মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) এর সংক্ষিপ্ত জীবনাদর্শ
আজ এই আর্টিকেলটিতে মানবী হযরত মুহাম্মদ (স) এর জন্ম ও পরিচয়, হিলফুল ফুজুল, গঠন নবুয়ত লাভ, সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াতের অর্থ, মক্কায় ইসলাম প্রচার, শ্রমের মর্যাদা দান, মহানবী (স) এর দয়া, মহানবী (স) এর ক্ষমা, মহানবী (স) মাতৃভক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
জন্ম ও পরিচয়
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে মক্কা নগরীতে কুরাইশ বংশে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর আব্বার নাম আব্দুল্লাহ । আমার নাম আমিনা। তাঁর দাদা আব্দুল মোত্তালিব তার নাম রাখেন মুহাম্মদ (প্রশংসিত)। আর আম্মা আমিনা তার নাম রাখেন আহমাদ (প্রশংসাকারী)
মহানবী (সা) এর জন্মের আগেই তাঁর আব্বা ইন্তেকাল করেন। আর তাঁর ছয় বছর বয়সে আম্মা ইন্তেকাল করেন। বাবা-মা হারা ইয়াতীম শিশুকে তখন থেকে লালন-পালন করতে থাকেন তাঁর দাদা আব্দুল মুত্তালিব। দাদার ইন্তিকালের পর তাঁর চাচা আবু তালিব তার লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি মহানবী (সা)- কে কে খুব আদর-স্নেহ করতেন।
আরো পড়ুনঃ নামাজের সালাম ফেরানোর পর দোয়া ও জিকির
তাঁর চরিত্র ছিল খুবই সুন্দর। শিশুকাল থেকেই তিনি সব সময় সত্য কথা বলতেন। মানুষের উপকার করতেন। বড়দের সম্মান করতেন। ছোটদের আদর করতেন। কখনো মিথ্যা কথা বলতেন না। কাউকে গালি দিতেন না। কারো সাথে ঝগড়া করতেন না। মারামারি করতেন না। হিংসা করতেন না। সকলের সাথে মিলে মিশে থাকতেন। সবাই তাকে ভালোবাসত। আদর করত। সম্মান করত। বিশ্বাস করত। আল-আমিন বলে ডাকত। আল-আমিন অর্থ বিশ্বাসী। মহানবী (সা) এর মত আমরা--
সত্য কথা বলব, মানুষের উপকার করব,
বড়দের সম্মান করব, ছোটদের আদর করব,
সকলকে ভালোবাসব, বিশ্বাস করব,
তাহলে মহানবী (সা) আমাদের ভালোবাসবেন, আল্লাহ ভালবাসবেন।
হিলফুল ফুজুল গঠন
মহানবী (স) ছোটবেলা থেকেই অপরের অধিকার সম্পর্কে অত্যন্ত সজাগ ছিলেন। শিশু অবস্থায়ই তিনি অন্যের অধিকার সংরক্ষণ করেছেন। তাঁর দুধ মা হালিমার একটি পুত্র সন্তান ছিল। তিনি তাঁর দুধ মার একটি স্তনের দুধ নিজে পান করতেন এবং অন্য স্তনের দুধ তার দুধ ভাইয়ের জন্য রেখে দিতেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি অপরের দুঃখে দুঃখ পেতেন। অন্যের কষ্টে কষ্ট পেতেন, অন্যের ব্যথায় ব্যথিত হতেন।
তিনি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন। কারও কোন অসুবিধা হলে তা দূর করার চেষ্টা করতেন। অসহায় ও নিপীড়িত মানুষকে সাহায্য করতেন। সাধ্যমত মানুষের সেবা করতেন।
জুয়া খেলা মারাত্মক অপরাধ। এতে সুসম্পর্ক নষ্ট হয়। শত্রুতা বাড়ে। অনেক কলহ ও মারামারি হয়। যুদ্ধ-বিগ্রহ ঘটে। একদা আরব দেশে ওকায মেলায় জুয়া খেলা কে কেন্দ্র করে কুরাইশ ও কায়েস বংশের মধ্যে এক ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এ যুদ্ধ দীর্ঘ ৫ বছর স্থায়ী ছিল। অনেক লোকে যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করে। মহানবী (স) নিজে তার চাচা জুবায়ের (র) এর সাথে এর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি শত্রুদের নিক্ষিপ্ত তীর গুলো সংগ্রহ করে চাচার হাতে তুলে দিতেন এটি 'হারবুল ফীজার' বা 