প্রথম মানব ও নবী হযরত আদম (আ)
আজ এই আর্টিকেলটিতে হযরত আদম (আ) সম্পর্কে বিবরণ হযরত আদম (আ) নবী ও রাসূল ছিলেন তা প্রমাণ করতে পারবেন; জিন ও ফেরেশতাদের উপর হযরত আদম (আ)-এর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে পারবেন; আল-কুরআনের আলোকে হযরত আদম (আ)-এর নবুওয়াত প্রমাণ করতে পারবেন। আল-হাদীসের আলোকে হযরত আদম (আ)-এর নবুওয়াত প্রমাণ করতে পারবেন। হযরত আদম (আ)-এর নবুওয়াত সময়কাল সম্পর্কে মুতাযিলাদের মতামত ব্যাখ্যা করতে পারবেন।
হযরত আদম (আ) প্রথম মানব ও নবী
পবিত্র কুরআন, হাদীস ও ইজমা দ্বারা প্রমাণিত হয় হযরত আদম (আ) প্রথম মানুষ ও প্রথম নবী ছিলেন। আল্লাহ তা'আলা তাঁর স্বীয় ইচ্ছাকে পূরণ করার লক্ষ্যে জিন ও ফেরেশতাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ করে হযরত আদম (আ)-কে সৃষ্টি করেন। তিনি প্রথমে জান্নাতে বসবাস করেন। আল্লাহর একটি নির্দেশ পালনে অসমর্থ হওয়ায় তিনি পৃথিবীতে প্রেরিত হন। আল্লাহ তাঁর ত্রুটি-ক্ষমা ও তাওবা কবুল করেন। মানবজাতির জন্য তাঁকে নবী ও প্রতিনিধি নির্বাচিত করেন। তাঁর ওপর একাধিক আসমানী পুস্তিকা বা। সহীফা অবতীর্ণ হয়। এগুলোর মধ্যে যে বিধি-বিধান দেওয়া হয় তিনি ও তাঁর বংশধরগণ-এর অনুসরণ করেন। আল্লাহ তা'আলা হযরত আদম (আ)-কে নির্দেশ দিয়েছেন কাবা ঘর নির্মাণ করার জন্য এবং উক্ত ঘর তওয়াফ ও আল্লাহর যিকির করার জন্য। এ আদেশ প্রাপ্তির পর তিনি কাবা ঘর নির্মাণের দিকে মনোনিবেশ করলেন। পবিত্র মক্কা নগরীতে এ ঘর নির্মাণে জিবরাইল (আ) ও অন্যান্য ফেরেশতা তাঁকে সহযোগিতা দিয়েছিলেন। কাবা ঘর নির্মাণ করার পর হযরত আদম (আ) সেখানে নামায আদায় করেন এবং কাবা ঘর তাওয়াফ ও আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন।
পবিত্র কুরআন, হাদীস ও ইজমা দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, হযরত আদম (আ) প্রথম মানুষ ও প্রথম নবী ছিলেন।
আরো পড়ুন: শিরক কী শিরকের প্রকারভেদ শিরকের কারণ ব্যাখ্যা সম্পর্কে বিস্তারিত
জিন ও ফেরেশতাদের উপর আদম (আ)-এর শ্রেষ্ঠত্ব
আল্লাহ তা'আলা এ পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি সৃষ্টি করার ইচ্ছা পোষণ করে ফেরেশতাদেরকে বললেন, আমি পৃথিবীতে আমার একজন প্রতিনিধি প্রেরণ করতে চাই। এতে ফেরেশতাগণ আপত্তি করা সত্ত্বেও আল্লাহ তা'আলা তাঁর ইচ্ছা পূর্ণ করলেন এবং তাঁর প্রতিনিধি অর্থাৎ হযরত আদম (আ)-কে সৃষ্টি করলেন। এ জগতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব ও শাসন কাজ পরিচালনা এবং শৃংখলা বিধানের জন্য যাবতীয় বিষয় তাঁকে শিক্ষা দেওয়া হয়। