হযরত ইদরিস ( আ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী
আজ
পবিত্র কোরআনে হযরত ইদরিস (আ) এভাবে উল্লেখিত হয়েছে-
উচ্চারণ: 'ওয়াজকুর ফিল কিতাবি ইদরীস, ইন্নাহু কানা ছিদ্দীকান নাবিয়্যাউ অরাফা'নাহু মাকানান আলিয়্যা'।
অর্থাৎ কিতাবে উল্লিখিত ইদরিস (আ)-কে স্মরণ কর। নিশ্চয় সে সত্য নবী এবং আল্লাহ তায়ালা তাঁকে উচ্চতর জায়গায় উঠিয়ে নিয়েছিলেন।
হযরত ইদরিস (আ)-এর মূল বা আসল নাম ছিল আখনুক। তবে তাঁর নাম ইদরিস হবার কারণ হল, তিনি দেশের জনসাধারণকে শিক্ষা-দীক্ষায় উপযুক্তরূপে গড়ে তুলেছিলেন। শিক্ষা দেয়াকে দারস বা প্রশিক্ষণ বলা হয়। আর সে দারস শব্দ হতেই ইদরিস শব্দের উৎপত্তি হয়েছে।
হযরত ইদরিস (আ) একদিকে যেমন উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন, অন্যদিকে তিনি নানা গুণেও বিভূষিত ছিলেন। অধিকাংশ সময়ই তিনি মানুষকে শিক্ষা প্রদান করতেন এবং তাদের মাঝে ওয়াজ নসিহত করতেন এবং ইবাদাত-বন্দেগীতে লিপ্ত থাকতেন। তাঁর সম্পর্কে জানা যায় যে, তিনি নিজের জামা-কাপড় নিজেই সেলাই করে ব্যবহার করতেন। অন্যের জামা-কাপড়ও সেলাই করে দিতেন। অবশ্য সেজন্য তিনি কারও নিকট হতে কোন প্রকার মজুরী বা পারিশ্রমিক গ্রহণ করতেন না।
তিনি এমনই ইবাদাতকারী ব্যক্তি ছিলেন যে, একদিকে তিনি কাজ করতেন, অন্যদিকে মনে মনে যিকির করতেন। শুনা যায় জামাকাপড় সেলাই করাকালে সূচের প্রতিটি ফোড়ে ফোড়ে তিনি আল্লাহর নামের তাসবীহ পাঠ করতেন।
আরো পড়ুন:
হযরত ইদরিসের বেহেশতে গমন
হযরত ইদরিস (আ) জীবনে বহু মা'জেযা দেখাতেন। তন্মধ্যে একটি প্রধান মা'জেযা এই যে, তিনি যেসব ভবিষ্যত বাণী করতেন, তা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবে পরিণত হত। তাঁর অত্যধিক ইবাদাতে আনন্দিত হয়ে বিভিন্ন সময়ে ফেরেশতাগণ তাঁকে আসমানে নিয়ে যেতেন।
এ সম্পর্কিত একটি ঘটনা তাঁর জীবনের সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য ঘটনারূপে পরিচিত। একদিন তিনি তাসবীহ তাহলীল পাঠে রত ছিলেন। এমন সময়ে হঠাৎ ফেরেশতা আজ্রাইল (আ) জনৈক সাধারণ মানুষের বেশে এসে তাঁর সামনে দন্ডায়মান হলেন। তিনি তাকে জনৈক বিদেশী মেহমান মনে করে যথা উপযুক্ত অভ্যর্থনা জ্ঞাপন করলেন।
হযরত ইদরিস (আ) সর্বদা রোযা রাখতেন এবং প্রত্যহ সন্ধ্যার পূর্বে তাঁর ইফতারের জন্য বেহেশত হতে খাবার আসত। তিনি সে বেহেশতী খাবার দ্বারা ইফতার করতেন। ইফতার করে যা অবশিষ্ট থাকত তা আবার বেহেশতে ফিরে যেত। সেদিনও বেহেশত হতে খাবার আসলে তিনি বেহেস্তি খাবার দ্বারা ইফতার করলেন এবং মেহমানকেও তা খেতে দিলেন। উক্ত মেহমানরূপী ফেরেশতা আজ্রাইল (আ) খানা খাইলেন না; বরং সারারাত্র ইবাদাতে অতিবাহিত করলেন।
মেহমান ব্যক্তির আচার-আচরণে আরও কতকগুলো বৈশিষ্ট্য দেখা গেল, যা দেখে হযরত ইদরিস (আ) বিস্ময়বোধ করলেন।
