হযরত দাউদ (আ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
আজা
হযরত দাউদ (আ)-এর পরিচয়
হযরত ইয়াকুব (আঃ-এর পুত্র ইয়াহুদ এবং ইয়াহুদের পুত্র ছিল এশা। সে এশার বংশধরদের মধ্যেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন হযরত দাউদ (আ)। হযরত দাউদ (আ) পরবর্তী জীবনে একজন কিতাবধারী নবী হয়েছিলেন।
অর্থঃ হে দাউদ! নিঃসন্দেহে তোমাকে ভূ পৃষ্ট আমার প্রতিনিধি বানিয়েছি। (সূরা ছোয়াদ-২৬)
হযরত দাউদ (আ) আর একদিন তাঁর পিতার কাছে বললেন: 'হে পিতা! আমি আজ ভ্রমণ করতে করতে একটি পাহাড়ী এলাকায় গমন করছিলাম। ঐ সময় আমি অস্পষ্ট আওয়াজে আল্লাহর নামের তাসবীহ পড়ছিলাম। হঠাৎ আমার কানে গুন গুন আওয়াজ ভেসে আসল। তখন আমি মনোযোগ সহকারে লক্ষ্য করলাম, উক্ত এলাকার পাহাড়গুলো আমার সাথে তাসবীহ পাঠ করছে।'
এ ঘটনা শুনে হযরত দাউদ (আ)-এর পিতা বললেন, আমার এ ঘটনায় বুঝা যাচ্ছে, আল্লাহ পৃথিবীতে তোমার বোযর্গী ও কারামাত বাড়িয়ে দিবেন।
হযরত দাউদ (আ) এর নবুয়ত ও রেসালাত প্রাপ্তি
আল্লাহ তায়ালা খোদ দাউদ (আঃ-কেই জাগরিত অবস্থায় তার বোযগীর ইঙ্গিত দান করছিলেন। নবী শামুয়েল (আ)-কে হযরত দাউদ (আ) সম্পর্কে জানিয়ে দিলেন যে, বনি ইস্রাঈলদের মধ্যে অমুকের দাউদ নামে এক পুত্র আছে, আমি তাঁরই হাতে জালুতকে নিহত করাব।
হযরত শামুয়েল হযরত দাউদ (আ)-এর এরূপ বোযগীর কথা জানলে তাঁর মনে ইচ্ছা জেগেছিল যে, তিনি দাউদ (আ)-এর সাথে কিছুটা আলাপ করেন এবং এরূপ ইচ্ছার বশবর্তী হয়ে তিনি তাঁকে যুদ্ধে পাঠাবার পূর্বক্ষণে জিজ্ঞেস করলেন, ওহে দাউদ! তুমি বলত তোমার জীবনে আশ্চর্য কোন ঘটনা দেখেছ কিনা?
