সূরা আল ইনশিরাহ বাংলা উচ্চারণ অর্সথহ শানে নুযূল ও ফজিলত

 সূরা আল ইনশিরাহ বাংলা উচ্চারণ অর্সথহ শানে নুযূল ও ফজিলত সম্পর্কে আজ এই আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন: সূরা আল-ইমরানের শেষ এগারোটি আয়াত বাংলা উচ্চারণ অর্থ সহ বিস্তারিত

সূরা আল ইনশিরাহ 

বাংলা উচ্চারণঃ ১. আলাম নাশরাহ্ লাকা সাদরাকা; ২. ওয়া ওয়াদা'না আনকা বিযরাক্ ৩. আল্লাযী আনকাদা যাহাক; ৪. ওয়া রাফা'না লাকা যিকরাক ৫. ফাইন্না মায়াল-ওসরি ইউসরা; ৬. ইন্না মায়াল-উসরি ইউসরা ৭. ফাইযা ফারাগতা ফানসাব। ৮. ওয়া ইলা রাব্বিকা ফারগাব।

অর্থঃ ১. তোমার বক্ষ তোমার কল্যাণে আমি কি সম্প্রসারিত করিনি? (২) এবং তোমার থেকে আমি কি বোঝা অপসারণ করিনি (৩) যা তোমার পৃষ্ঠকে অবনমিত করেছিল? (৪) এবং আমি তোমার খ্যাতিকে উচ্চাসন দান করেছি; (৫) নিশ্চয়ই কষ্টের সাথেই সুখ-শান্তি রয়েছে। (৬) অবশ্যই কষ্টের সাথেই সুখ-শান্তি রয়েছে। (৮) অতএব যখনই তুমি অবকাশ পাও, তখনই ইবাদতে আত্মনিয়োগ কর; (৮) এবং তোমার প্রভুর প্রতি মনোনিবেশ কর।

শানে নুযূল:

 কাফিররা প্রথম যুগের মুসলমানদের দুঃখ-কষ্ট দেখে তাঁদের ঠাট্টা ও বিদ্রূপ করে বলত, যদি তোমাদের ধর্ম সত্যই হবে তাহলে তোমাদের এত দুর্ভোগ কেন? আর যদি দেব-দেবীর পূজায় যদি পাপ হত তাহলে আমাদের ধন-দৌলতের এত আধিক্য কেন? একদিন রাসূল (সঃ) আল্লাহর কাছে আরজ করলেন, হে আল্লাহ! তুমি হযরত ইবরাহীমকে খলীল ও হযরত মূসাকে কলীম করেছ। হযরত দাউদের জন্য লোহা ও পাহাড়কে এবং হযরত সালায়মানের জন্য বায়ুকে বাধ্য করেছ। তুমি আমার জন্য কোন বিশিষ্ট নিয়ামত নির্দিষ্ট করে রেখেছ কি? তদুত্তরে মহান আল্লাহ্ সুরাহ ইনশিরাহ্ নাযিল করেন।

মহান আল্লাহ্ এ সূরায় বিশেষভাবে তিনটি আধ্যাত্মিক নিয়ামতের বর্ণনা করেছেন। (১) বক্ষ সম্প্রসারণ; (২) গুরুভার অপসারণ; (৩) এবং যিকির বুলন্দকরণ। অর্থাৎ রাসূল (সঃ)-এর আরজের উত্তরে মহান আল্লাহ তাঁকে জানিয়ে দিলেন যে, তিনি তাঁর বক্ষ সম্প্রসারিত করে দিয়েছেন অর্থাৎ পূর্ণ কামালিয়াত দান করেছেন। অতপর নবুয়তের মহান দায়িত্ব পালনের গুরুভার তাঁর পৃষ্ঠদেশকে প্রায় ভেঙ্গে ফেলছিল। এতে তিনি বিচলিত হয়ে পড়েন এবং নবুয়তের গুরুত্বদায়িত্বের বোঝা বহনে ও ওহীর ক্ষমতা ধারণে কষ্ট ও যাতনা অনুভব করছিলেন। কিন্তু বক্ষ সম্প্রসারণের ফলে তিনি তা থেকে নিষ্কৃতি লাভ করলেন। তৃতীয়ত, মহান আল্লাহ নিজ হাবিবের মর্যাদা ও মহিমা ব্যক্ত করবার জন্য বলেছেন, অর্থাৎ আমি তোমার খ্যাতিকে উচ্চমর্যাদা দান করেছি। সুতরাং তিনি কালেমা, আযান, খোতবা, তাশাহহুদ প্রভৃতিতে নিজ নামের সাথে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নামও যোগ করে তাঁকে উচ্চ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন।

আরো পড়ুন: সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত বাংলা উচ্চারণ অর্থ সহ ফজিলত

ফযীলত:

 ১. কোন ব্যক্তি যদি কোন ব্যাপারে হতাশাজনক অবস্থার সম্মুখীন হয় তাহলে ধৈর্যধারণ করে এ সূরা পাঠ করতে থাকলে ইনশাআল্লাহ্ তার আশা পূরণ হবে এবং হতাশা না। ২. নামাযের পর এ সূরাহ ৯ থেকে ৪১ বার পর্যন্ত পাঠ করলে মহান আল্লাহ হবে বা অনটন দূর করে দেন, রিযিক ও মান-সম্মান বৃদ্ধি করে দেন এবং কোন অনিষ্টকারীর অভান্ত ও সমালোচনা থেকে হিফাযােহ থাকা যায় তা তাহাজ্জুদ নামাযে এ সূরাহ পাঠ করলে চত্রকার পুণ্য পাওয়া যায়। ৪. এ সূরাহ খতমে খাজেগানে ৭০ বার পড়লে মহান আল্লাহ মরলে নেক আশা পূরণ করে দেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url