বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়কর স্থান সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত
গ্রেট ব্যারিয়ার রীফ
পৃথিবীর সর্ব বৃহৎ প্রবাল প্রাচীর অস্ট্রেলিয়ার উত্তরপূর্ব অবস্থিত। প্রায় ২০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রবাল প্রাচীর পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। গ্রেট ব্যারিয়ার রীফ ইউনেস্কো কর্তৃক ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী প্রদানের অংশ। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড এ অবস্থিত গ্রেট ব্যারিয়ার রীফ শুধু বিশ্বের বিখ্যাত পর্যটন স্থানই নয় বরং এটি একটি সমৃদ্ধ বৈজ্ঞানিক নিদর্শন। জীববৈচিত্র ভরা ছোট- বড় মিলিয়ে ৯০০টি দ্বীপ রয়েছে এ প্রবাল প্রাচীরটিতে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলজ প্রাণী থেকে শুরু করে বিশাল তিমি সহ সবই আছে এখানে। বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চার্যের চার্জের মধ্য গ্রেট ব্যারিয়ার রীফ অন্যতম।
আরো পড়ুনঃ লালবাগের কেল্লা লালবাগ ঢাকা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
মাউন্ট এভারেস্ট
মাউন্ট এভারেস্ট পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক বিস্ময়। এটি নেপালে দেশে অবস্থিত। এভারেস্টের চূড়ায় প্রথম পা রাখেন নিউজিল্যান্ডের এডমন্ড হিলারি এবং নেপালের তেনজিং নোরগে, ১৯৫৩ সালে ২৮ মে। মাউন্ট এভারেস্ট হিমালয় পর্বতমালার একটি অংশ, সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে শীর্ষ বিন্দুর উচ্চতার হিসেবে এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ। সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে এর উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটা (২৯,০২৯ ফুট)। পৃথিবীর এই উচ্চতম পর্বত শৃঙ্গ সব ধরনের পর্বতারোহীদের আকর্ষণ করে।পর্বতারোহীদের নেপালের পর্যটন আয়ের অন্যতম প্রধান উৎস কারণ এভারেস্ট পর্বতশৃঙ্গ আরোহণে ইচ্ছুক প্রত্যেক পর্বতারোহীকে নেপাল সরকারের কাছ থেকে ২৫ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের ব্যয়বহুল পারমিট সংগ্রহ করতে হয়। এতে আরোহন করতে গিয়ে এ পর্যন্ত ২১০ জন পর্বতারোহী প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে ৮ জন ১৯৯৬ সালে পর্বতের অত্যান্ত উঁচুতে ঝড়ের কবলে পড়ে প্রাণ হারান। ডেথ জোনে আবহাওয়া এতটাই প্রতিকূল যে বেশির ভাগ সময় হতভাগ্য পর্বতারোহী মৃতদেহ সেখান থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় না।
নর্দান লাইটস
আকাশে এক ধরনের প্রাকৃতিক আলোর প্রদর্শনী হলো নর্দান লাইটস। পৃথিবীর দুই মেরুর আকাশে ঘটে যাওয়া এক নৈসর্গিক প্রাকৃতিক ঘটনা। উত্তর মেরু অঞ্চলে রাতের আকাশে উজ্জ্বল আলোক রশ্মিকে নর্দান লাইটস বলে। আর দক্ষিণ মেরুতে সাউর্দান লাইটস বলে। নর্দান লাইটস সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর এবং মার্চ থেকে এপ্রিলে দেখা যায়।
আরো পড়ুনঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সোনা মসজিদের ইতিহাস
প্যারিক্যুটিন আগ্নেয়গিরি
প্যারিক্যুটিন আগ্নেয়গিরি পৃথিবীর পশ্চিম গোলার্ধের আগ্নেয়গিরি। এটি মেক্সিকো দেশে অবস্থিত। মেক্সিকো শহর থেকে ৩২২ কিলোমিটার পশ্চিমে এই আগ্নেয়গিরির অবস্থান। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ২ হাজার ৮০০ মিটার। প্যারিক্যুটিন আগ্নেয়গিরি ১৯৪৩ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত সক্রিয় ছিল এবং বর্তমানে ধ্বংস হয়ে গেছে। এ আগ্নেয়গিরির নিক্ষিপ্ত গলিত লাভা, পাথর ও ছাই প্রায় ২৩৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে এবং দুটি শহর পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়।
ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত
ভিক্টোরিয়ার জলপ্রপাত বিশ্বের একটি আশ্চর্যজনক জলপ্রপাত। পৃথিবীর গভীরতম যতগুলো জলপ্রপাত আছে তার মধ্যে অন্যতম। এই জলপ্রপাত টি জাম্বিয়া ও জিম্বাবুয়ের মাঝখানে জাম্বেজি নদীর উপর অবস্থিত। জলপ্রপাতের নাম রানী ভিক্টোরিয়ার নামে নামকরণ করেন অভিযাত্রী ডেভিড লিভিংস্টোন। স্থানীয়রা এটিকে 'মসি ওয়া তুনইয়া' নামে ডাকে। যার অর্থ হচ্ছে যে "ধোঁয়া বজ্রধ্বনি করে"। ১০৮ মিটার গভীর এই জলপ্রপাতটি এমন কুয়াশার সৃষ্টি করে যা ২০ কিলোমিটার দূর থেকে দেখা যায়।
আমারে এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাবেন ধন্যবাদ**
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url