবাই জানলেও পাকা বা কাচা আম কি উপকার করে তা আমাদের মধ্যে অনেকেই জানে না। আমরা প্রথমে কাঁচা ও পাকা উভয় আমের উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিবো।
আমের উপকারিতা শুনলে অনেকে বেশি বেশি আম খাওয়া শুরু করবে। কিন্তু উপকারিতা জানা যেমন গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এটা মনে রাখা যে পরিমাণ এর চেয়ে বেশি আম খাওয়া যাবে না।
- বৈজ্ঞানিকভাবে জানা যায় যে প্রাকৃতিক ফল আমে উপস্থিত ক্যারোটিন শরীরে প্রবেশ করলে সেগুলো ফুসফুস মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
- সবল এবং তাজা আমি পটাশিয়ামের উপস্থিতি অনেক বেশি থাকে। আর এই পটাশিয়াম আমাদের শরীরের কোষ ও তরলের উপাদান। আমাদের শরীরের রক্তচাপ ও হৃদ স্পন্দন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে আমের এর মধ্যে থাকা পটাশিয়াম।
- আমে থাকা ভিটামিন সি ও বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানব দেহের সকল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সরাসরি ভূমিকা পালন করে থাকে।
- পাকা আম কিংবা কাঁচা আমের ভিটামিন বি-৬ উপস্থিত থাকে। আর ভিটামিন -৬ আমাদের মস্তিষ্কের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে ও কিছু জটিলতা কমাতে অনেক সাহায্য করে।
- ফলের রাজা আম থাকে ভিটামিন সি। আর ভিটামিন সি গুরুত্বপূর্ণ স্কার্ভি- তে প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- আম খেলে যুবকদের তারুণ্য ভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়। এর কারণে আমের ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বক সতেজ ও টানটান হয় এবং সতেজ থাকে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। এই ভিটামিন ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী।
- আমে এমন সব বিভিন্ন উপাদান থাকে যার কারণে কোলেস্টেরলের ক্ষতিকর মাত্রা কমাতে আম অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে।
- মানব শরীরের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পরিমাণ মতো আম খাওয়া অনেক প্রয়োজন।
- আমে কপার উপাদান উপস্থিত, এজন্য শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
আমের বিশেষ উপকারিতা ঃ
- ওজন কমায় আম।
- মনে ভালবাসা জাগায় আম।
- চোখের যত্নে আম।
- হজমে সহায়ক আম।
- হিট স্ট্রোক ঠেকাবে আম।
- রোগ প্রতিরোধে আম।
- স্মৃতিশক্তি বাড়ায় আম।
- ত্বকের যত্নে আম।
আমের অপকারিতা সমূহঃ
সকল ফলে সাধারণত যেখানে উপকারিতা থাকে সেখানে কিছু হলেও অপকারিতা থাকে। ঠিক তেমনি আমেও কিছু অপকারিতা আছে তবে আমের উপকারিতার তুলনায় অপকারিতা নগণ্য।
- এলার্জি বাড়াতে পারে।
- রক্তে শর্করা বৃদ্ধি।
- লো ফাইবার ।
- ওজন বৃদ্ধি ।
- পেটের সমস্যা হতে পারে।
তবে এই সমস্যা গুলো সব ধরনের আম খেলে হয় না। আজকাল এত বেশি প্রজাতির আম পাওয়া যায় যার কোনটায় আঁশ থাকেনা। আর এই আঁশ বিহীন আমে এই সমস্যাগুলো তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে না খেলে কিছু হয় না।
আমি কি কি ভিটামিন আছেঃ
আম হচ্ছে সকলের কাছে প্রিয় ফল যা আমরা খাদ্য হিসেবে খেয়ে থাকি। আমরা যখন জানতে পারব যে আমে কি কি ভিটামিন আছে এবং আমে কি কি উপাদান থাকে তাহলে আমরা সহজেই বুঝতে পারবো যে আমাদের শরীরে আমের উপকারিতা কত প্রয়োজন।
**তাহলে আমরা জেনে নিই আমে কি কি ভিটামিন আছে।
- আমে ভিটামিন এ ও ভিটা ক্যারোটিন, আলফা ক্যারোটিন নামের ফ্ল্যাভিনয়েডস থাকে।
- আমে বিভিন্ন রকম অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আছে।
- আমে ভিটামিন এ, সি এবং ই পাওয়া যায়।
- আমে ক্যারোটিন উপস্থিত (ফুসফুস মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়)।
- পরিপক্ক আমে পটাশিয়ামের উপস্থিতি বিদ্যমান। মানবদেহের কোষ এবং তরলের উপাদান ও রক্তচাপ ও হৃৎপিণ্ড হৃদয়ের স্পন্দন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে।
এছাড়াও অনেক কিছু ভিটামিন আমে আছে। এবার সহজেই বোঝা যায় যে যেসব সমস্যার জন্য এই ভিটামিন গুলো দরকার সে সব শারীরিক সমস্যায় আম অনেক বড় ভূমিকা পালন করে।
#ধন্যবাদ***
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url