হযরত দাউদ (আ) জবাবে পাহাড়ের তাসবীহ পড়ার ঘটনাটি বর্ণনা করলেন। তা ছাড়া তিনি আরও একটি ঘটনা তাঁর নিকট প্রকাশ করলেন।
হযরত দাউদ (আ)-এর নবুয়ত প্রাপ্তি
অর্থঃ- আমি তার রাজত্বকে মাবুত করে দিয়েছি আয় তাকে নবুয়ত দান করেছি এবং সঠিক সীমংসার ক্ষমতা দান করেছি। ( সূরা-ছোয়াদ-২০)
আল্লাহ পাক হযরত দাউদ (আ)-এর উত্তম চরিত্র এবং নেককাজের ফলে অত্যন্ত খুশী হয়ে তাঁর প্রতি অত্যধিক দয়া ও নেয়ামত দিয়েছিলেন। প্রথমতঃ আল্লাহ তাঁকে বিশাল সাম্রাজ্যের অধিপতি করলেন। কিন্তু এতবড় অধিপতি হওয়ার পরও তাঁর ভিতরে কোন রকম পার্থিব মোহ বা লিপ্সা হল না। ফলে আল্লাহ তাঁর উপর আরও খুশী হলেন এবং তাঁকে আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত নবুয়তও দান করলেন। নবুয়ত দান করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর উপরে যাবুর কিতাবখানি নাযিল করলেন। হযরত মূসা (আ)-এর প্রতি অবতীর্ণ তৌরাত কিতাবের মত এ কিতাবখানাও ইসলামী শরীয়তের বিধি-বিধান সম্বলিত। অধিকন্তু এতে এমন কিছু বিষয়বস্তু আছে, যা তৌরাত কিতাবে পাওয়া যায় না। অন্যান্য কিতাবসমূহের সাথে যাবুর কিতাবের পার্থক্য হল, এর আদ্যন্ত ছন্দবদ্ধ কবিতায় লিখিত।
হযরত দাউদ (আ) প্রতি সপ্তাহে নদীর ধারে যাবুর পাঠ করতেন। ফলে তা শুনার জন্য নদীর মাছ তীরে আসত। তখন ইচ্ছা করলে সে বড় বড় মাছগুলোকে সহজেই ধরে ফেলা যেত। কিন্তু তাতে মাছগুলো বিনাশের সম্ভাবনা ছিল। এজন্যই সে যমানার বনি ইস্রাঈলদের প্রতি শনিবার মাছ ধরা নিষেধ ছিল।
হযরত দাউদ (আ)-এর হাতের একটি বিশেষ গুণ ছিল। তিনি কঠিন লোহা হস্তস্পর্শ করামাত্র মোমের মত নরম হয়ে যেত। তাই তিনি লোহাকে আগুনে পোড়ানো ছাড়াই হস্ত দ্বারা টিপে যে কোন ধরনের অস্ত্র সহজেই তৈরি করতে পারতেন।
তাঁর তৈরি লোহা-দ্রব্যসমূহ বিশেষতঃ অস্ত্র-শস্ত্রগুলো অত্যন্ত মজবুত, উৎকৃষ্ট এবং উন্নতমানের হত। এমনকি তাঁর তৈরি একটি লৌহবর্ম তৎকালীন যুগেও চারশত দেরহাম মূল্যে বিক্রয় হত। কিন্তু ঐ টাকা হতে মাত্র একশত দেরহাম নিজে ব্যয় করতেন এবং বাকী তিনশত দেরহাম অনাথগণকে দান করতেন।
হযরত দাউদ (আ)-এর চরিত্রে সামান্য অকর্মণ্যতা, কর্মবিমুখতা বা আলস্যের স্থান ছিল না। একদিকে তিনি ছিলেন আল্লাহর নবী, অন্যদিকে বিশাল সাম্রাজ্যের অধিপতি।
মসজিদুল আকসা তৈরির ঘটনা
হযরত দাউদ (আ)-এর কথা শুনে সানন্দে সকলেই একটি মসজিদ নির্মাণ করতে মত দিল। তবে যে স্থানটি মসজিদের জন্য নির্বাচিত হল, সে স্থানে কিছু অংশ বনি ইস্রাঈলদের এবং কিছু ছিল অন্য সম্প্রদায়ের। অবশ্য মসজিদ তৈরির জন্য সকলেই নিজ নিজ যমিন অকফ করে দিল। কিন্তু এক ব্যক্তি তার যমিন দিতে রাজী হল না। বনি ইস্রাঈলগণ লোকটিকে বলল, আল্লাহর ইবাদাতে ঘর তৈরি হবে, তাতে যমিন প্রদানে রাজী হচ্ছে না। আচ্ছা, তোমাকে আমরা যমিনের মূল্য প্রদান করব। যদি বিক্রয় করতে রাজী না হও, তবে কিন্তু আমরা তোমার যমিন বিনামূল্যেই দখল করে নেব। দেখব যে, তুমি আমাদের কি করতে পার।
