হযরত যাকারিয়া (আ) এর সংক্ষিপ্ত জীবনী

হযরত যাকারিয়া (আ) হযরত দাউদ (আ)-এর বংশোদ্ভূত নবী ছিলেন। নবুয়তপ্রাপ্ত হয়ে তিনি বনী ইস্রাঈলদের মধ্যে ধর্ম প্রচারে নিযুক্ত হলেন।

অর্থ: আর যাকারিয়া: ইয়াহ ইয়া। ঈসা ইলয়াস তারা সকলেই নেককারদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। (সূরা আনআম-৮৫)

তাঁর বয়স বার্ধক্যে উপনীত হল। কিন্তু আল্লাহ তাঁর কোন সন্তান-সন্ততি দান করলেন না। এমতাবস্থায় আল্লাহর দরবারে মুনাজাত শুরু করলেন। হে আমার প্রতিপালক! আমার মেরুদণ্ড বাকা হয়ে পড়েছে এবং মাথার চুল সাদা রং ধারণ করেছে। আমি এ পর্যন্ত তোমার নিকট কোন দোয়া করে বিফল মনোরথ হইনি, কিন্তু আমি একটি ব্যাপারে খুবই নিরাশ হয়ে পড়েছি। যেহেতু একে তো আমি একেবারে বার্ধক্যে উপনীত হয়েছি, আমার স্ত্রীও সম্ভবতঃ বন্ধ্যা তাই আমার কোন সন্তান-সন্ততি হবার আশা নেই। যদি আমি নিঃসন্তান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করি, তবে আমার কোন ওয়ারিশ থাকবে না। অতএব হে মাবুদ। তুমি দয়া করে আমাকে একটি পুত্র সন্তান দান কর।

আল্লাহর দরবারে হযরত যাকারিয়া (আ)-এর দোয়া কবুল হল। আল্লাহর তরফ হতে অবতীর্ণ হল, হে যাকারিয়া। আমি তোমাকে এক শুভ সংবাদ প্রদান করছি। তোমার ইয়াহইয়া নামে একটি পুত্র সন্তান জন্মলাভ করবে। এ কথা শুনে হযরত যাকারিয়া (আ) বললেন, হে মাবুদ! আমার ও আমার স্ত্রী এ বার্ধক্য অবস্থায় কেমন করে পুত্র সন্তান জন্মলাভ করবে?


এ মুহূর্তে ফেরেশতা জিব্রাঈল (আ) উপস্থিত হয়ে বললেন, হে আল্লাহর নবী। আল্লাহ তায়ালার পক্ষে আপনাকে সন্তান দান করা মোটেই কোন কঠিন কাজ নয়। আপনি নিজের সম্পর্কেই চিন্তা করে দেখুন। পূর্বে আপনি কি ছিলেন? একসময় আপনার তো কোন অস্তিত্বই ছিল না। অথচ তারপরে আপনি আল্লাহর কুদরতে হাত, পা, চোখ, কান, অন্তরধারী মানুষরূপে অস্তিত্ব লাভ করলেন।

হযরত যাকারিয়া (আ) আল্লাহর দরবারে বললেন, হে মাবুদ! জিব্রাঈলের কথা ঠিকই বটে, কিন্তু তবু যে আমার মন মানছে না। আমাকে যে আপনি সন্তান দান করবেন, তার কিছু নিদর্শন আমাকে প্রদর্শন করুন।

আল্লাহতায়ালা বললেন, হে যাকারিয়া। তুমি তিনদিন তিনরাত্রি কোন লোকের সাথে কোন রকম কথাবার্তা বলতে পারবে না। ঐ সময়ের জন্য তুমি নির্বাক হয়ে যাবে। কোন প্রয়োজন দেখা দিলে শুধু হাত ও মাথার দ্বারা ইশারা করবে।


