যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্য গঠন প্রণালী ও গুন দোষ

যুক্তরাষ্ট্রীয়  সরকার কি তা বলতে পারবেন যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করতে পারবেন  যুক্তরাষ্ট্রীয়  সরকারের গঠন সম্পর্কে বলতে পারবেন এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের দোষ ও গুণ আলোচনা করতে পারবেন।

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার 

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার হল এমন এক ধরনের সরকার ব্যবস্থা যেখানে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে বন্টন করা হয়। ডাইসি বলেছেন, "যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা এমন এক রাজনৈতিক সংগঠন যেখানে জাতীয় সরকারের সাথে প্রাদেশিক সরকারের অধিকারের সামঞ্জস্যপূর্ণ সমন্বয় সাধন সম্ভব হয়।" এ ব্যবস্থায় ক্ষমতা বণ্টন এমন প্রক্রিয়ায় হয়, যার ফলে কেন্দ্রীয় সরকার ও আঞ্চলিক সরকার প্রত্যেকেই নিজ নিজ এলাকায় স্বতন্ত্র ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে। এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন, কে, সি, হুইয়ার (By the federal principle, I mean the method of dividing power so that the general and regional governments are each within a sphere co-ordinate and independent.) যুক্তরাষ্ট্রের ইংরেজী প্রতিশব্দ Federation এসেছে ল্যাটিন শব্দ ফোয়েডাস (Foedus) থেকে। এর অর্থ ঐক্য বা মিলন। সুতরাং শব্দগত অর্থে যুক্তরাষ্ট্র বলতে বোঝায় ঐক্য বা মিলনের ভিত্তিতে গঠিত রাষ্ট্রকে। এ ক্ষেত্রে কয়েকটি রাষ্ট্র বা প্রদেশের সমন্বয়ে গঠিত হয় একটি রাষ্ট্র যেখানে সাংবিধানিক ভাবে কেন্দ্র ও অঞ্চলের মধ্যে ক্ষমতার বণ্টন হয়ে থাকে। কেউ কারও অধীন নয় এবং প্রত্যেকের ক্ষমতার উৎস থাকে সংবিধান। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত এ ধরনের সরকার ব্যবস্থার উদাহরণ। কতকগুলো নির্দিষ্ট ও সাধারণ স্বার্থের ভিত্তিতে রাষ্ট্রগুলো একত্রিত হয়ে একটি কেন্দ্র বা ফেডারেশন গঠন করে থাকে। সাধারণত প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র বিষয়ক ক্ষমতা ব্যতীত অন্যান্য ক্ষমতা যেমন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প, কৃষি, সামাজিক উন্নয়নমূলক ক্ষমতা ইত্যাদি অঙ্গরাজ্যের হাতে ন্যস্ত থাকে।

আরো পড়ুন: সরকার কি সরকারের গতানুগতিক শ্রেণীবিভাগ

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের বৈশিষ্ট্য

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের কতকগুলো বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা এই সরকার ব্যবস্থাকে এককেন্দ্রিক সরকার থেকে ভিন্নতা দান করেছে। বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্ন আলোচনা করা হল:

দু'ধরনের শাসন ব্যবস্থা: যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় দু'ধরনের সরকার ব্যবস্থা বিদ্যমান থাকে। যেমন। কেন্দ্রীয় সরকার ও আঞ্চলিক বা প্রাদেশিক সরকার। এ ধরনের শাসনব্যবস্থায় উভয়ই ভিন্ন ভিন্ন মর্যাদার অধিকারী এবং কেউ কারও অধীন নয়। সংবিধান কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে উভয়েই নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে স্বাধীন এবং গঠিত রাষ্ট্রগুলো সর্বোচ্চ স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করে।

স্বাধীন সত্তা বিদ্যমান: যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হ'ল বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বা প্রদেশের সম্মিলন। এখানে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়, কিন্তু একীভূত হয় না। প্রত্যেকেরই স্বাধীন সত্তা বিদ্যমান থাকে এবং যার যার স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করে থাকে।

ক্ষমতা বন্টন: যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারে ক্ষমতা বণ্টিত হয় সংবিধানের মাধ্যমে, যদিও ক্ষমতা বণ্টন নীতি বিভিন্ন যুক্তরাষ্ট্রে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। সাধারণতঃ জাতীয় বিষয়গুলো থাকে কেন্দ্রের হাতে এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলো আঞ্চলিক সরকারের হাতে থাকে।

স্বায়ত্তশাসন: আঞ্চলিক সরকার বা অঙ্গরাজ্যগুলো সার্বভৌম ক্ষমতা ভোগ করে না, তবে সর্বাধিক স্বায়ত্তশাসন উপভোগ করে। স্বায়ত্তশাসন যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট্য।

সংবিধানের সার্বভৌমত্ব: সংবিধানের প্রাধান্য যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থাকে অন্যান্য ব্যবস্থা থেকে ভিন্নতা দান করেছে। সংবিধান সর্বোচ্চ ও সর্বশ্রেষ্ঠ দলিল এবং যুক্তরাষ্ট্র সংবিধান কর্তৃক সৃষ্ট। সংবিধানের ক্ষমতাই এখানে চূড়ান্ত। যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থায় সংবিধান সার্বভৌম।