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ তা'আলা হযরত আদমকে সমস্ত বস্তুর নাম শিক্ষা দিলেন। পরে আল্লাহ তা'আলা আদম (আ)-কে আদেশ করলেন, ওই সব বস্তুর নাম ফেরেশতাদের বলে দেওয়ার জন্য। হযরত আদম (আ) সমস্ত বস্তুর নাম ফেরেশতাদেরকে জানিয়ে দিলেন, যা তারা জানত না। এমনকি আল্লাহ তা'আলা হযরত আদম (আ)- কে মানব জাতির সকল ভাষাও জানিয়ে দিলেন, যা দ্বারা মানুষ পৃথিবীতে নিজের মনের ভাব অন্যের কাছে প্রকাশ করবে। আরো জানিয়ে দিয়েছিলেন বস্তুসমূহের সেই সব নিগূঢ় তত্ত্বসমূহ যা ফেরেশতাগণও জানত না। এই নিগূঢ় তত্ত্বসমূহকে আল-কুরআনে আসমা বা নামসমূহ বলে পেশ করা হয়েছে। কিন্তু এই নাম বলে তিনি শুধু দ্রব্যসমূহের নাম পরিচিতিই বুঝাননি। কেননা শুধু নাম জানলেই তো আদমের শ্রেষ্ঠত্বের বৈশিষ্ট্য প্রমাণিত হয় না। আসলে এই নাম বলতে দ্রব্যসমূহের নাম এবং দ্রব্যসমূহের শুণ ও নিগূঢ় তত্ত্বসমূহ বুঝায়। তার অর্থ আল্লাহ তা'আলার সৃষ্টি কর্মের নিগূঢ় রহস্যাবৃত তত্ত্ব ও দ্রব্য গুণসমূহ হযরত আদম (আ)-কে জানিয়েছিলেন। আদমকে এই নামসমূহ শিক্ষাদানের ফলেই বিশ্বলোকের নিগূঢ় তত্ত্ব, সে সংক্রান্ত খবরাদি ও নিয়ম কানুন এবং জীবনের ঘটনাবলী জানা- বুঝা মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়েছে।
আল্লাহ তা'আলা হযরত আদম (আ)-কে সৃষ্টি করলেন। এ জগতে আল্লাহর প্রতিনিধিত্ব ও শাসন কাজ পরিচালনা এবং শৃংখলা বিধানের জন্য যাবতীয় বিষয় ডাঁকে শিক্ষা দেওয়া হয়।
যেহেতু হযরত আদম (আ)-এর মধ্যে ফেরেশতা ও জিন উভয় জাতির যাবতীয় জ্ঞানের সমাহার ঘটেছে, তাই উভয় সম্প্রদায়ের উপর তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা হযরত আদম (আ)-এর শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা ফেরেশতা ও জীন-এ দু'জাতির উপর প্রমাণ করার জন্য হযরত আদম (আ)-কে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করতে চাইলেন। আর ফেরেশতাদের আদেশ করলেন হযরত আদম (আ)-কে শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন স্বরূপ সম্মান সূচক সিজদা করার জন্য। ইবলীস ব্যতীত সকল ফেরেশতা হযরত আদম (আ)-কে সিজদা করলেন।
হযরত আদম (আ)-এর শ্রেষ্ঠত্ব ফেরেশতা ও জিন জাতির উপর এটাই প্রমাণ করে যে, হযরত আদম (আ) নবী ছিলেন।
যেহেতু হয়রত আদম (আ) এর মধ্যে ফেরেশতা ও জিন উভয় জাতির যাবতীয় আনের সমাহার ঘটেছে, তাই উত্তয় সম্প্রদায়ের উপর তাঁর শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আল কুরআনের আলোকে হযরত আদম (আ)-এর নবুওয়াতের প্রমাণ
হযরত আদম (আ) নবী ছিলেন। আর এটা হল জমণ্ডর উলামাগণের সর্বসম্মত অভিমত। হযরত ইবরাহীম, ইসমাঈল, মূসা, ঈসা (আ) সহ অন্যান্য নবীর ক্ষেত্রে আল-কুরআন প্রত্যক্ষভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে, তাঁরা নবী ছিলেন। হযরত আদম (আ)-এর বর্ণনা আল-কুরআনে রয়েছে। তাঁকে কোন মাধ্যম ব্যতীত সরাসরি সম্বোধন করা হয়েছে। আর এ সম্বোধনের মাধ্যমে শরীআতের বিধি- বিধান ও দেওয়া হয়েছে। যেমন তাঁকে আদেশ ও নিষেধ করা হয়েছে, অনুরূপভাবে তাঁর জন্য হালাল-হারামের বিধান ও দেওয়া হয়েছে। আল-কুরআনে আল্লাহ তা'আলা হযরত আদম (আ)-কে উদ্দেশ্য করে বলেছেন:
হযরত আদম (আ)-এর নবী হওয়া প্রমাণিত।
"আমি বললাম, হে আদম। তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর এবং তা হতে স্বচ্ছন্দে আহার করতে থাক। কিন্তু এ গাছের নিকটেও যাবে না, তাহলে তোমরা অত্যাচারীদের দলভুক্ত হয়ে যাবে।" (সূরা আল-বাকারা: ৩৫)
