বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর ধারাসমূহ সহ বিস্তারিত

বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ 

(২০১৭ সনের ৬ নং আইন) [১১ মার্চ, ২০১৭]


Child Marriage Restraint Act, 1929 রহিতপূর্বক সময়োপযোগী করে নূতনভাবে প্রণয়নকল্পে প্রণীত আইন

যেহেতু Child Marriage Restraint Act, 1929 (Act No. XIX of 1929) রহিতপূর্বক সময়োপযোগী করে নূতনভাবে প্রণয়ন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্দ্‌বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-


আরো পড়ুনঃ

১। সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন-

 (১) এই আইন বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

২। সংজ্ঞা-

বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

(১) "অপ্রাপ্ত বয়স্ক" অর্থ বিবাহের ক্ষেত্রে ২১ (একুশ) বৎসর পূর্ণ করেন নাই এমন কোনো পুরুষ এবং ১৮ (আঠারো) বৎসর পূর্ণ করেন নাই এমন কোনো নারী:


(২) "অভিভাবক" অর্থ Guardians and Wards Act, 1890 (Act No. VIII of 1890) এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত বা ঘোষিত অভিভাবক এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির ভরণ-পোষণ বহনকারী ব্যক্তিও ইহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(৩) "প্রাপ্ত বয়স্ক" অর্থ বিবাহের ক্ষেত্রে ২১ (একুশ) বৎসর পূর্ণ করিয়াছেন এমন কোনো পুরুষ এবং ১৮ (আঠারো) বৎসর পূর্ণ করিয়াছেন এমন কোনো নারী;

(৪) "বাল্যবিবাহ" অর্থ এইরূপ বিবাহ যাহার কোন এক পক্ষ বা উভয় পক্ষ অপ্রাপ্ত বয়স্ক; এবং

(৫) "বিধি" অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি।

৩। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠন-

সরকার, বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের নিমিত্ত, জাতীয়, জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তা এবং স্থানীয় পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তি সমন্বয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠন এবং উহাদের কার্যাবলি নির্ধারণ করিতে পারিবে।

৪। বাল্যবিবাহ বন্ধে কতিপয় সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধির - সাধারণ ক্ষমতা-

 ধারা ৫ এর বিধানের সামগ্রিকতাকে ক্ষুন্ন না করিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, উপজেলা প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি কোন ব্যক্তির লিখিত বা মৌখিক আবেদন অথবা

অন্য কোন মাধ্যমে বাল্যবিবাহের সংবাদ প্রাপ্ত হইলে তিনি উক্ত বিবাহ বন্ধ করিবেন অথবা বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন।

৫। বাল্যবিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের শাস্তি। 

(১) আদালত, স্ব-উদ্যোগে বা কোন ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে বা অন্য কোন মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে, যদি এই মর্মে নিশ্চিত হন যে, কোন বাল্যবিবাহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইয়াছে অথবা বাল্যবিবাহ অত্যাসন্ন তাহা হইলে আদালত উক্ত বিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করিতে পারিবে।

(২) আদালত স্বেচ্ছায় বা অভিযোগকারী ব্যক্তির আবেদনের ভিত্তিতে উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ প্রত্যাহার করিতে পারিবে।

(৩) কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর অধীন আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করিলে তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ (দশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ১ (এক) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

আরো পড়ুনঃ

৬। মিথ্যা অভিযোগ করিবার শাস্তি-

 কোন ব্যক্তি ধারা ৫ এর অধীন মিথ্যা অভিযোগ করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৩০ (ত্রিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ১ (এক) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

৭। বাল্যবিবাহ করিবার শাস্তি-

(১) প্রাপ্ত বয়স্ক কোন নারী বা পুরুষ বাল্যবিবাহ করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

(২) অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোন নারী বা পুরুষ বাল্যবিবাহ করিলে তিনি অনধিক ১ (এক) মাসের আটকাদেশ বা অনধিক ৫০,০০০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় ধরনের শাস্তিযোগ্য হইবেন:

তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৮ এর অধীন কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের বা দণ্ড প্রদান করা হইলে উক্তরূপ অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারী বা পুরুষকে শান্তি প্রদান করা যাইবে না। (৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন বিচার ও শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে শিশু আইন, ২০১৩ (২০১৩ সনের ২৪ নং আইন) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।

৮। বাল্যবিবাহ সংশ্লিষ্ট পিতা-মাতাসহ অন্যান্য ব্যক্তির শাস্তি-

পিতা-মাতা অভিভাবক অথবা অন্য কোন ব্যক্তি, আইনগতভাবে বা আইনবহির্ভূতভাবে কোন অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির উপর কর্তৃত্ব সম্পন্ন হইয়া বাল্যবিবাহ সম্পন্ন করিবার ক্ষেত্রে কোন কাজ করিলে অথবা করিবার অনুমতি বা নির্দেশ প্রদান করিলে অথবা স্বীয় অবহেলার কারণে বিবাহটি বন্ধ করিতে ব্যর্থ হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর ও অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

৯। বাল্যবিবাহ সম্পাদন বা পরিচালনা করিবার শাস্তি-

 কোন ব্যক্তি বাল্যবিবাহ সম্পাদন বা পরিচালনা করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর ও অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।

১০। বাল্যবিবাহ বন্ধে উদ্যোগী হইবার শর্তে বাল্যবিবাহের অভিযোগ হইতে অব্যাহতি।-

 এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, আদালতের নিকট উপযুক্ত বলিয়া বিবেচিত হইলে বাল্যবিবাহের উদ্যোগের সহিত জড়িত বিবাহ সম্পন্ন হয় নাই এইরূপ অভিযুক্ত যে কোন ব্যক্তি, বিধি দ্বারা নির্ধারিত ফরমে, যদি এই মর্মে মুচলেকা বা বণ্ড প্রদান করেন যে, তিনি ভবিষ্যতে বাল্যবিবাহের সহিত সম্পৃক্ত হইবেন না এবং তাহার নিকটবর্তী এলাকায় বাল্যবিবাহ বন্ধে উদ্যোগী হইবেন তাহা হইলে মুচলেকা বা বত্তের শর্তানুযায়ী তাহাকে তাহার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করা যাইবে।