তাদের এ ধরনের কথা শুনে সে হযরত দাউদ (আ)-এর কাছে নালিশ করল। তিনি বললেন, তোমার কোন রকম চিন্তার কারণ নেই। তোমার অসম্মতিতে তোমার যমিন কিছুতেই নেয়া হবে না। তুমি যদি তোমার যমিন বিক্রয় কর তবে আমার নিকট বল, তার মূল্য কত হবে? যদি তুমি বল যে, তোমার যমিনের উপর হতগুলো উট এবং বকরী দাঁড়াতে পারে, ততগুলো উট ও বকরী দিতে হবে, তবে তোমাকে তাই প্রদান করব।
দাউদ (আ)-এর কথায় লোকটি বলল, না, তাতেও আমার যমিন বিক্রয় করব না। হ্যাঁ যদি আমার যমিনের চতুষ্পার্শ্বে আমার সমান উঁচু প্রাচীর গেঁথে তার ভিতরে স্বর্ণ-মোহর রাখা যায়, তা আমাকে দিলে তবেই আমি বিক্রয় করতে পারি।
লোকটির কথা শুনে দাউদ (আ) বনি ইস্রাঈলদেরকে ডেকে লোকটির দাবীর পরিমাণ জানালেন এবং বললেন, নির্দিষ্ট স্থানে মসজিদ করতে হলে তার দাবী পরিমাণ মূল্য দিতে হবে। এ কি তোমাদের পক্ষে সম্ভব?
বনি ইস্রাঈলগণ বলল, কেন হবে না, আমরা সকলে মিলে তা তাকে তার চাহিদা আদায় করে দেব।
তাদের এ ধরনের ঈমান ও মনোবল দেখে এবং এরূপ মূল্যের দ্বারা তার যমিন ক্রয়ের স্বীকৃতি লাভ করে লোকটি বলল, তোমাদের মনোবলকে ধন্যবাদ। আমি আমার যমিনের মূল্য পেয়েছি। এরপর সে হযরত দাউদ (আ)-কে বলল, হে আল্লাহর নবী! আমার অন্তরে যে কি উদ্দেশ্য ছিল তা একমাত্র আল্লাহই জানেন। আমার হৃদয়ের এরূপ ভাবনা ছিল যে, আমি আল্লাহর পথে যমিন ও অর্থ উভয়ই দান করব। সত্যি বলতে কি, ধন-সম্পদের প্রতি আমার আকর্ষণ নেই এবং আমি চিন্তা করছিলাম যে, বনি ইস্রাঈলগণ আমার যমিন বাবত এত মূল্য দিতে রাজী হবে কিনা। যা হোক, এখন তোমরা নির্বিঘ্নে আল্লাহর ঘর নির্মাণ কর। তোমাদেরকে আমার যমিনের কোনো মূল্যই দিতে হবে না।
হযরত দাউদ (আ) এরপর বনি ইস্রাঈলদের ভিতরে বেছে বেছে নিজের পছন্দ মত লোকজন নিয়ে মসজিদে আকসার বুনিয়েদ স্থাপন করার জন্য নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে যমিন খুদিতে আদেশ করলেন। লোকজন কাজ আরম্ভ করে দিল।
বহুলোক মনের খুশীতে আল্লাহর শোকরস্বরূপ মসজিদ নির্মাণ কাজে যোগ দিল। মসজিদের প্রাচীর মানুষ সমান গাঁথা হলে আল্লাহর পাকের তরফ হতে নির্দেশ আসল, হে দাউদ! আমি বনি ইস্রাঈলদের শোকরিয়া প্রকাশ কবুল করলাম। এখন আর তোমাদের একাজ করার প্রয়োজন নেই। এ আমি তোমার পুত্র সোলায়মান (আঃ)-এর দ্বারা সম্পন্ন করাব। উল্লেখ্য যে, আল্লাহর নির্দেশে হযরত দাউদ (আ) তখন মসজিদের কাজ স্থগিত রাখলেন।
হযরত দাউদ (আ)-এর পরপারে যাত্রা
হযরত দাউদ (আ)-এর জীবনের শেষ লগ্নে একদিন ফেরেশতা জিব্রাঈল তাঁর নিকট একটি তালাবদ্ধ সিন্দুক নিয়ে বললেন, হে নবী! আপনার সকল পুত্রকে ডেকে জনে জনে জিজ্ঞেস করুন, এ সিন্ধুকটির মধ্যে কি আছে? যে তা বলতে পারবে, আপনি তাকে আপনার পরবর্তী বাদশাহ করবেন এবং আল্লাহ তাঁকে নবুয়তও প্রদান করবেন।