অত্র আয়াতে আদম (আ)-এর ওহী প্রাপ্তির প্রমাণ রয়েছে। কেবল নবীগণই ওহী দ্বারা এরূপ সরাসরি আদিষ্ট হয়ে থাকেন। সুতরাং এ আয়াত হযরত আদম (আ)-এর নবুওয়াত প্রমাণ করে। পবিত্র কুরআনে আরো বর্ণিত আছে:
আরো পড়ুন: আসমানী কিতাব ও মালাইকা আসমানী কিতাবের পরিচয় ও এর প্রতি বিশ্বাস
"আল্লাহর ইবাদাত করবার ও তাগুতকে বর্জন করার নির্দেশ দেবার জন্য আমি তো প্রত্যেক জাতির মাঝে রাসূল পাঠিয়েছি।" (সূরা আল-নাহল: ৩৬)
আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন:
"প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য পথপ্রদর্শক রয়েছে।" (সূরা আর-রাদ: ৭)
হযরত আদম (আ)-এর যুগে তিনি ব্যতীত অন্য কেউ ওহী প্রাপ্ত হয়েছেন এবং শরীআত প্রচার করেছেন বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না। সুতরাং তিনিই তাঁর সম্প্রদায়ের নবী ছিলেন। আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন।
"নিশ্চয় আল্লাহ আদমকে, নূহকে ও ইবরাহীমের বংশধর এবং ইমরানের বংশধরকে বিশ্বজগতে মনোনীত করেছেন।" (সূরা আলে-ইমরান: ৩৩)
সূরা আলে-ইমরান-এর এ আয়াত দ্বারা বোঝা যায় যে, طفى শব্দের অর্থ এখানে নবুওয়াত এবং রিসালাত-এর জন্য নির্বাচন করা বুঝান হয়েরছে।
আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন:
"আমি বললাম, তোমরা সবাই নিচে নেমে যাও। পরে যখন আমার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট সৎপথের কোন নির্দেশ আসবে, তখন যারা আমার সৎপথের নির্দেশ অনুসরণ করবে তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত ও হবে না।" (সূরা আল-বাকারা: ৩৮)
এ আয়াতে আল্লাহ তা'আলার হিদায়াতদানের ওয়াদা রয়েছে, যা রিসালাতের ইঙ্গিত বহন করে। সুতরাং হযরত আদম (আ) নবী ছিলেন।
আল্লাহ তা'আলা আরো বলেন:
"এরপর তার প্রতিপালক তাকে মনোনীত করলেন, তার তাওবা কবুল করলেন ও তাকে পথনির্দেশ করলেন।" (সূরা ত্বহা: ১২২).
এ আয়াত দ্বারা প্রমাণ পাওয়া যায় যে, আল্লাহ তা'আলা তাঁকে বাছাই করে সম্মানিত করেছেন এবং তাঁর তাওবা কবুল করেছেন। যার অর্থ এই যে, আল্লাহ তা'আলা তাঁকে নবুওয়াত এবং রিসালাতের জন্যে মনোনীত করেছেন। সুতরাং তিনি নবী ও রাসূল।
হাদীস দ্বারা হযরত আদম (আ)-এর নবুওয়াত প্রমাণ
হযরত আদম (আ)-এর নবুওয়াত হাদীস দ্বারা সরাসরি প্রমাণিত হয়েছে।
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা) মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স) থেকে বর্ণনা করেছেন:
"আমি কিয়ামত দিবসে আদম সন্তানের নেতা হব, এতে আমার গর্ব নেই। আমার হাতে প্রশংসার পতাকা থাকবে, এতে আমার গর্ব নেই। আর সেদিন নবীদের মধ্য হতে আদম (আ) ও অন্য সকল নবী আমার ঝাণ্ডার নীচে অবস্থান করবেন। আর আমি প্রথম ব্যক্তি যিনি মাটি থেকে উত্থিত হবো, এতে আমার গর্ব করার কিছু নেই।" (তিরমিযী)
এ হাদীসে হযরত নবী করীম (স) আদম (আ)-কে নবী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এতে প্রমাণিত হয় যে, হযরত আদম (আ) নবী ছিলেন। হযরত আবু যার (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন।
"আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল। আমাদেরকে বলুন আদম (আ) কি নবী ছিলেন? তিনি বললেন হ্যাঁ, তিনি নবী ছিলেন। আল্লাহ তা'আলা তাঁর সাথে কথা বলেছেন। তিনি আদমকে বলেন, হে আদম। তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর।"
আরো পড়ুন: ফেরেশতার পরিচয় ও তাঁদের দায়িত্ব
হযরত আদম (আ)-এর নবুওয়াতের সময়কাল
হযরত আদম (আ)-এর নবুওয়াতের সময়কাল সম্পর্কে মতভেদ রয়েছে। মুতাযিলা সম্প্রদায়ের মতে হযরত আদম (আ)-এর বস্তুসমূহের নাম শিক্ষা গ্রহণ প্রমাণ করে যে, তিনি নবী ছিলেন। আল্লাহ তা'আলা যখন তাঁকে নামসমূহ শিক্ষা দেন, তখন থেকেই তিনি নবী ছিলেন। মুতাযিলাদের মতে তিনি সর্বপ্রথম হযরত হাওয়া (আ)-এর কাছে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। মুতাযিলাদের এ মতের বিপরীতে অনেকে বলেছেন, যদি তিনি সে সময় নবী হিসেবে প্রেরিত হতেন, তবে কোন না কোন একজনের নিকট প্রেরিত হতেন। হয়ত ফেরেশতার প্রতি প্রেরিত হতেন অথবা মানুষের প্রতি অথবা জিনদের প্রতি। ফেরেশতাদের প্রতি প্রেরিত হওয়া সমর্থনযোগ্য নয়। কেননা মুতাযিলাদের নিকট ফেরেশতা মানুষ থেকে উত্তম। আর এটা সমর্থনযোগ্য নয় যে, একজন নিকৃষ্ট জীব উৎকৃষ্টের প্রতি প্রেরিত হবেন। কেননা উম্মত হবে রাসূলের অনুসারী। আর এটা কিভাবে সম্ভব যে, একজন উচ্চ মর্যাদার অধিকারী মর্যাদাহীনের অনুসারী হবেন, যা নিয়মেরও পরিপন্থী। আর একথা স্পষ্ট যে, কোন মানুষ তখনই কোন কথা গ্রহণ করবে, যখন সে তার স্বজাতির হয়।
আর একথা বলাও ঠিক হবে না যে, তিনি মানুষের উপর প্রেরিত হয়েছিলেন'। কেননা তখন হযরত হাওয়া (আ) ব্যতীত আর কোন মানুষ ছিল না। আর হযরত হাওয়া (আ) আল্লাহর আদেশ-নিষেধ হযরত আদম (আ) থেকে শিক্ষা করেননি। যেমন- তা'আলা বলেন:
"তোমরা এই গাছের নিকটবর্তীও হয়ো না, যদি হও, তবে তোমরা জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে।" (সূরা আল-বাকারা: ৩৫)
আর এ রকম ধারণা করাও ঠিক হবে না যে, হযরত আদম (আ) জিনদের উপর নবী হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন। কেননা তখন আকাশে একজন জিনও ছিল না।
এ আলোচনা থেকে হযরত আদম (আ)-এর নবুওয়াত প্রমাণিত হয়, তবে তিনি কখন নবী হেিসবে প্রেরিত হয়েছিলেন, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। তবে সঠিক মত হল যে, তিনি পৃথিবীতে প্রেরিত হওয়ার পর তাঁর বংশের লোকদের উপর নবী হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন।
আর মুসলানদের মধ্যে ইজমা হয়েছে যে, হযরত আদম (আ)-ই মানব জাতির জন্য সর্বপ্রথম নবী ও রাসূল ছিলেন। তবে হযরত আদম (আ)- এর উপর আল-কুরআনের ন্যায় পূর্ণাঙ্গ শরীআত অবতীর্ণ হয়নি। প্রয়োজন অনুসারে বিধি- বিধান নাযিল হয়েছে। এ কারণে অনেকে হযরত আদম (আ)-কে শুধু নবী না বলে নবী ও রাসূল হিসেবে স্বীকার করেছেন। তাঁর নবুওয়াত অস্বীকারকারী কাফির।
আল্লাহ হাফেজ***
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url