১১। বাল্যবিবাহ নিবন্ধনের জন্য বিবাহ নিবন্ধনের শাস্তি, লাইসেন্স বাতিল-

 কোন বিবাহ নিবন্ধক বাল্যবিবাহ নিবন্ধন করিলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বৎসর ও অন্যূন ৬ (ছয়) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং অর্থদণ্ড অনাদায়ে অনধিক ৩ (তিন) মাস কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং তাহার লাইসেন্স বা নিয়োগ বাতিল হইবে।

ব্যাখ্যা: এই ধারার উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, "বিবাহ নিবন্ধক" অর্থ Muslim Marriages and Divorces (Registration) Act, 1974 (Act No. II of 1974) এর অধীন লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিকাহ রেজিষ্ট্রার এবং Christian Marriage Act, 1872 (Act No. XV of 1872), Special Marriage Act, 1872 (Act No. III of 1872) ও হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪০ নং আইন) এর অধীন নিয়োগপ্রাপ্ত বিবাহ নিবন্ধক।

১২। বয়স প্রমাণের দলিল-

 বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ বা আবদ্ধ হইতে ইচ্ছুক নারী বা পুরুষের বয়স প্রমাণের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ, জাতীয় পরিচয় পত্র, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট, জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট, প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট অথবা পাসপোর্ট আইনগত দলিল হিসাবে বিবেচিত হইবে।

১৩। ক্ষতিপূরণ প্রদান।-

 (১) এই আইনের অধীন আরোপিত অর্থদণ্ড হইতে প্রাপ্ত অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রদান করিতে হইবে।।

ব্যাখ্যা: উপ-ধারা (১) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে "ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ” অর্থ বাল্যবিবাহের যে পক্ষ অপ্রাপ্ত বয়স্ক।

(২) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, ধারা ৭ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন আরোপিত জরিমানা হইতে প্রাপ্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা হইবে।

১৪। অপরাধের আমলযোগ্যতা, জামিনযোগ্যতা এবং অ-আপোষযোগ্যতা-

 এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধ আমলযোগ্য, জামিনযোগ্য এবং অ-আপোষযোগা হইবে।

আরো পড়ুনঃ

১৫। বিচার পদ্ধতি-

এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচার সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হইবে এবং এতদুদ্দেশ্য Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর Chapter XXII এ বর্ণিত পদ্ধতি প্রযোজ্য হইবে।

১৬। সরেজমিনে তদন্ত-

 আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন কোন অভিযোগ বা কার্যধারা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ঘটনার সত্যতা নিরূপণের নিমিত্ত আদালত সরেজমিনে তদন্ত করিতে পারিবে অথবা কোনে সরকারি কর্মকর্তা বা স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি বা অন্য কোন ব্যক্তিকে উক্তরূপ তদন্ত করিবার নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে এবং উক্তরূপ তদন্ত কাজ ৩০ (ত্রিশ) কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করিতে হইবে:

তবে শর্ত থাকে যে, যুক্তিসঙ্গত কারণে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে তদন্তকার্য সমাপ্ত করার সম্ভব না হইলে কারণ উল্লেখপূর্বক অতিরিক্ত ১৫ (পনের) কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কার্য সম্পন্ন করিতে হইবে এবং তৎসম্পর্কে আদালতকে লিখিতভাবে অবহিত করিতে হইবে।

১৭। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর প্রয়োগ-

 আপাতত বলবৎ অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ (২০০৯ সালের ৫৯ নং আইন) এর তফসিলভুক্ত হওয়া সাপেক্ষে, মোবাইল কোর্ট দণ্ড আরোপ করিতে পারিবে।

১৮। অপরাধ আমলে নেয়ার সময়সীমা।

 এই আইনের অধীন কোনো অপয়ার সংঘটিত হইবার ২(দুই) বৎসরের মধ্যে অভিযোগ দায়ের করা না হইলে আদালত উত্ত অপরাধ আমলে গ্রহণ করিবে না।

১৯। বিশেষ বিধান-

এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন বিধি দ্বারা নির্ধারিত কোন বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং পিতা-মাতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে প্ত বয়স্কের সর্বোত্তমাত স্বকর্মে, বিধি জামা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণক্রমে, বিবাহ সম্পাদিত হইলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না।

২০। বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা-

এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।

২১। রহিতকরণ ও হেফাজত-

 (১) Child Marriage Restraint Act, 1929 (Act No. XIX of 1929), অতঃপর উক্ত অপঃ বলিয়া উল্লিখিত, এতদ্বারা বহিত করা হইল।

(২) উপ-ধারা (১) এর অধীন রহিতকরণ সত্ত্বেও উক্ত অপঃ এর অধীন-

(ক) কৃত কোন কাজ বা গৃহীত কোন ব্যবস্থা এই আইনের অধীনকৃত বা পৃথীত বলিয়া গণ্য হইবে;

(খ) দায়েরকৃত কোন মামলা বা কার্যধারা কোন আদালতে চলমান থাকিলে উহা ছি এমনভাবে নিষ্পত্তি করিতে হইবে যেন উক্ত অপঃ রহিত হয় নাই।

২২। ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ-

 (১) এই আইন প্রবর্তনের পর সরকার সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের বাংলা পাঠের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ (Authentic English Text) প্রকাশ করিবে।

(২) বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url