বিশ্ব ভালোবাসা দিবস (Valentines day) ১৪ই ফেব্রুয়ারি

বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ১৪ই ফেব্রুয়ারি। এই ১৪ই ফেব্রুয়ারি দিনটি কে ভ্যালেন্টাইনস ডে, হিসেবে উদযাপন করা হয় বিশ্বব্যাপী। এই দিনে স্বামী-স্ত্রীর বাবা-মা ভাই বোন প্রিয় বন্ধুরা মিলিত হয় ভালোবাসার বন্ধনে। ভ্যালেন্টাইনস ডে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র বা পাশ্চাত্য সমাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও বর্তমান বিশ্বব্যাপী আনন্দ উন্মাদনার সঙ্গে পালন করা হয়। বর্তমানে ১৪ ফেব্রুয়ারি উৎসবে পরিণত হয়েছে । এই দিনে পার্ক থেকে শুরু করে বিনোদন কেন্দ্র গুলিতে উপচেপড়া ভিড়। সবাই এই দিনটিকে  নিজের মত করে পালন  করে।



আরো পড়ুনঃ বিশ্ব বাবা দিবস বা পিতৃ দিবস ২০২৪ কত তারিখ

বিশ্ব ভালবাসা দিবস 

ভালোবাসা দিবস বা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স দিবস যাকে অন্যভাবে সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স উৎসব বলা হয়। একটি বার্ষিক উৎসবের দিন যা ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা এবং অনুরাগের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়। প্রথমদিকে এটি  সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন্স নামক একজন অথবা দুজন খ্রিস্টান শহীদকে সম্মান জানাতে খ্রিষ্ট ধর্মীয় উৎসব হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল। পরবর্তীতে লোক ঐতিহের ছোঁয়ার মধ্য দিয়ে এটি বিভিন্ন দেশে আস্তে আস্তে প্রেমও ভালবাসার সংস্কৃতি, ধর্মীয় ও বাণিজ্যিক একটি আনুষ্ঠানিক দিবসে পরিণত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয়ে থাকলেও বাংলাদেশসহ অধিকাংশ দেশেই দিনটি ছুটির দিন নয়।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব মা বা মাতৃ দিবস কত তারিখ ২০২৪ খ্রিঃ

ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস

অনেকের ধারণা প্রাচীন রোমে ১৪ই ফেব্রুয়ারিতে রোমানদের দেব- দেবীর রানী জুনোর সম্মানের ছুটির দিন। জুনোকে নারী ও প্রেমের দেবী বলে লোকে বিশ্বাস করত। অনেকের মধ্যে এটাই ছিল ভালোবাসার দিবস বা সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স ডে একটি বার্ষিক উৎসবের দিন যা ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা এবং অনুরাগের মধ্যে উদযাপিত হয়। দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয়ে থাকে, যদিও অধিকাংশ দেশেই দিনটি ছুটির দিন নয়। ২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনস নামে একজন খ্রিস্টান পাদ্রি ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচার অভিযোগে তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাকে বন্দি করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিল। বন্দি অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন।

আরো পড়ুনঃ জাতীয় ভোটার দিবস ২রা মার্চ 

এতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন্স এর জনপ্রিয়তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিল। এরপর ৪৯৬ সালে পোপ সেন্ট জেলাসিউও প্রথম জুলিয়াস ভ্যালেন্টাইন্স স্মরণে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইনস দিবস ঘোষণা করেন। খ্রিস্টান জগতে পাদ্রি সাধু সন্তানদের স্মরণ ও কর্মের জন্য এ ধরনের অনেক দিবস রয়েছে।

পাশ্চাত্যের ক্ষেত্রে জন্মদিনের উৎসব ধর্ম উৎসব সর্বক্ষেত্রেই ভোগের বিষয়টি মুখ্য। তাই গির্জা অভ্যন্তরেও মধ্যপানে তারা কশুর করে না। খ্রিস্টীয় এই ভ্যালেন্টাইনস দিবসে চেতনা বিনষ্ট হওয়ায় ১৭৭৬ সালে ফ্রান্স সরকার কর্তৃক ভ্যালেন্টাইনস উৎসব নিষিদ্ধ করা হয়। ইংল্যান্ডের ক্ষমতাসীন পিউরিটানরা ও একসময় প্রশাসনিকভাবে দিবস উদযাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এছাড়া অস্ট্রিয়া হাঙ্গেরি ও জার্মানিতে বিভিন্ন সময়ে এ দিবস প্রত্যাখ্যাত হয়। সম্প্রীতি পাকিস্তানেরও ২০১৭ সালে ইসলামবিরোধী হওয়ায় ভ্যালেন্টাইন্স উৎসব নিষিদ্ধ করে সে দেশের আদালত।  বর্তমান কালে পাশ্চাত্যে এ উৎসব মহাসমারোহে উদযাপন করা হয়। যুক্তরাজ্যে মোট জনসংখ্যার অর্ধেক প্রায় ১০০ কোটি পাউন্ড  ব্যয় করে এই ভালোবাসা দিবসের জন্য কার্ড, ফুল, চকলেট ও অন্যান্য উপহারসামগ্রী ও শুভেচ্ছা কার্ড ক্রয় করতে, শুভেচ্ছা এবং আনুমানিক প্রায় ২.৫ কোটি শুভেচ্ছা কার্ড আদান-প্রদান করা হয়।

আরো পড়ুনঃ বিশ্ব ডাক দিবস (World Post day) ২০২৪

বাংলাদেশে ভালবাসা দিবস পালিত 

বাংলাদেশে বর্তমানে দিবস পালন ও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে তরুণ সমাজের কাছে। পাশ্চাত্য সংস্কৃতি ও বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতির মিশ্রণে বিভিন্ন ভাবে "বিশ্ব ভালোবাসা দিবস" নামে এটি পালিত হয়। বাংলাদেশের সর্বশেষ সংষ্কারকৃত বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে ১৪ ই ফেব্রুয়ারি তারিখে বসন্ত উৎসব তথা পহেলা ফাল্গুন উৎযাপিত হয়। একই দিনে ভালোবাসা দিবস পালন করা হয় বিধায় অনেকের কাছে এই দিবসটি বেশ উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। এই দিনটি বাংলাদেশের অধুনা তরুণ সমাজ আরও ভিন্ন  উপায়ে উদযাপন করতে উৎসাহিত হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url