মদীনা- ইসলামি রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ
মহানবী (স)-এর বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে সংক্ষেপে বলতে পারবেন। মদীনা ইসলামি রাষ্ট্রের বিচার বিভাগের বিধিবিধান সম্পর্কে লিখতে পারবেন।
ভূমিকা
সুবিচার প্রতিষ্ঠাকে একটি রাষ্ট্রের মেরুদন্ড বলা যেতে পারে। ইসলাম স্বভাব ধর্ম হওয়ার কারণে সুবিচারের প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে। প্রিয় নবী (স) সুবিচারের প্রতি যে গুরুত্ব আরোপ করেছেন ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। ধনী-দরিদ্র, মুসলিম-অমুসলিম, বন্ধু-শত্রু সকলের জন্য তাঁর ইনসাফ ও সুবিচার ছিল সমান। পরিত্র কুরআনের বাণী-
"আল্লাহ ন্যায়পরায়ণতা ও সদাচরণের নির্দেশ দিচ্ছেন।" (সূরা আন-নাহাল: ১০)
মহানবী (স) এর বিচার ব্যবস্থা
মহানবী (স) বিচারকার্য সুচারুভাবে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
মদীনা ইসলামি রাষ্ট্রের কা'যা বা বিচার বিভাগকে অত্যন্ত উন্নতমানের করে গড়ে তুলেছিলেন। আল্লাহর বাণী আল-কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী সমাজে ও রাষ্ট্রে ইনসাফ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য বিচারালয়কে উপযুক্তরূপে গড়ে তোলা হয়েছিল। নবী করীম (স) নিজে ছিলেন প্রধান বিচারক। এছাড়া বিচারকমন্ডলী নিয়োজিত ছিলেন রাষ্ট্রের সর্বত্র। তারা তাঁদের সৎচরিত্র, ইসলামি শরীয়া, হুদুদ ও দন্ডবিধি সম্পর্কে প্রগাঢ় জ্ঞান, উন্নত গুণাবলী, বিচার নৈপুণ্যের জন্যই বিচারক পদে অধিষ্ঠিত হতেন।
নবী করীম (স) ইসলামি রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে এদিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। ঐশী প্রত্যাদেশ অনুযায়ী তিনি স্বয়ং ইনসাফ ও ন্যায়ের আধার ছিলেন। কেননা খোদায়ী বিধানের প্রধান ব্যাখ্যাদাতা হিসেবে তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ বিচারপতি। জানা যায়, সর্বোচ্চ বিচারক হিসেবে তিনি অসংখ্য মামলার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আল্লামা কাত্তানী তাঁর গ্রন্থের একটা পৃথক অধ্যায়ে রাসূল (স)-এর কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক পর্যায়ের বিচারকদের বিষয় লিপিবদ্ধ করেছেন। তাদের মধ্যে আট জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। তাঁরা হলেন উমর, আলী, মু'আয ইবন জাবাল, আবদুল্লাহ ইবন মাস'উদ, যায়দ ইবন সাবিত, আবূ মূসা আল-আশআরী, উকবাহ ও মা'কিল ইবন ইয়াসার।
এ প্রসঙ্গে এখানে এটা অবশ্যই উল্লেখ করতে হয় যে, নবী (স) -এর যুগে কা'যীদেরকে দু'টি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় কার্যী ও প্রাদেশিক কা'খী। হযরত আলী, মু'আয ও আবু মূসা আল-আশআরীসহ অন্যান্য বিচারকরা ছিলেন প্রাদেশিক বা বিভাগীয় কাযী। তখনকার সময় আমীর, জাবী (কর সংগ্রহকারী) এবং আমিল শব্দ কয়টি একটির পরিবর্তে অপরটি ব্যবহার করা হতো। বস্তুত কেন্দ্রীয়, প্রাদেশিক ও স্থানীয় সকল প্রশাসক বিচার বিভাগীয় ক্ষমতারও অধিকারী ছিলেন। কেননা সে যুগে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের প্রয়োজন দেখা দেয়নি এবং কার্যীদেরকে সাধারু প্রশাসনের অন্তর্ভুক্ত করা হত। প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগকে পৃথক করার প্রয়োজনও পড়েনি।
