কালোজিরা উপকারিতা, অপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম
প্রাচীনকাল থেকেই কালোজিরার ব্যবহার হয়ে আসছে একাধিক রোগের ক্ষেত্রে। তবে আমরা সাধারণত রান্নার মসলা হিসেবে কালোজিরা ব্যবহার করে থাকি। কালোজিরা মাঝারি আকৃতির একটি মৌসুমী গাছ। কালোজিরার একবার ফুল এবং একবার ফল হয়। এর ফুল আবার দুই ধরনের হয় স্ত্রী ও পুরুষ। পাঁচটি পাপড়ির বিশিষ্ট নীলছে সাদা রঙ্গের হয়ে থাকে এই ফুল এবং এর বীজ তিনকোনা আকৃতির কালো রঙ্গে হয়ে থাকে। রান্নার মসলা হিসাবে কালোজিরা খুবই জনপ্রিয় কালোজিরা। রান্নার পাশাপাশি কালোজিরার বিশেষ ঔষধি গুনাগুন রয়েছে। যার কারনে বহুকাল ধরে বিভিন্ন চিকিৎসায় কালোজিরা ব্যবহার হয়ে আছে।
পোস্ট সূচিপত্র ঃ
কালোজিরার উপকারিতা ঃ
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
- সর্দি কাশি থেকে নিরাময় করে।
- মাথা ব্যাথা দূর করে।
- চুল পড়া রোধ করে।
- দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি করে।
- এসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা সমাধান করে।
- পেটের সমস্যা সমাধান করে।
- ডায়টে কালোজিরা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
- ঘুমাতে সাহায্য করে।
- দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে অনেক উপকারী।
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
- ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে।
- জন্ডিস বা লিভারের সমস্যা সমাধান করে।
- জয়েন্ট বা হারের ব্যথার জন্য খুবই উপকারী।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
- কিডনির সমস্যা দূর করে।
- হাঁপানি থেকে মুক্তি দেয়।
- মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
- পিরিয়ডের সমস্যা সমাধান করে।
- মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধিতে খুবই উপকারী।
- শিশুর দৈহিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা ও বৃদ্ধি করে।
- চর্ম রোগ থেকে নিরাময় করে।
কালোজিরা খাওয়ার অপকারিতাঃ
কালোজিরার যেমন ভালো দিক রয়েছে তেমনি কালোজিরার কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও আছে। অতিরিক্ত পরিমাণ কালোজিরা খাওয়ার ফলে শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে কালোজিরা সেবন করলে কি কি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে নিন্ম তার বর্ণনা দেওয়া হলোঃস
- কালোজিরার তেল অতিরিক্ত পরিমাণে ত্বকে বা স্ক্রিনে লাগালে এলার্জি হতে পারে। সেজন্য পরিমান মত কালোজিরা তেল ব্যবহার করা উচিত।
- কালোজিরা অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে শরীরের রক্ত জমাট বাঁধা কমে যেতে পারে। যার ফলে রক্তপাত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে কালোজিরা না খাওয়াই ভালো।
- অতিরিক্ত পরিমাণে কালোজিরা খেলে রক্তে শর্করা পরিমাণ কমে যেতে পারে। যদি কারো শরীরে ডায়াবেটিস এর সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই শরীরের শর্করার চেকআপ করুন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পর কালোজিরা খেতে পারেন।
কালোজিরার পুষ্টি উপাদানঃ
কালোজিরা নানা ধরনের রোগ ব্যাধি থেকে নিরাময়ী দিতে সক্ষম। কারণে এতে উপস্থিত রয়েছে প্রায় শতাধিক পুষ্টি ও উপকারী উপাদান। কালোজিরা থেকে যে তেল পাওয়া যায় তা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বর্তমানে কালোজিরার তৈরি ক্যাপসুল ও বাজারে পাওয়া যায়।
- আমিষ ২১ শতাংশ।
- শর্করা ৩৮ শতাংশ।
- ভেষজ তেল ও চর্বি ৩৫ শতাংশ।
- প্রোটিন ২০৮ মাইক্রগ্রাম।
- ক্যালসিয়াম ১.৮৫ মাইক্রগ্রাম।
- আইরন ১০৫ মাইক্রগ্রাম
- ফসফরাস ৫.২৬ মিলিগ্রাম।
- কপার ১৮ মাইক্রগ্রাম।
- জিংক ৬০ মাইক্রগ্রাম।
- ইয়াসিন ৫৭ মাইক্রগ্রাম।
- ভিটামিন বি১ ১৫ মাইক্রগ্রাম।
- ফোলাসিন ৬১০ আইউ।
কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ঃ
আজ আমরা আপনাদের সামনে কালোজিরার একটি একাধিক উপকারিতা তুলে ধরেছি কিন্তু কালোজিরা খাওয়ার একাধিক উপায় রয়েছে আমরা সকলেই হয়তো কম বেশি কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম জানি। আবার অনেকেই হয়তো জানি না। আসুন এক নজরে দেখিনি কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম।
কালোজিরা তরকারির মসলা হিসেবে খেতে পারেন
কালোজিরা তেল মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন
কাঁচা কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়া যায়
রুটি বানানোর সময় কাঁচা রুটির উপর কালোজিরা ছড়িয়ে দিতে পারেন
চাঁটনী রান্না করার সময় কালোজিরা ব্যবহার করতে পারেন
সিঙ্গারা, নিমকি ও বিস্কুটসহ মিষ্টির মত একাধিক খাবারের কালোজিরা ব্যবহার করা যায়
কালোজিরার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনাদের বিস্তারিত জানালাম ভালো লাগলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন
ধন্যবাদ***
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url