এর পর কিছুদিন অতিবাহিত হল। তখন হযরত যাকারিয়া (আ)-এর স্ত্রীর হায়েজ (রক্তপাত) হতে দেখলেন। তার পর স্বামী হযরত যাকারিয়া (আ)-এর সাথে তাঁর মিলন হল এবং মিলনের মাধ্যমেই আল্লাহর রহমতে হযরত যাকারিয়া (আ)-এর স্ত্রী গর্ভবতী হলেন।


তাঁর গর্ভবতী স্ত্রী যথাসময়ে একটি পুত্র সন্তান প্রসব করলেন। তিনি আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে উক্ত পুত্রের নাম ইয়াহইয়া রাখলেন। এ পুত্রের অন্তরে আল্লাহ তাঁর খাস নূরের অপূর্ব বৈশিষ্ট্য প্রদান করেছিলেন।


তিনি শিশু অবস্থায় চার বছর বয়ঃক্রমকাল পর্যন্ত ঘরের মধ্যে ছিলেন। একবারের জন্যও ঘরের বের হননি। যখন কৈশোরে উপনীত হলেন, তখনও তিনি বের হয়ে অন্যান্য ছেলেপেলেদের সাথে খেলাধূলা করা হতে বিরত থাকতেন। শুধু ঘরের মধ্যে নির্জনে বসে কিসের চিন্তা করতেন এবং কান্না করে সময় অতিবাহিত করতেন। তাতে তাঁর মাতা তাঁকে বলতেন, বাছা! এভাবে সবসময় যদি ঘরের মধ্যে বসে থাক তা হলে যে তুমি একেবারে অলস এবং অকর্মণ্য হয়ে' পড়বে। তুমি বাইরে গিয়ে সমবয়সী ছেলেপেলেদের সাথে একটু ছুটাছুটি ও খেলাধূলা কর, তাতে মনেও বেশ আনন্দ পাবে।


জননীর কথা শুনে বালক ইয়াহইয়া বলতেন, আম্মা! আমাকে তো আল্লাহ তায়ালা পৃথিবীতে খেলাধূলা করার জন্য পাঠাননি। আমাকে তিনি যে উদ্দেশ্যে প্রেরণ করেছেন সে উদ্দেশ্য সামনে রেখে আমাকে চলতে হবে।

বালক ইয়াহইয়ার অবস্থা দেখে তাঁর পিতা হযরত যাকারিয়া (আ)-ও নিরানন্দ হয়ে পড়লেন। তিনি আল্লাহর দরবারে আরজ করলেন, হে মাবুদ! আমি তোমার নিকট সন্তানের জন্য দোয়া করছিলাম, তুমি আমাকে পুত্র দান করেছ; কিন্তু সে শুধু নির্জনে বসে কেঁদে সময় কাটায় আর কি যেন ভাবতে থাকে। তার মুখে কোন হাসি-খুশী নেই। দয়াপূর্বক তুমি তার এ স্বভাবের পরিবর্তন করে দাও।

আল্লাহ তায়ালা বললেন, হে যাকারিয়া। তুমি আমার নিকট একটি সৎপুত্রের জন্য দোয়া করেছিলে; অতএব আমি তোমাকে এরূপ সন্তান দান করেছি। আমি এরূপ বান্দাকেই অধিক ভালবাসি, যে সব সময় আমার উদ্দেশ্যে কান্নাকাটি করে এবং আমার নিকট ব্যতীত অন্য কারও নিকট কিছু প্রত্যাশা করে না।

আল্লাহ পাকের এ বাণী শুনে হযরত যাকারিয়া (আ) খুবই খুশী হলেন এবং আল্লাহর দরবারে অশেষ শোকর আদায় করলেন।

এ কথিত আছে যে, হযরত ইয়াহইয়া (আ) তাঁর পিতার ওয়াজ-নসীহত শুনে ও তাঁর নিকট শিক্ষালাভ করে অত্যন্ত সাদাসিধাভাবে চলতেন। তাঁর পোশাক-

