ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের মজার গল্প যদু মাস্টার
আজ এই আর্টিকেলটিতে ছোট ছোট শিশুদের মজার গল্প যদু মাস্টার গল্পটি তুলে ধরা হলো
যদু মাস্টার
খগা বলল এই বল তুই কে কি করিস কোথায় যাচ্ছিস। এখানে এলি কেন। যদু কাঁদতে কাঁদতে সব কথা বলল। খগা ডাকাতের বোধ হয় দয়া হল। একজনকে ডেকে বলল। এই বুধো, একে খেতে দে। সবাই গোল হয়ে খেতে বসল মাঝে খগা ডাকাত বন মুরগির মাংস আর ভাত খেতে খেতে খোকা বলল দেখো মাস্টার তোমার কথা শুনে আমার খুব ভালো লাগলো তোমার কথা যদি সত্যি হয় তবে তোমার বিপদ নেই কিন্তু মিথ্যে হলে রক্ষাও নেই। খগা রাস্তা নাই ঢোকার শাস্তি তুমি পাবে আর শোনো, আমি খা খুব কৃপণ লোক তোমাকে কিছু দেবে না স্কুলের চালা তৈরি ছাত্র-ছাত্রীদের বই কেনার সাহায্য ওর কাছে পাবে না। যদি বলল আমাকে দয়া করে ছেড়ে দিন আমি না গেলে ভাঙ্গা স্কুলটিও চলবে না ও গায়ে আর কেউ পড়ালেখা করবে না আমি অন্য উপায় দেখি। আগে পেট ভরে খাও অন্য উপায় দেখতে হবেনা গম্ভীর গলায় খগা বলল। তারপর দুজনকে দেখিয়ে বলল কাল সকালে কাটোয়ার পেঁচা যাবে তোমার সাথে যদি তোমার স্কুল ছাত্র ছাত্রী পড়ানো সব কথা ঠিক থাকে তবে তোমাকে ওরা সাহায্য করবে। আর যদি মিথ্যা হয় ওই ভূইয়া বাড়ির খালের পানিতে তোমাকে ডুবিয়ে দেবো। কথাগুলো বলে খগা ডাকাত কাটোয়ার প্যাথাকে প্যাঁচার দিকে তাকালো বলল কাঠু কাটুক পেঁচা তোরা বড় মোষের গাড়িতে মাস্টারের স্কুল ঘরের জন্য ঘর নিবি আর এই নিয়ে কিছু টাকা মাস্টার এখন ঘুমাতে যাও এখন আমি চলি এই কথা বলে খোকা অন্ধকারে মিলিয়ে গেল। ভাঙ্গা বাড়ির মধ্যে কাঠুরে আর পেঁচা ডাকাতের মাঝখানে ঘরের বিছানায় শুয়ে যদি চিন্তা করতে লাল লাগলো এ কি হয় এটা কি সত্যি ফগা ডাকাতের টাকায় হবে তার স্কুল ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ল যদু।
পরদিন বিকেলে কাঠ ও পেঁচা কে সাথে নিয়ে যদু এলো ওর ইস্কুলের কাছে মোষের গাড়ি থেকে নেমে এই কাটুন বললো তবে কাজ শুরু করি মাস্টার যদি বললো একটু বিশ্রাম নাও আমাদের আবার বিশ্রাম বললো কাটো তোমার বাঁশঝাড় দেখাও বাঁশ খেতে আনি। যেহেতু সবকিছু জোগাড় করতে লাগলো পরদিন সকাল থেকে শুরু হলো পুরো কাজ।। খবর পেয়ে যদুর ছাত্রছাত্রীরাও এলো যদি ভাবে এই কাটুক পেঁচা কত কাজে না জানে অথচ এরা ডাকাতি করে। এসে স্কুলের কাজ দেখে এক গাল হেসে বলল বলিনি মাস্টার আমির কত ভালো লোক তোমার স্কুল ভর করে দেবে যদি চুপ করে থাকে স্কুল ঘরে ঘরে ছাউনি হল কাটুন বাজার থেকে চট কিনে এনে ছেলেমেয়েদের বসার ব্যবস্থা করল নতুন ঘর আর বসার জায়গা হওয়ায় নতুন ছেলে মেয়ে স্কুলে আসতে লাগলো। যদুর মনে এখন আনন্দ বৃষ্টিবাদলায় ওর স্কুল আর নষ্ট হবে না কাজ শেষ কাটো ও পেঁচা চলে যাবে যদি বলল এসো মাঝে মাঝে তোমার ওস্তাদকে এদিকে আসতে বল। পাটু পেঁচা ফিরে চলল ওদের বোদার গাতি গ্রামে যেতে যেতে পেঁচা বলল কার্টুন দেখো যদু মাস্টার কত ভালো কাজ করছে কত ছেলে মেয়ে ওর কাছে পড়ালেখার শেখে আমাদেরও তো ছেলে মেয়ে আছে চল না ওদের স্কুলে ভর্তি করি। আর আমরাও ডাকাতি ছেড়ে দেই জমি যা আছে কাজ করলেই অভাব হবে না ওস্তাদ কেউ বলি কথাটা।
দিনে দিনে যদি স্কুলের নাম ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে এখন অনেক ছেলে মেয়ে একদিন বিকেল বেলা স্কুলের বারান্দায় বসে ভাবছে যদি কত জনের কাছে টাকা চাইলাম কেউ দিল না দিল এক ঢাকা ইস ওরা যদি ভালো হতো সামনে বলল। মাস্টার আমরা ভালো হয়ে গেছি আর ডাকাতি করি না তোমাকে দেখে বুঝতে পেরেছি ডাকাতি করা ভালো নয় এখন চাষাবাদ করি সরদারও চাষাবাদ করে সরদার বলেছে তার ছেলে মেয়ে বড় হল তোমার এখানে পাঠাবে ওরা পড়ালেখা শিখবে। মাস্টার কাউকে বলনি তো আমরা ডাকাত যদি হেসে বলল না পেঁচা কাউকে বলিনি কিন্তু এখন তো তোমরা ভালো মানুষ জোদু মাস্টারের স্কুল এখন জমজমাট কোন বাড়িতে ছোট্ট ছেলে মেয়ে জন্ম নিলে ফজল চাচা সেখানে হাজির হয় স্কুলে পাঠাবে কিন্ত।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url