লাইলাতুল ক্বদর ও ই'ত্তেকাফ এর ফজিলত
রমজানের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ রাত হল লাইলাতুল ক্বদর এই একটি রাতই হাজার মাসের চেয়েও উত্তম আল্লাহতালা পবিত্র কোরআনে বলেন-
অর্থ: মহিমান্বিত সে রজনী হাজার মাসের তুলনায় অধিক শ্রেষ্ঠ। (সূরা ক্বদর -৩)
ক্দরের রজনী হলো কবে:
সুতরাং রমজানের ২১, ২৩,,২৫, ২৭, ২৯ তম রজনী গুলোতে অনেক ইবাদত করতে হবে। শুধু ২৭ এর রাতকে নির্দিষ্ট করে নেওয়া যাবে না। অনেকে তো ২৭ এর রাতেও এবাদত করার বদলে আড্ডাবাজি ও ফুর্তি করে বেড়ায় যা একদম অনুচিত ও গর্হিত কাজ।
লাইলাতুল কদরের বিশেষ আমল
হযরত আয়েশা (রা) বলেন আমি রাসূল (সা) কে বলেছিলাম আমি যদি লাইলাতুল কদর পেয়ে যায় তাহলে কি দোয়া পড়বো? রাসুল (সা) বলেছিলেন-
উচ্চারণ : 'আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুয়্যুন; তুহিব্বুল আফওয়া; ফাফু আন্নি।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ নিশ্চয়ই আপনি ক্ষমাশীল। ক্ষমা করা আপনার প্রিয়। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দিন। (তিরমিযী-৩৫১৩)
এই একটা বিশেষ আমল ছাড়া অন্য কোন আমল সহীহ রেওয়ায়েত ঘেঁটে যাওয়া পাওয়া যায় না। তাই মনগড়া নির্দিষ্ট সূরা ও দোয়ার যে কঠিন ও দুর্বোধ্য আমলের প্রচলন সমাজের প্রচলিত আছে সেগুলো পরিত্যাগ করে স্বাভাবিক সুন্দর আমল গুলো সুন্নত তরিকায় আদায় করতে হবে।
ই'ত্তেকাফ
রমজানের আরেকটি ইবাদাত হলো ইত্তেকাফ। অর্থাৎ রমজানের শেষ ১০ দিন মসজিদে অবস্থান করা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মসজিদের সীমানার বাহিরে না যাওয়া।সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে শুধু ইবাদতে মগ্ন থাকা। ই'ত্তেকাফ সুন্নতে কিফায়া। অর্থাৎ একটি এলাকায় কিছু লোক তারা আদায় করলে সবাই তরফ করার গুনাহ থেকে বেঁচে যাবে আর কেউ আদায় না করলে সবাই গুনাহগার হবে। তবে সওয়াব শুধু যারা আদায় করবে তাদেরই হবে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url