পরিচ্ছদও ছিল একেবারে মামুলী ধরনের। তাঁর বয়স কিছুটা বৃদ্ধি পেলে তিনি বাইতুল মুকাদ্দাস মসজিদেই অধিকাংশ সময় কাটাতেন। দিবা-নিশি সেখানে থেকে শুধু আল্লাহর ইবাদাত করতেন। পানাহার তিনি এত কম করতেন যে, তাতে তাঁর দেহ শুকিয়ে একেবারে জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে গেল। এ অবস্থা দেখে তাঁর পিতামাতা বললেন, বাবা ইয়াহইয়া। আল্লাহর রহমতে যখন তোমার দেহে শক্তি-সামর্থ্য দিয়েছেন, তদনুসারে তুমি তাঁর ইবাদাত-বন্দেগী করবে, এতো খুবই স্বাভাবিক, কিন্তু তার সঙ্গে তোমার প্রয়োজনীয় খাদ্য-খাদক গ্রহণ করাও আবশ্যক। নতুবা তোমার স্বাস্থ্য ও শরীর সবল থাকবে কেন?


পিতামাতার এ সকল কথা তাঁর নিকট মনোমত হত না। তিনি মনে মনে বলতেন, অধিক আহার করলে তাঁর মধ্যে অলসতা আসবে, ফলে তাঁর মনোমত ইবাদাত করায় বাঁধার সৃষ্টি হবে।


মসজিদে থাকাকালে তাঁর ইবাদাত এবং কান্না দু'টোই সমানভাবে চলত। কাঁদতে কাঁদতে তাঁর দু'চক্ষুর কোণে ও উভয় গালে পানিতে ক্ষতের সৃষ্টি হল। তাঁর পিতা এ অবস্থা দেখে তাঁর দু'চক্ষুর নীচে কাপড় দ্বারা এমন মজবুত পট্টি বেঁধে দিলেন যেন চক্ষের পানি বয়ে গালে পৌছতে না পারে।


হযরত যাকারিয়া (আ) মজলিসে পাপের আযাব সম্পর্কিত ওয়াজ করলে হযরত ইয়াহ-ইয়া তা শুনে ভয়ে অস্থির হয়ে কাঁদতে কাঁদতে ব্যাকুল হয়ে পড়তেন। যার ফলে হযরত যাকারিয়া (আ) পুত্র ইয়াহইয়া (আ)-এর অনুপস্থিতিতেই এ জাতীয় ওয়াজ করতেন। তাঁর উপস্থিতিতে অন্য প্রকার ওয়াজ করতেন।


একদিন হযরত যাকারিয়া (আ) ওয়াজ করতে শুরু করেই মজলিসের চারদিকে তাকিয়ে দেখলেন যে, পুত্র ইয়াহ-ইয়া উপস্থিত আছে কিনা। কিন্তু মজলিসের কোনদিকে তাঁকে না দেখে মনে করলেন যে, আজ হয়ত মজলিসে উপস্থিত নেই, সুতরাং তিনি সেদিন মজলিসের শ্রোতা বনী ইস্রাঈলদেরকে লক্ষ্য করে বেহেশতের নেয়ামত এবং দোযখের কঠোর আযাব সম্পর্কিত ওয়াজ করতে লাগলেন। ঐদিন হযরত ইয়াহ-ইয়া মজলিসের এক কোণে একটু আড়ালে বসে পিতার মুখে বেহেশতের ও দোযখের আলোচনা শুনে ধৈর্য হারিয়ে কান্না করতে করতে দৌড়ে পাহাড়ের দিকে গিয়ে একেবারে নিরুদ্দেশ হয়ে গেলেন। পিতামাতা ও আত্মীয়-স্বজন বহু অনুসন্ধান করেও তাঁর খোঁজ পেলেন না। সাতদিন অতীত হওয়ার পর তাঁকে একটি পর্বত গুহায় বসে ইবাদাত এবং কান্নাকাটি করতে দেখা গেল। মাতা তাঁকে অনেক বুঝিয়ে-শুনিয়ে কোন রকমে বাড়ীতে নিয়ে আসলেন, কিন্তু তাঁর কান্না কিছুতেই বন্ধ হল না।