পরদিন ভোরবেলা হযরত ইদরিস (আ) মেহমানকে বললেন, ওহে আগন্তক মেহমান।চলুন আমরা একটু ভ্রমণ করে আল্লাহ তায়ালার কুদরতসমূহ দেখে আসি।
মেহমান তাতে সম্মত হয়ে দুজন একত্রে ভ্রমণে বের হলেন, কিছুদূর গিয়ে হঠাৎ মেহমান বললেন, চলুন, আমরা ঐ ক্ষেত হতে কিছু ফল তুলে এনে দুজনে ভক্ষণ করি।
হযরত ইদরিস (আ) তাতে বেশ কিছুটা আশ্চর্য ও ক্ষোভ মিশ্রিত কণ্ঠে বললেন, আপনি তো ভারী আশ্চর্য মানুষ! রাতে আপনি হালাল খানা খেলেন না, অথচ এখন অপরের ক্ষেত হতে ফল তুলে খেতে চাইছেন। অন্যের মাল না বলে গ্রহণ করা আমাদের জন্য একেবারে নিষিদ্ধ।
মেহমান তাঁর কথার কোন জবাব না দিয়ে সামনে অগ্রসর হতে লাগলেন।
কিছুদূর সামনে গমন করে একস্থানে কতকগুলো ছাগল চরিতে দেখে মেহমান হযরত ইদরিস (আ)-কে বললেন, চলুন ওখান হতে একটা ছাগল এনে আমরা যবেহ করি। তা বেশ করে খাওয়া যাবে। হযরত ইদরিস (আ) বললেন, অপরের ছাগল যবেহ করে খাওয়া যে পাপের কাজ, তা কি আপনার জানা নেই?
আরো পড়ুন:
ইদরিস (আ)-এর স্বেচ্ছায় মরণবরণ
এভাবে আগন্তুক ব্যক্তি তিনদিন পর্যন্ত হযরত ইদরিস (আ)-এর সাথে থাকলেন। তার আচরণাদি লক্ষ্য করে হযরত ইদরিস (আ)-এর মনে সন্দেহের উদ্রেক হল যে, এ ব্যক্তি নিশ্চয় কোন মানুষ নহে। অতএব তিনি বললেন, আল্লাহর কসম আপনি আপনার প্রকৃত পরিচয়টা বলুন।
মেহমান বললো, আমি কোন মানুষ নয়। আমি একজন ফেরেশতা। আমার নাম মালাকুল-মওত আত্মাঈল (আ)।
হযরত ইদরিস (আ) বললেন, আপনিই কি দুনিয়ার সকল প্রাণীর জান কবজ করে থাকেন? মালাকুল-মওত বললেনহাঁ।
তখন হযরত ইদরিস (আ) বললেন, তবে মনে হয় আপনি আমার জান কবজ করতে এসেছেন।
মালাকুল-মওত বললেন, না, আপনার সাথে ভাই সম্পর্ক করতে এসেছি। আমার একান্ত আশা যে, আপনিও আমার এ প্রস্তাবে রাজী হবেন।
হযরত ইদরিস (আ) বললেন, আমি আপনার সাথে এ শর্তে ভাই সম্পর্ক করতে পারি যে, আপনি আমাকে একবার মৃত্যুর অবস্থাটা উপভোগ করাবেন। যদি আপনি আমাকে এখনই একবার মৃত্যুর অবস্থাটা উপভোগ করান, তা হলে আমার অনেকটা উপকার হত। মৃত্যুর ভয়ে আমি বেশি করে আল্লাহর ইবাদাত করতে পারতাম।
মালাকুল-মওত বললেন, আল্লাহর অনুমতি ছাড়া তো আমি পারি না। যেহেতু এখন তো আপনার মৃত্যুর সময় উপস্থিত হয়নি।
হযরত ইদরিস (আ) বললেন, আপনি আল্লাহর নিকট হতে অনুমতি গ্রহণ করে নিন। তখন মালাকুল-মওত আল্লাহর দরবারে অনুমতি দোয়া করলেন। আল্লাহ তাঁকে অনুমতি প্রদান করলেন। অনুমতি পেয়ে আজরাঈল হযরত ইদরিস (আ)-এর জান কবজ করলেন। তাঁর মৃত্যু হওয়ার পরই মালাকুল-মওত তাঁকে আবার জীবিত করে দেয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন। আল্লাহ তাঁর দোয়া কবুল করে হযরত ইদরিস (আ)-কে আবার জীবিত করে দিলেন।
এরপর ফেরেশতা জিব্রাঈল (আ) তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ভাই ইদরিস (আ)! বলুন তো জান কবজের অবস্থাটা আপনার নিকট কিরূপ মনে হয়েছিল?