'অন্যায় সমর' নামে পরিচিত। এ ভয়াবহ যুদ্ধের দৃশ্য দেখে মহানবী (স) এর প্রাণ কেঁদে উঠল। তিনি চিন্তা করলেন, কিভাবে দেশের শান্তি-শৃঙ্খলাচিত। এ ভয়াবহ যুদ্ধের দৃশ্য দেখে মহানবী সাঃ এর প্রান কেঁদে উঠলো তিনি চিন্তা করলেন কিভাবে দেশে শান্তি-শৃংখলা রক্ষা করা যায়? কিভাবে বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখা যায়? অসহায়দের সাহায্য করা যায়? এজন্য তিনি কয়েকজন উৎসাহী যুবককে সাথে নিয়ে একটি সেবা সংঘ গঠন করেন। আর এই সংঘের নাম রাখেন হিলফুল ফুজুল বা শান্তি সংঘ। এই সংঘের মাধ্যমে তিনি দুঃখী ও অসহায় মানুষদের দুঃখ কষ্ট দূর করার চেষ্টা করেন। সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসে। তখন মহানবী (স) এর বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর এ সংঘ করায় ৫০ বছর স্থায়ী ছিল।
আরো পড়ুনঃ সূরা মূলক বাংলা উচ্চারণ অর্থ সহ ফজিলত
নবুয়ত লাভ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) সমাজের দুরাবস্থা দেখে দুঃখ পেতেন। কষ্ট পেতেন। মানুষের নৈতিক অধঃপতন তাকে বিশেষভাবে চিন্তিত করে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার চিন্তাভাবনা ও বাড়তে থাকে। তিনি মক্কা থেকে তিন মাইল দূরে হেরা নামক পর্বতের নির্জন গুহায় আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন। তার মনে নানা চিন্তা ও প্রশ্ন জাগত। তিনি ভাবতেন আমি কে? কোথা থেকে এসেছি? কেন এসেছি? আবার কোথায় যাবো? এই পৃথিবী সৃষ্টির কি উদ্দেশ্য? মানুষ এত মারামারি কাটাকাটি কেন করে ইত্যাদি।
এভাবে মহানবী (স) এর ধ্যান ও ইবাদত চলতে থাকল। তার বয়স ৪০ বছর হলো রমজান মাসের কদর রাত মহানবী (স) হেরা গুহায় ধ্যানরত। চারদিক নীরব, নিঝুম। এমন সময় আধার গুহা আলোকিত হয়ে উঠল। আল্লাহর নির্দেশে ফেরেশতা জিবরাঈল (আ) আল্লাহর মহান বাণী সর্বপ্রথম নিয়ে আসলেন। তিনি মহানবী (স) কে লক্ষ্য করে বললেন। (ইক্বরা-পড়ুন) পড়তে বললেন কোরআন মসজিদের সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত।
সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াতের অর্থঃ
ক) (হে মোহাম্মদ!) পাঠ করুন, আপনার সেই প্রতিপালকের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন।
খ) তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত (আলাক) থেকে।
গ) পাঠ করুন আপনার সেই মহিমান্বিত প্রতিপালকের।
ঘ) যিনি শিক্ষা দিয়েছেন কলমের সাহায্যে।
ঙ) শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানতো না।
এভাবে তিনি ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করলেন।
মক্কায় ইসলাম প্রচার
মহানবী (স) নবুয়ত লাভের পর আল্লাহর তাওহীদ (একাত্ববাদ) প্রচার করতে থাকলেন। তাওহীদ অর্থ একাত্ববাদ। তিনি প্রথম তিন বছর আত্মীয়-স্বজন ও নিকটতম লোকদের কাছে গোপনে ইসলাম প্রচার করেন। তার স্ত্রী হযরত খাদিজা (রা) সর্বপ্রথম ইসলাম গ্রহন করেন। অতঃপর পুরুষদের মধ্যে হযরত আবু বক্কর (রা) এবং বালকদের মধ্যে হযরত আলী রহমাতুল্লাহ ইসলাম গ্রহণ করেন। প্রথম তিন বছরে ৪৫ জন নরনারী ইসলাম গ্রহণ করেন।