হযরত দাউদের তখন পনেরজন পুত্র বর্তমান ছিলেন। তিনি তাঁদের সকলকেই দরবারে ডেকে আনলেন। জনসাধারণের মধ্যেও বহুলোক দরবারে উপস্থিত হল।
এরপর হযরত দাউদ (আ) তাঁর প্রত্যেক পুত্রকে জিজ্ঞেস করলেন যে, বল দেখি, এ সিন্দুকটির মধ্যে কি আছে। যে তা বলতে পারবে, আমি তাঁকেই আমার পরবর্তী বাদশাহ নিযুক্ত করে যাব। কিন্তু পুত্রদের মধ্যে কেউই তা বলতে পারলেন না, কনিষ্ঠ পুত্র হযরত সোলায়মান (আ)-এর নিকট তখনও প্রশ্ন করা হয়নি। এবার তিনি অগ্রসর হয়ে বললেন, পিতা! যদি দয়া করে আমাকে অনুমতি দেন, তবে আল্লাহর রহমতে আমি বলতে পারব তার ভিতরে কি রয়েছে।
হযরত দাউদ (আ) বললেন, হাঁ তোমাকে অনুমতি দান করলাম। পারলে এবার তুমি বল দেখি তার মধ্যে কি রয়েছে?
তখন হযরত সোলায়মান (আ) বললেন, তার মধ্যে একটি আংটি, একটি চাবুক এবং একখানা লিখিত কাগজ রয়েছে। এছাড়া অন্য কিছু নেই।
এরপর সিন্দুকটি খুলে দেখা গেল, হযরত সোলায়মান (আ) যে তিনটি বস্তুর কথা প্রকাশ করেছেন ঐ তিনটি বস্তুই তাতে আছে।
তখন জিব্রাঈল (আ) বলতে লাগলেন, দ্রব্য তিনটি রহস্যময় বৈশিষ্ট্যপূর্ণ।
আংটিটি বেহেশতে নির্মিত বহুগুণ সম্পন্ন এবং এতে বিভিন্ন অলৌকিক ক্ষমতা বিদ্যমান। এর মধ্যে যে স্বচ্ছ পাথর দেখা যাচ্ছে তার মাধ্যমে এ আংটির অধিকারী দুনিয়ার সবকিছু অর্থাৎ পূর্ব-পশ্চিম, উত্তর-দক্ষিণ সীমান্তের যে কোন কিছু পরিষ্কারভাবে দেখতে পাবে। এ আংটি যে পরিধান করবে, আল্লাহর সমগ্র সৃষ্টি তথা মানব-দানব, জ্বিন-পরী, পশু-পাখী, কীট-পতঙ্গ সমস্ত কিছুই তার তাবেদার হবে। কিছুই তার অবাধ্য হবে না।
তারপর এ চাবুকটি হল দোযখের তৈরি। এতেও বিভিন্ন প্রকার অলৌকিক গুণ বর্তমান। এর ক্ষমতা ও শক্তি কল্পনাতীত। এ চাবুকধারীর শত্রু সে যতবড় শক্তি ও ক্ষমতাবান হোক না কেন, চাবুকধারীর সাথে বিরোধিতা করলে চাবুকখানাকে আদেশ দিলেই সে আপনা হতে গিয়ে উক্ত বিরোধী শক্তিকে এমনভাবে ঘায়েল করবে যে, জীবনে সে আর কোনদিন শত্রুতা করবে না। অবশ্য এ চাবুক কোন অত্যাচারী ব্যতীত সৎলোককে কখনও শাস্তি দিবে না।
এরপর হযরত জিব্রাঈল সিন্দুকে রক্ষিত লিখিত কাগজখানা হাতে নিয়ে হযরত দাউদ (আ)-কে বললেন, ঐ কাগজখানায় কি লিখিত আছে, আশা করি আপনার পুত্র সোলায়মান (আ) তা বলতে পারবে। তার নিকট জিজ্ঞেস করে দেখুন।
হযরত সোলায়মান (আ) উক্ত কাগজখানা নিয়ে পাঠ করে বলতে লাগলেন, কাগজখানায় পাঁচটি বিষয়ের নাম লেখা আছে। বিষয়গুলো হলঃ
১। ঈমান, ২। প্রেম, ৩। বুদ্ধি, ৪। শালীনতাবোধ ও ৫। শক্তি।
হযরত দাউদ (আ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, এ বস্তুগুলো তো মানুষের ভিতরেই থাকে, তবে তুমি কি বলতে পার বাবা, এর কোনটির থাকার স্থান কোনটি?
