নামজারি কেন করবেন ও খতিয়ানের করণিক ভুল কিভাবে সংশোধন করবে

 আজ এই আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে জানাবো নামজারি কেন করবেন, খতিয়ান করনি ভুল কিভাবে সংশোধন করবেন, ই-নামজারি আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।


আরো পড়ুনঃ উচ্চ রক্তচাপ ও রক্তে অতিমাত্রায় কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ, সুস্থ থাকার অন্যতম উপায়

নামজারি কেন করবেন

  • সাবেক মালিকের পরিবর্তে নতুন মালিকের নাম রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত থাকে বলে সাবেক মালিক এই জমি একাধিকবার বিক্রয় করতে পারে না।
  • নতুন মালিকের নিজ নামে স্বতন্ত্র খতিয়ান সৃষ্টি হওয়ার ফলে উহা জমির মালিকানার প্রমাণ হিসেবে সর্বক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হয়।
  • খারিজ খতিয়ানের উপর ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদ করা যায়। উক্ত দাখিলা ভূমির মালিকানা ও দখল প্রমাণ করে।
  • গৃহ নির্মাণ, ব্যাংক ঋণ, জমি বিক্রয় প্রগতি কাজের জন্য নামজারি ও জমা খারিজ আবশ্যক।

যথা সময়ে নামজারি না করার অসুবিধা

  • অসাধু বিক্রেতা/পূর্বের মালিক একই জমি একাধিক স্থানে বিক্রয় করতে পারে । পরবর্তী ক্রেতা পূর্বে খারিজ করে নিতে পারে। ফলে অহেতুক মামলা মোকাদ্দমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • যৌথ খতিয়ানের জমি দখল নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
  • নিজ নামে ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদ করা যায় না।

ই- নামজারি আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র প্রয়োজন।

  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি।
  • জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি/ জন্ম নিবন্ধনের কপি /পাসপোর্টের কপি।
  • ভূমি উন্নয়ন কর (খাজনা) পরিষদের দাখিলার কপি (হাল সন পর্যন্ত)।
  • আর,এস খতিয়ান এর জাবেদা কপি।
  • সর্বশেষ মালিকের নামীয় খতিয়ান/প্রস্তাবিত খতিয়ানের কপি।
  • মূল দলিলের ফটোকপি অথবা উক্ত দলিলের সার্টিফাইড কপি।
  • বন্টননামা/বাটোয়ারা দলিল (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • পিট দলিল/সূত্র দলিলের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • ওয়ারিশন সনদ অনধিক ৩ মাসের মধ্যে ইস্যুকৃত (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে www.land.gov.bd  এ আপলোড  পূর্বক আবেদন ফরম পূরণ করে দাখিল করুন।

খতিয়ানের করণিক ভুল কিভাবে সংশোধন করবেন

আবেদন প্রাপ্তির পর সংশ্লিষ্ট রেজিস্টারে এন্টি দিয়ে ইউনিয়ন ভূমি অফিসে প্রেরণ করা হয়। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার সরজমিন তদন্ত ও রেকর্ড পত্র যাচাই অন্তে প্রস্তাব/প্রতিবেদন উপজেলা ভূমি অফিস প্রেরণ করেন। উক্ত প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুনানির তারিখ/দিন ধার্য করে আবেদনকারী/রেকর্ডীয় মালিক এবং স্বার্থ ও সংশ্লিষ্টদের নোটিশ প্রদান করেন। ধার্য তারিখে শুনানি ও কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে খতিয়ানের করণিক ভুল সংশোধনের আদেশ দেওয়া হয়। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রেজিস্টার-২ হালনাগাদ করে দাখিল করার মাধ্যমে খতিয়ানের করণিক ভুল সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।

প্রয়োজনীয় ফি

  • আবেদনের সাথে কোট ফি ২০ টাকা।
  • নোটিশ জারি ফি ৫০ টাকা।
  • রেকর্ড সংশোধন ফ্রি ১০০০ টাকা।
  • খতিয়ান ফি (প্রতি কপি) ১০০ টাকা।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

  • সর্বশেষ নামজারি ও জমাভাগ/জমা একত্রিকরণের খতিয়ান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
  • মূল দলিলের ফটোকপি/সার্টিফাইড কপি।
  • করণিক ভুলের স্বপক্ষের কাগজপত্র বা প্রমাণপত্র।
  • হালনাগাদ ভূমি উন্নয়ন কর পরিষদের দাখিলা।
  • আদালতের রায়/আদেশ/ডিক্রি থাকলে আদেশের সার্টিফাইড কপি।
  • আদালতের রায়/আদেশ/ডিক্রি থাকলে আরজির সার্টিফাইড কপি।
  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
  • আবেদনের সাথে আবেদনকারীর সদ্য তোলা ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
  • আবেদনকারীর পক্ষে মনোনীত কোন ব্যক্তি শুনানিতে থাকতে চাইলে ছবিসহ হলফনামার কপি।
আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন ধন্যবাদ**

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url