অতঃপর তিনি আল্লাহর নির্দেশে প্রকাশ্যে ইসলাম প্রচার শুরু করেন। অনেকেই ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিতে থাকলেন। কিন্তু কোরাইশ বংশের অনেক নেতা তার কথা মানল না। তারা মহানবী (স) ঘোর শত্রু হলো। মহানবী (স) উপর রেগে গেল। তার উপর অত্যাচার শুরু করল। তার চাচা আবু লাহাব তাকে পাথর ছুড়ে মারল। রক্তাক্ত করল। কেউ কেউ তাকে পাগল বলতে লাগল। তার উপর শারীরিক নির্যাতন শুরু হলো। তার মাথার ওপর ময়লা আবর্জনা রাখলে। চলার পথে কাঁটা বিছিয়ে দিল। তার অনুসারীদের উপর নির্মম অত্যাচার শুরু করল। এভাবে তারা মহানবী (স) ও তার অনুসারীদেরকে ইসলাম প্রচারে বাধা দিতে থাকল।
মহানবী (স) আল্লাহর উপর অটল বিশ্বাস ছিল। ইসলাম প্রচার করতে গিয়ে তিনি সব অত্যাচার সহ্য করলেন। সকল বাধা অতিক্রম করে তিনি ইসলাম প্রচার করলেন।
শ্রমের মর্যাদা দান
শ্রম মানে কাজ করা, পরিশ্রম করা। আমাদের মহানবী (স) সব সময় নিজের কাজ নিজেই করতেন। তিনি কখনো কাজ ফেলে রাখতেন না। কাজে অবহেলা করতেন না। নিজে কাজ করতেন অপরকে সাহায্য সহযোগিতা করতেন।
আমরা অনেক সময় কাজ করতে গেলে লজ্জা পাই। মনে করি যে, কাজ করলে লোকে আমাকে কাজের লোক বলবে, চাকর বলবে, ঘৃণা করবে, অসম্মান করবে। কিন্তু এরকম মনে করা ঠিক না। বরং কাজ করলে সকলে তাকে ভালোবাসে, শ্রদ্ধা করে স্নেহ করে, আল্লাহ তাকে ভালোবাসে মর্যাদা দান করেন।
মহানবী (স) ছেড়া জামা কাপড় নিজ হাতে সেলাই করতেন। জুতা মেরামত করতেন। জামাকাপড় ধুয়ে পরিষ্কার করতেন। ঘর ঝাড়ু দিতেন মেহমানকে নিজে খাওয়াতেন। সেবা-যত্ন করতেন। তিনি পরিবারের অন্যদের সাথে কাজ করতেন। সকলের সাথে মিলেমিশে কাজ করতেন। কাজকে ঘৃণা করতেন না।
আরো পড়ুনঃ সূরা ফাতিহা ও ছোট ১০ টি সূরা সমূহ বাংলা উচ্চারণ অর্সথহ
একটি ঘটনা
একদিন মহানবী (স) রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। দেখতে পেলেন যে এক বৃদ্ধা লোক বাগানে পানি দিচ্ছেন। পানি ছিল বাগান থেকে অনেক দূরে। বৃদ্ধ লোকটির পানি আনতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো। লোকটি ছিল চাকর মহানবীর (স) দয়া হলো। তিনি লোকটির কষ্ট দেখে এগিয়ে গেলেন। বৃদ্ধের হাত থেকে পানির পাত্রটা নিজের হাতে নিয়ে বাগানে পানি দিলেন। বৃদ্ধ লোকটি মহানবী (স) এর উপর খুব খুশি হলেন।
মহানবী (স) চাকরদের সম্পর্কে বলেছেন। যারা কাজ করে তারা তোমাদের ভাই। তাদের কষ্ট দিবে না। মর্যাদা দিবে। নিজে যা খাবে তাদের তা খাওয়াবে। নিজে যা পড়বে তাদের তা পরাবে কাজকর্মে তাদের সাহায্য করবে।
আমাদের বাসা বাড়িতে গরিব লোকজন ও মহিলারা নানারকম কাজকর্ম করে। ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা কাজকর্ম করে থাকে। আমরা তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করব। কাজের লোকজন বয়সে বড় হলে তাদের সম্মান করব। বয়সে ছোট হলে আদর স্নেহ করব। নিজেরা যা খাব তাদের ও তাই খেতে দিব। মাত্রাতিরিক্ত কাজ দিবো না। তাদের কাজে সাহায্য করবো। তাদের কষ্ট দেবো না। দুঃখ দেবো না। তারা আমাদের মত মানুষ। তারা আমাদের ভাই আমাদের মতো তাদেরও মর্যাদা আছে। আমরা তাদের মর্যাদা দেব। তাদের শ্রমের মর্যাদা দেব।
মহানবী (স) এর দয়া
মহানবী (স) ছিলেন দয়ার উজ্জ্বল আদর্শ। তিনি মানুষ পশুপাখি ও গাছপালা সকলের প্রতি দয়া প্রদর্শন করতেন। কেউ ক্ষুধার্ত হলে তাকে খাদ্য দিতেন। অসুস্থ হলে তার খোঁজখবর নিতেন, সেবা যত্ন করতেন। গরিব ভিক্ষুক ইয়াতীম ও অসহায়দের প্রতি দয়া দেখাতেন।