লিখিত সংবিধান: সুস্পষ্ট ও লিখিত সংবিধান ও যুক্তরাষ্ট্রের একটি বৈশিষ্ট্য। সাধারণত: যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সংবিধান লিখিত ও দুষ্পরিবর্তনীয় হয়। আঞ্চলিক সরকারের স্বার্থ যেন ক্ষুন্ন না হয়, সেজন্যই সাধারণত: এ ব্যবস্থা গৃহীত হয়ে থাকে।

বিচারবিভাগের প্রাধান্য: যুক্তরাষ্ট্রীয় বিচারালয় এ ধরনের ব্যবস্থায় সংবিধানের রক্ষক হিসাবে কাজ করে। কেন্দ্র ও অঞ্চলের মধ্যে কোন বিরোধ দেখা দিলে মীমাংসার দায়িত্ব নেয় এই বিচারালয়। এ ছাড়া সংবিধানের ব্যাখ্যাও করে থাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় আদালত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় বিচার বিভাগের প্রাধান্য দেখা যায়। সুপ্রীম কোর্ট সংবিধানের রক্ষক ও অভিভাবক হিসাবে কাজ করে থাকে।

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা: যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থায় সাধারণত দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট আইনসভা দেখা যায়। নিম্নকক্ষ সমগ্র জাতির প্রতিনিধিত্ব করে এবং উচ্চকক্ষ প্রদেশ বা আঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করে।

দ্বৈত নাগরিকতা: দ্বৈত নাগরিকতা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। প্রত্যেক নাগরিকই এখানে দুধরনের নাগরিকতা উপভোগ করে। (ক) স্বীয় অঙ্গরাজ্যের এবং (খ) যুক্তরাষ্ট্রের। দুধরনের নাগরিকতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকককে দ্বৈত আনুগত্যও প্রকাশ করতে হয়।

কেন্দ্রমুখী ও কেন্দ্রবিমুখী প্রবণতা: যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল এর অঙ্গরাজ্যগুলোর কেন্দ্রমুখী এবং কেন্দ্রবিমুখী প্রবণতা। অঙ্গরাজ্যগুলো কেন্দ্রের প্রতি অনুগত থাকে এবং একই সঙ্গে নিজেদের স্বাধীন সত্তাও বজায় রাখে। কেন্দ্রে বিলীন হ'তে চায় না। যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার কেন্দ্রমুখী ও কেন্দ্রবিমুখী শক্তির মধ্যে সমন্বয় বিধান করে।

আরো পড়ুন: সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি ও তার কার্যকারিতার

যুক্তরাষ্ট্রের গঠন প্রণালী

দুটি পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের গঠন প্রণালী নিচে আলোচিত হলঃ

প্রথমতঃ ছোট ছোট কতকগুলো রাষ্ট্র নিজেদের স্বার্থে ও নিরাপত্তা রক্ষার কারণে একত্রিত হয়ে যুক্তরাষ্ট্র গঠন করতে পারে। এর ফলে তারা স্বায়ত্তশাসন যেমন ভোগ করে তেমনি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সুবিধাও লাভ করে।

দ্বিতীয়তঃ কোন বৃহৎ রাষ্ট্র সমস্যার সম্মুখীন হয়ে সাংবিধানিকভাবে অঞ্চলগুলোর মধ্যে ক্ষমতা বন্টন করে যুক্তরাষ্ট্র গঠন করতে পারবে, এতে তার অখন্ডতা যেমন বজায় থাকে, তেমনি স্বায়ত্তশাসন লাভের মাধ্যমে অঞ্চলগুলোও কেন্দ্রের সাথে সদ্ভাব বজায় রাখতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের গুণ

যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থার কতকগুলো সুফল নীচে আলোচনা করা হলঃ