হযরত ইদরিস (আ) জবাবে বললেন, ভাই মালাকুল-মওত! কোন জীবিত প্রাণীর শরীরের চামড়া মাথা হতে পা পর্যন্ত টেনে খসিয়ে ফেললে প্রাণীটির যেমন কষ্ট হয় আমার তদ্রূপ কষ্ট অনুভূত হয়েছিল।
ফেরেশতা আজ্রাঈল বললেন, ভাই ইদরিস (আ)! আমি আজ পর্যন্ত যত জান কবজ করেছি, এত সহজে কারও জান কবজ করিনি। আপনার যাতে অল্প কষ্ট হয়, আমি সেদিকে খুবই লক্ষ্য রেখেছিলাম।
আরো পড়ুন:
কৌশলে বেহেশত গমন
যা হোক এরপর ইদরিস (আ) বললেন, ভাই আড্ডাঈল! আমার মনে দোজখ দেখার খুবই সাধ জেগেছে। যদি আপনি আমাকে দোজখ দেখাতেন, তবে দোজখের ভয়ে আমি ইবাদাত-বন্দেগীতে আরও বেশি মনোযোগী হতে পারতাম।
তাঁর প্রস্তাব মঞ্জুর করে আজরাইল (আ) তাঁকে দোজখের দরজা পর্যন্ত নিয়ে গেলেন। তিনি দোজখ দেখার পর বললেন, ভাই আজ্রাঈল (আ)। আমার মনে বেহেশত দেখারও অত্যন্ত আগ্রহ জেগেছে। যদি আপনি যদি আমার এ সাধটি পূর্ণ করতেন, তবে আমি চিরকৃতজ্ঞ হয়ে থাকতাম।
মালাকুল-মওত বললেন, যদি আপনি আমার নিকট প্রতিশ্রুতি দেন যে, বেহেশত দেখেই আমার নিকট ফিরে আসবেন, তা হলে আপনাকে বেহেশত দেখাতে পারি।
হযরত ইদরিস (আ) তাতে রাজী হলে আড্রাঈল (আ) তাঁকে বেহেশতের দরজায় পৌঁছে দিলেন। তিনি বেহেশতের দরজায় নিজের জুতা খুলে রেখে তার ভিতরে প্রবেশ করে কিছুক্ষণ ঘুরা-ফিরা করলেন। তারপর ফিরে এসে নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করলেন, কিন্তু আবার পরক্ষণেই জুতা পায় দিয়ে এক দৌড়ে বেহেশতের ভিতরে ঢুকে পড়লেন।
মালাকুল-মওত তাঁকে ডেকে বললেন, ভাই ইদরিস (আ)। আপনি আবার বেহেশতে ঢুকিলেন কেন? তাড়াতাড়ি চলে আসুন। আমি আপনাকে দুনিয়ায় পৌঁছে দিয়ে আমার অন্যান্য কাজে রত হব।
হযরত ইদরিস (আ) বেহশতের ভিতর হতে জবাব দিলেন, ভাই মালাকুল- মওত। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেছেন: প্রত্যেক প্রাণীই একবার মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে এবং একবার দোজখ না দেখে কেউই বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না। আমি তো একবার মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করলাম এবং দোজখও দেখলাম। তারপর বেহেশত হতে বের হয়ে আপনার সাথে আমার ওয়াদাও পালন করলাম। অতএব এখন আর আমি বেহেশত হতে বের হব না, আপনি এবার আপনার কাজে চলে যান।
ফেরেশতা আত্মাঈল (আ) হযরত ইদরিস (আ)-এর কথা শুনে কর্তব্য স্থির করতে না পেরে দাঁড়িয়ে রইলেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আজাঈলকে লক্ষ্য করে বললেন, 'আত্মাঈল। ইদরিসকে বেহেশতেই থাকতে দাও। তার অদৃষ্টে আমি এরূপ ঘটনাই লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলাম।' এরপর হযরত ইদরিস (আ) মহা সুখে বসবাস করতে লাগলেন। এদিকে কিন্তু তাঁর পরিবারবর্গ তাঁর বিচ্ছেদে কেঁদে দিন কাটতে লাগল।
আরো পড়ুন:
ইবলীসের ছলনা