একদা মহানবী (স) সাহাবীদের নিয়ে বসে আছেন। এমন সময় এক ইয়াতিম বালক মহানবী (স) এর কাছে আসল। গায়ে তার জামা কাপড় নাই। দুঃখ কষ্ট সইতে সইতে তার বুকের হাড় গুলো বের হয়ে গেছে। বালকটি কাঁদতে কাঁদতে মহানবী (স) কে বলল। আমার আব্বু নাই আবু জেহেল আমাদের সম্পদ কেড়ে নিয়েছে। তার কাছে সম্পদের কিছু চাইলে সে আমাকে মারধর করে। অত্যাচার করে তাড়িয়ে দেয়। বালকটির কথা শুনে মহানবী (স) এর মনে দয়া হলো। তার চোখে পানি এলো তিনি বালকটিকে নিয়ে আবু জেহেলের কাছে গেলেন। বালকটির সব পাওনা আবু জেহেলের কাছ থেকে আদায় করে দিলেন। ইয়াতীম বালকটি খুব খুশি হলো।
তিনি শুধু মানুষের প্রতি দয়া দেখান নি, বরং আল্লাহর সকল সৃষ্টির প্রতি দয়া দেখিয়েছেন। যারা আল্লাহর সৃষ্টির প্রতি দয়া দেখায় আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন। তাদের প্রতি খুশি হন।
মহানবী (স) বলেছেন, পৃথিবীতে যারা আছে তাদের প্রতি দয়া দেখাও, তাহলে আল্লাহ তোমাদের প্রতি দয়া দেখাবেন।
আমরা দোয়া দেখাব--
ইয়াতীম, অসহায়দের প্রতি,
পশুপাখি ও গাছপালার প্রতি,
সকল মানুষের প্রতি,
আল্লাহর সকল সৃষ্টির প্রতি,
আরো পড়ুনঃ আয়াতুল কুরসী ও সূরা হাশরের শেষের ৩ আয়াত বাংলা অর্থসহ ফযীলত
মহানবী (স) এর ক্ষমা
মহানবী (স) ছিলেন ক্ষমার মূর্তপ্রতীক। তিনি শত্রু-মিত্র সবাইকে ক্ষমা করতেন। তিনি তার চরম শত্রুকে হাতের মুঠোয় পেয়েও প্রতিশোধ নেননি ।তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন।
একটি ঘটনা
মহানবী (স) গাফতানের যুদ্ধ শেষ করে বাড়িতে ফিরছেন। এক কাফির তাঁর কাছে আসলো। সে একটি খোলা তলোয়ার মহানবী (স) কে দেখিয়ে বলল, 'হে মোহাম্মদ, তোমাকে এই তলোয়ারের আঘাত থেকে কে রক্ষা করবে?" মহানবী (স) নির্ভয়ে উত্তর দিলেন "আল্লাহ"। কাফির উত্তর শুনে খুবই ভয় পেল। তার হাত থেকে তলোয়ারটি পড়ে গেল। তখন মহানবী (স) ঐ তলোয়ারটি হাতে তুলে নিয়ে তাকে প্রশ্ন করলেন, ওহে এখন তোমাকে কে রক্ষা করবে? কাফির খুব ভয় পেল। মহানবী (স) এর নিকট ক্ষমা চাইলে তিনি তাকে ক্ষমা করে দিলেন।
মক্কা বিজয়ের পর মহানবী (স) সকল মক্কাবাসীকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তাঁর ক্ষমার আদর্শে মুগ্ধ হয়ে তারা ইসলাম গ্রহণ করেছিল।
মহানবী (স) এর মাতৃভক্তি
আব্বা-আম্মা আমাদের সবচেয়ে আপনজন। বিশেষ করে আম্মা আমাদের জন্য অনেক কষ্ট করেন। তিনি স্নেহ- মমতা ও দরদ দিয়ে আমাদের লালন পালন করেন। আমাদের কল্যাণ কামনা করেন। এহেন হিতাকাঙ্খী মায়ের ভক্তি করা একান্ত কর্তব্য।
মহানবী (স) বয়স যখন ৬ বছর তখন তাঁর আম্মা আমিনা ইন্তেকাল করেন। তাই তিনি তাঁর আম্মাকে সেবা যত্ন করার সুযোগ পাননি। কিন্তু তাঁর দুধমা হযরত হালিমা (রা) কে তিনি চরম ভক্তি শ্রদ্ধা করতেন। সম্মান দিতেন।
একদিনের ঘটনা
আমাদের মহানবী (স) সাহাবিগণের সাথে বসে আছেন। সেখানে এক বৃদ্ধা আসলেন। মহানবী (স) তাঁকে দেখে আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়ালেন। বৃদ্ধাকে সম্মান করলেন। মর্যাদা দিলেন। নিজের গায়ের চাদর বিছিয়ে দিলেন। খুব যত্নের সাথে বসালেন। সাহাবিগণ অবাক হলেন। তাঁরা মহানবীকে (স) কে জিজ্ঞেস করলেন, " ইনি কে?" তিনি উত্তর বললেন "ইনি আমার দুধ মা হালিমা।
দোয়া করি আল্লাহপাক সবাইকে সুস্থ রাখুক, আল্লাহ হাফেজ**
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url