  • এ ব্যবস্থায় ছোট ছোট দুর্বল রাষ্ট্রগুলো নিজেদের স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে বৃহৎ রাষ্ট্রের সুবিধা ও সুফলগুলো ভোগ করতে পারে।
  • এ ব্যবস্থা আঞ্চলিক স্বাতন্ত্র্য ও জাতীয় ঐক্যের মধ্যে সমন্বয় ঘটায়। জাতীয় বিষয়গুলো কেন্দ্র এবং আঞ্চলিক বিষয়গুলো অঞ্চল পরিচালনা করে দ্রুত উন্নয়নের পথে অগ্রসর হতে পারে।
  • ছোট ছোট রাষ্ট্রগুলো সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দিয়ে লাভ করে স্বায়ত্তশাসন, নিরাপত্তা, মর্যাদা ও ক্ষমতা। স্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে নিজেদের স্বাতন্ত্র্যও রক্ষা করতে পারে। ফলে শক্তিশালী রাষ্ট্রের যে সুবিধা তাও এরা লাভ করে।
  • সাংবিধানিক ভাবে ক্ষমতা বণ্টন হয় বলে কেন্দ্র ও আঞ্চলিক সরকার উভয়েরই কাজ নির্দিষ্ট থাকে। ফলে কেউ কারো কাজে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে যেমন স্বৈরাচারী হতে পারে না, তেমনি প্রত্যেকের কাজও দক্ষতার সাথে সম্পন্ন হয়। এর ফলে দায়িত্বশীল সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়।
  • জাতীয় প্রশাসন ও আঞ্চলিক প্রশাসনে ক্ষমতা বিভক্ত থাকে বলে নাগরিকরা এখানে প্রশাসনিক কাজে জড়িত হওয়ার সুযোগ লাভ করে। ফলে নাগরিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পায় এবং তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা নতুন নেতৃত্ব গড়ে উঠতেও সাহায্য করে।
  • যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় বিপ্লব ও বিদ্রোহের সম্ভাবনা কম থাকে। কারণ অঞ্চলগুলোতে স্বায়ত্তশাসন থাকাতে তারা সন্তুষ্ট থাকে। ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের ফলে জনগণও এতে অংশগ্রহণ করতে পারে। ফলে বিক্ষোভ দূর হয়।
  • গণতন্ত্র প্রয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা একটি উত্তম আদর্শ। এখানে স্বায়ত্তশাসন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের ফলে জনগণ রাজনীতিতে অংশগ্রহণে উৎসাহী হয় এবং রাজনীতি সচেতন হয়ে ওঠে যা গণতন্ত্রের সাফল্যের অন্যতম প্রধান শর্ত।
  • যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় যে কোন সমস্যার খুব দ্রুত সমাধান সম্ভব হয়। কারণ আঞ্চলিক সরকারগুলো প্রত্যেকে নিজেদের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে পারে। কেন্দ্রকে অঞ্চলগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকতে হয় না বলে জাতীয় সমস্যার সমাধানে এবং রাষ্ট্রীয় উন্নয়নে কাজ করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের দোষ

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থায় যেমন কিছু গুণ আছে সে সাথে কিছু দোষও আছে। নীচে দোষগুলো আলোচিত হলঃ

  • যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল এর অন্তর্নিহিত দুর্বলতা। যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার যে কোন সময়ে ভেঙে পড়তেৎপারে। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, বিভিন্ন অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার চেষ্টা চালায় এবং এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।
  • যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা জটিল। কেন্দ্র ও অঞ্চলগুলোতে পৃথক শাসন ব্যবস্থা চালু থাকার কারণে এ জটিলতা সৃষ্টি হয়। যা সাধারণ নাগরিকদের সমস্যায় ফেলে দেয়।
  •  ক্ষমতা বণ্টনের সুফল যেমন আছে এর কুফলও তেমন আছে। ক্ষমতার বণ্টন কেন্দ্র তথা যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দিয়েছে।
  • যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় আইন ও কর্মপদ্ধতির মধ্যে সামঞ্জস্য রক্ষা করা অত্যন্ত কঠিন। কারণ পৃথক পৃথক অঙ্গরাজ্য পৃথক পৃথক পরস্পর বিরোধী আইন তৈরী করতে পারে। কেন্দ্রের জন্য পরস্পর বিরোধী এ আইনের মধ্যে সমতা বিধান করা অত্যন্ত কষ্ট সাধ্য।
  • যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা ব্যয়বহুল। একই ধরনের কাজ নিষ্পত্তি করার জন্য বহু কর্তৃপক্ষ থাকে। এতে একদিকে যেমন শাসনব্যবস্থার দ্বিবিধ প্রভৃত্বের বিস্তার ঘটে। তেমনি ব্যয়ও বেড়ে যায়।
  • কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে অর্ন্তদ্বন্দ্ব থাকলে তা পররাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে এবং এতে করে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হতে পারে।
  • যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রগতিশীলতার পরিপন্থী। কারণ সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয় হয় বলে যে কোন পরিবর্তনের সাথে সরকার সহজে খাপ খাওয়াতে পারে না। এ ছাড়াও একই কারণে বিপ্লব ও বিদ্রোহের আশংকাও থাকে।
  • যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থার সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হল এ ধরনের ব্যবস্থা জরুরী অবস্থার মোকাবেলা করতে ব্যর্থ। দায়িত্ব খণ্ডিত ও সীমাবদ্ধ বলে সংকটকালীন সময়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সম্ভব হয় না। ফলে অনেক সময়ে সরকারকে সংকটে পড়তে হয়।

সারকথা

যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকার ব্যবস্থায় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকারের মধ্যে বণ্টন করা হয়। এ সরকার ব্যবস্থার ক্ষমতার উৎস হল সংবিধান। এর ফলে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক সরকার নিজ নিজ এলাকায় স্বাধীন ও স্বতন্ত্রভাবে কাজ করতে পারে। জনগণের ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা একটি উৎকৃষ্ট আদর্শ। যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় যেমন কতকগুলো ভাল দিক আছে, সে সঙ্গে কিছু খারাপ দিকও রয়েছে।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url