মূলত: আল্লাহ তায়ালার মহান দরবারে ক্রন্দনের মূল্য ইবাদাত অপেক্ষাও বেশী। উল্লেখ্য যে, হযরত ইয়াহইয়া (আ) এই কথার সত্যতা পুরাপুরিরূপেই উপলব্ধি করেছিলেন। তার বয়স যখন মাত্র সাত বছর তখন হতেই তাঁর ক্রন্দনের মাত্রা আরও বেড়ে গেল। তাঁর এত বেশী ক্রন্দনের কারণে পিতামাতা কারও মনে শান্তি ছিল না। একদিন হযরত যাকারিয়া (আ) জিজ্ঞেস করলেন, বাবা! তোমার এত বেশী কাঁদার কারণ কি? জবাবে বললেন, আব্বাজান! কাঁদব না কেন বলুন? জাহান্নামের বেশি অগ্নিরাশিকে নির্বাপিত করার মত কোনকিছুই যোগাড় করতে পারছি না। তবে চোখের অশ্রুর সাহায্যে তা সম্ভব হয়, সে ভরসায়ই কান্না করছি।


হযরত যাকারিয়া (আ)-এর শাহাদাত বরণ  

হযরত যাকারিয়া (আ)-এর সময় বনী ইস্রাঈল সম্প্রদায় মারাত্মকভাবে আল্লাহ পাকের অবাধ্য হয়ে দ্বীন-শরীয়তকে সম্পূর্ণরূপে তরক করল। হযরত যাকারিয়া (আ) তাদেরকে হেদায়াত করার জন্য যতই চেষ্টা করছিলেন, তারা ততই তাঁর কথার বিরুদ্ধাচরণ করতে লাগল। এমনকি তারা তাঁর প্রাণনাশ করতে পর্যন্ত বদ্ধপরিকর হল; কিন্তু আল্লাহর নবী তা সত্ত্বেও তাঁর দায়িত্ব পালন করে চললেন।


একদিন তিনি কিছুসংখ্যক লোকের এক মজলিসে ওয়াজ-নসিহত করছিলেন, এমন সময় বাহির হতে একদল দুর্বৃত্ত মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাঁকে হত্যা করতে মারমুখী হয়ে আসতে লাগল। এ দেখে প্রাণের ভয়ে তিনি দৌড়ে জঙ্গলের দিকে চলে গেলেন। পাপীষ্ঠ শত্রুগণও তাঁর পশ্চাদ্ধাবন করল। তারা একেবারে নিকটবর্তী হলে হযরত যাকারিয়া (আ) একটি বড় গাছের নিকটবর্তী হয়ে বললেন, গাছ! তোমার ভিতরে আমাকে আশ্রয় দান কর। সাথে সাথে গাছটি দু'ভাগ হয়ে গেল। হযরত যাকারিয়া (আ) দ্রুত তার ভিতরে প্রবেশ করলেন। আবার গাছটির খন্ড দুটি মিলিত হয়ে গেল।


হযরত যাকারিয়া (আ) গাছের ভিতরে আত্মগোপন করলেন বটে, কিন্তু হযরত যাকারিয়া (আ) যখন গাছের ভিতরে প্রবেশ করছিলেন, তখন তাঁর একটি আঁচল গাছটি জোড়া লাগলেও বাইরে রয়ে গেল।


এদিকে হযরত যাকারিয়া (আ) এ মুহূর্তে শত্রুদের দৃষ্টির অন্তরাল হওয়ায় তারা তাঁকে জঙ্গলের ভিতরে সর্বত্র তালাশ করতে লাগল, কিন্তু কোথাও তাঁর সন্ধান পেল না। তখন ইবলীস জনৈক মানুষের রূপ ধরে তাদের কাছে উপস্থিত হয়ে বলল, তোমরা যাকারিয়াকে কি করে পাবে বল? সে যে এক মস্তবড় যাদুকর। এত বড় বেশি যাদুকর আমি আজ পর্যন্ত আর দেখিনি। এইমাত্র তোমাদের ভয়ে সে একটি গাছের মধ্যে প্রবেশ করে আত্মগোপন করেছে।