হযরত সোলায়মান (আ) বললেন, আল্লাহর রহমতে আমি তা বলতে পারব আব্বা।
শুনুন আমি বলছি:
ঈমান ও প্রেম বস্তু দুটির অবস্থান অন্তরের মধ্যে। বুদ্ধির অবস্থান মাথার মগজে। লজ্জা বা শালীনতাবোধের অবস্থান চক্ষুর এবং শক্তির অবস্থান হাড়ের মধ্যে।
ফেরেশতা জিব্রাঈল শুনে বলে উঠলেন, ধন্যবাদ আপনাকে হে সোলায়মান ইবনে দাউদ (আ)! আপনার উত্তর একেবারে যথার্থ হয়েছে।
এরপর ফেরেশতা জিব্রাঈলের পরামর্শক্রমে ও নিজের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী হযরত দাউদ (আ) আংটিটি হযরত সোলায়মানের হাতে পরিয়ে দিলেন, চাবুকখানা তার হাতে তুলে দিলেন এবং বাদশাহী তাজ তার মাথায় পরিয়ে দিয়ে তাকে নিজের সিংহাসনে উপবেশন করিয়ে নিজে পার্থিব ব্যাপারাদির সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে আল্লাহর ইবাদাতে লিপ্ত হলেন। এরপর যখন হযরত দাউদ (আ)-এর বয়স একশত ও বর্ণনান্তরে একশত বিশ বছর হল, তখন একদিন তিনি ইহধাম ত্যাগ করলেন।
ওয়াহাব ইবনে মুনীরের বর্ণনায় দেখা যায়, হযরত দাউদ (আ)-এর লাশ গোসল, কাফন পরিয়ে যখন লোকজন তাঁর জানাযা শেষে দাফন করার জন্য নিয়ে চলল, তখন প্রচণ্ড রৌদ্রের তাপে লোকজন একেবারে অতিষ্ঠ ও শ্রান্ত হয়ে পড়েছিল। তা লক্ষ্য করে হযরত সোলায়মান পক্ষীকূলকে আদেশ করলেন, তোমরা লাশবাহী লোক এবং জানাযা যাত্রীদের সাথে তাদের মাথার উপরে ডানার ছায়া দিয়ে চলতে থাক।
হযরত সোলায়মানের আদেশানুযায়ী লক্ষ লক্ষ পাখী মানুষের মাথার উপর পাখার ছায়া দিয়ে চলতে লাগল। বাতাসকে আদেশ করায় সে বইতে লাগলে সকলের শরীর ঠাণ্ডা হয়ে গেল।
কথিত আছে যে, হযরত দাউদ (আ)-এর জানাযায় অসংখ্য লোক শরীক হয়েছিল, শুধুমাত্র আলেম ও হাফেজ-কারীই ছিল প্রায় চল্লিশ হাজার।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url