কিছুদিন পর পাপীষ্ঠ ইবলীস একদিন হযরত ইদ্রিস (আ)-এর সন্তান-সন্ততির কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, তোমাদের পিতার জন্য এভাবে দিনরাত ক্রন্দন করে কি লাভ হবে? আমি তোমাদের পিতার জনৈক ভক্ত উম্মত। তাঁর সমস্ত উম্মতের মধ্যে আমিই ছিলাম তাঁর সবচেয়ে প্রিয় ও স্নেহের পাত্র। তিনি জীবিত থাকাকালেই তাঁর অবিকল আকৃতির একটি পাথরের মূর্তি তৈরি করে আমার নিকট দিয়ে বলে গেছেন যে, আমার বেহেশত গমনের পর তোমরা সকলে আমার এ মূর্তিকেই ভক্তি-শ্রদ্ধা করবে এবং এর চারদিকে ঘুরে একে তাওয়াফ করবে। অনবরত এর পূজা-অর্চনা করবে। তা হলে আমি তোমাদের প্রতি অত্যন্ত সন্তুষ্ট থাকব এবং তোমাদের প্রত্যেকের ভালোর জন্য আল্লাহর দরবারে সুপারিশ করব।
পাপীষ্ঠ ইবলীসের ছলনায় হযরত ইদ্রিস (আ)-এর সন্তানগণ ভুলে গেল এবং তারা ঐ মূর্তিটিকে একটি পাহাড়ের উপর স্থাপন করে তার পূজা ও তাওয়াফ প্রভৃতি করতে শুরু করল। ঐ মূর্তিটা হুবহু ইদ্রিস (আ)-এর মতই ছিল। যে লোক তা দেখত, সে-ই মনে করত যে, হযরত ইদ্রিস (আ)-ই পাহাড়ের উপর উপবিষ্ট আছেন।
ইবলীস হযরত ইদ্রিস (আ)-এর সন্তানদের হাতে মূর্তিটা দিয়েই তার কর্তব্য শেষ করল না। সে ঐ মূর্তি সম্পর্কে যে কথা হযরত ইদ্রিস (আ)-এর সন্তানদের কাছে বলেছিল সে কথা সারা দেশে ঘুরে ঘুরে প্রচার করতে লাগল। ফলে দেশের সকলেই এসে হযরত ইদ্রিস (আ)-এর মূর্তির পূজা করতে আরম্ভ করল।তাতে
ক্রমে অবস্থা এই দাঁড়াল যে, হযরত ইদ্রিস (আ)-এর প্রচারিত সত্য ধর্মের রীতিনীতি সম্পূর্ণ রূপে বিলুপ্ত হয়ে মূর্তি পূজার ব্যাপক প্রসার লাভ করল। সকলেই তাকে প্রকৃত ধর্মনীতি বলে মনে করতে লাগল।
আরো পড়ুন:
হযরত ইদ্রিস (আ)-এর আকৃতি ও গঠন
হযরত ইদ্রিস (আ)-এর উজ্জল বর্ণ পূর্ণাবয়ব, অল্পকেশী মস্তক, সুদর্শন ও সুশ্রী, ঘন দাঁড়ি, রং রূপ ও চেহারার কমনীয়তা, কঠিন বাহু, প্রশস্ত স্কন্ধ, শক্ত হাড়, হালকা পাতলা গঠন, উজ্জ্বল সুর্মা রং চক্ষুদ্বয়। কথাবার্তায় গম্ভীর, নীরবতা প্রিয়, গম্ভীর ও দৃঢ়চেতা, চলাফেরায় নিম্নদৃষ্টি, চরম পর্যায়ের চিন্তা ও অনুসন্ধানে অভ্যস্ত, ক্রোধের সময় অত্যন্ত ক্রদ্ধ, কথা বলার সময় তর্জনী অঙ্গুলি দিয়ে বার বার ইশারা করতে অভ্যস্ত ছিলেন। হযরত ইদ্রিস (আ) ৮২ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন।
তার আংটির ওপর নিচের এ বাক্যটি অংকিত ছিল-
উচ্চারণ: আছছাবরু মাআল ঈমানি বিল্লাহি ইউরিছুয যাফরু।
অর্থাৎঃ আল্লাহর প্রতি ঈমানের সাথে সাথে ধৈর্য, বিজয়ের কারণ হয়ে থাকে।
আর কোনরবন্দের উপর লিখিত ছিল-
উচ্চারণ : আলআ'ইয়াদু ফি হিফযিল ফুরূদি ওয়াশ শারীআতু মিন তামামিদ দীনি ওয়া তামামু দীনি কামালুল মরুওয়াতি।
অর্থ: প্রকৃত ঈদ বা আনন্দ আল্লাহ্ পাকের ফরযগুলো সংরক্ষণের মধ্যেই নিহিত। আর ধর্মের পূর্ণতা শরীয়তের সাথে সংশ্লিষ্ট আর মানবতার পূর্ণতা অর্জনেই ধর্মের পূর্ণতা সাধিত হয়। তিনি জানাযার নামাযের সময় যে পাগড়ী বাঁধতেন, তাতে নিম্ন বাক্যটি লেখা থাকত:
উচ্চারণ : আসসাঈদু মান নাযারা লিনাফসিহী ওয়া শাফাআতুহু ইনদা রাব্বিহী আ'মালুহুছ ছালিহাতি।
অর্থাৎঃ ভাগ্যবান সে ব্যক্তি যে নিজের নক্সের প্রতি দৃষ্টি রাখে। আর প্রভুর দরবারে মানুষের জন্য সুপারিশকারী হল তার নেক আমলসমূহ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url