লোকগুলো শুনে বলল, বলছ কি তুমি, গাছের ভিতরে মানুষ ঢুকতে পারে কিভাবে? তুমি ডাহা মিথ্যা কথা বলছ।

ইবলীস বলল, আমাকে তোমরা অযথা মিথ্যাবাদী বলছ। আমি মিথ্যা কথা বলতে যাব কেন? যা আমি নিজের চোখে দেখেছি, তা যদি মিথ্যা হয় তবে পৃথিবীতে সত্য বলে তো কোন কিছুই নেই। লোকজন তবু তার কথায় আস্থা আনতে চাইল না। তখন ইবলীস বলল, আমি সত্য কথা বলছি, তার প্রমাণও রয়েছে। ইচ্ছা হলে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখতে পার।

ইবলীস তখন তাদেরকে গাছটির নিকটে নিয়ে গিয়ে হযরত যাকারিয়া (আ)-এর কাপড়ের আঁচল দেখিয়ে বলল, এ দেখ প্রমাণ। তা দেখে তারা বিস্ময় বিহবল হয়ে গেল। এরপর তারা একটি করাত এনে গাছটি চিরতে শুরু করল।

বর্ণিত আছে যে, তাদের করাত উপর হতে গাছটিকে চিরতে চিরতে যখন হযরত যাকারিয়া (আ)-এর মাথায় গিয়ে ঠেকল এবং মাথা চিরতে আরম্ভ করল, তখন হযরত যাকারিয়া (আ) প্রবল যন্ত্রণায় আহা উহু ও হা-হুতাশ করতে লাগলেন, ঠিক এ মুহূর্তে তাঁর নিকট ফেরেশতা জিব্রাইল হাজির হয়ে বললেন, হে আল্লাহর নবী, সাবধান! আপনি কোন রকম আওয়াজ বা চীৎকার করবেন না। ধৈর্য ধরে থাকবেন। নতুবা এখনি আল্লাহ তায়ালা আপনার নাম নবুয়তের দপ্তর হতে কেটে ফেলবেন। পক্ষান্তরে, আপনি ধৈর্য এবং শোকরের ফযীলত হতেও বঞ্চিত হবেন। তখন আপনার সবকিছুই বরবাদ হয়ে যাবে।

আপনি আল্লাহর নবী হয়ে মুসীবতে পড়ে আল্লাহর দরবারে আশ্রয় প্রার্থনা না করে একটি গাছের কাছে আশ্রয় চাইলেন। এ আপনার জন্য একটি মারাত্মক ভুল হয়েছে, আপনাকে কোন গাছ রক্ষা করতে পারে না। আপনি গাছের কাছে আশ্রয় চেয়ে যে ভুল করেছেন, তার শাস্তিস্বরূপ কাফের দুশমনগণ আপনাকে করাত দিয়ে চিবে দ্বিখন্ডিত করবে। এ সময় আপনি যদি ধৈর্যাবলম্বন করতে পারেন তা হলে আল্লাহ আপনার ভুলের অপরাধ ক্ষমা করবেন।

কিছু সময়ের মধ্যেই কাফেরগণ করাত দ্বারা হযরত যাকারিয়া (আ)-এর দেহ দ্বিখন্ডিত করে ফেলল। তিনি আল্লাহর নাম যিকির করতে করতে শাহাদাতবরণ করলেন; কিন্তু এতটুকু আহা-উহু করলেন না। তিনি এভাবে শাহাদাতবরণ করলে তাঁর পুত্র হযরত ইয়াহইয়া (আ) শুধু ইন্নালিল্লাহি অইন্না ইলাইহি রাজিউন পাঠ করলেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url