এছাড়া কতক ব্যক্তি নবী (স) -এর নির্দেশে অনেক সময় তাঁর উপস্থিতিতেও কা'যীর দায়িত্ব পালন করতেন। ইমাম তিরমিযী আহমদ ইবন হাম্বল ও আল-হাকিম কর্তৃক লিপিবদ্ধ হাদীস থেকে জানা যায় যে, বিবদমান পক্ষগুলো নবী (স)-এর নিকট মামলা দায়ের করলে পৃথক পৃথক ক্ষেত্রে তিনি হযরত উমর, মাকিল বিন ইয়াসার ও উকবাহকে বিবাদমান পক্ষদ্বয়ের মামলার নিষ্পত্তি করতে বলতেন। অবশ্যই এটি দ্বারা নবী (স) এর লক্ষ্য ছিল ইসলামি রাষ্ট্রের ভবিষ্যত কাযী ও শাসকদের বাস্তব ধাক্কা ও প্রশিক্ষণ দেয়া এবং এমন একটি প্রশাসনিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা যেটা প্রশাসনের প্রাত্যহিক সমস্যাসমূহের মুকাবিলা করতে সক্ষম হয়।
তবে পরবর্তী লেখকরা বর্ণনা করেছেন যে, বিরোধ নিষ্পত্তির প্রশ্নে নবী (স) ব্যক্তিগত ভাবেই কাউকে না কাউকে দায়িত্ব দিয়েছেন এমন নয় বরং কখনো কখনো মামলার প্রকৃতি বিচার করে সামষ্টিকভাবে কয়েকজনের উপর বিচারের দায়িত্ব আরোপ করতেন।
মদীনা-ইসলামি রাষ্ট্রের বিচার বিভাগে পালনীয় বিধি বিধান
মদীনা ইসলামি-রাষ্ট্রের বিচার বিভাগে যে সব বিধি-বিধান ও নিয়ম-নীতি অনুসরু করা হত তা নিম্নরূপ-
আল্লাহ প্রদত্ত বিভিন্ন বিধানের অনুসরু
মহান আল্লাহ কর্তৃক নাযিলকৃত বিধি-বিধান মোতাবেক বিচার ও ফয়সালার কাজ সম্পন্ন করা আবশাক ছিল। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন-
"আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন তদনুসারে। যারা বিধান দেয় না তারা কাফের। (সূরা আল-মায়েদা ৪৪) বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত রয়েছে যে, একবার হযরত আনাস ইবন মালিক (রা)এর নিকট আত্মীয় রবি বিনতে নজরের হাতে একজন আনসারী মেয়ের দাঁত ভেঙ্গে গিয়েছিল। মেয়েটির পরিবারের লোকেরা মহানগী )সা.)-এর দরবারে বিচারপ্রার্থী হলেন। হযরত রাসূলুল্লাহ (স) মহান আল্লাহর বাণী والسن بالسی "দাঁতের বিনিময়ে দাঁত" (সূরা আল-মায়েদা ৪৫)। অনুসারেই রায় প্রদান করলেন।
যে সব সুপারিশ অগ্রহণযোগ্য
বিচার কার্যে কারো সুপারিশ অগ্রহণীয় ছিল। মদীনা ইসলামি রাষ্ট্রের বিচারবিভাগ ছিল সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ। বার্মী বিবাদী কারো পক্ষে কোন সুপারিশ গ্রহণযোগ্য ছিল না। বিচারকগণ সম্পূর্ণভাবে প্রভাবমুক্ত ছিল।
বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত আছে যে, পবিত্র মক্কা বিজয়ের সময় মাখজুমী গোত্রের ফাতেমা নামক একজন মহিলা চুরিতে ধরা পড়ল। এ গোত্রের লোকেরা রাসূলুল্লাহ (স) এর অত্যন্ত প্রিয় সাহাবী হযরত উসামা বিন জায়েদ (রা)-এর নিকট গিয়ে বললেন, আপনি ফাতেমা সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (স) এর নিকট একটু সুপারিশ করুন যেন তিনি ফাতেমার বিচার একটু সহজ করেন।
হযরত উসামা (রা) এরূপ সুপারিশ করার পর হযরত রাসূল (স) রাগ করে বললেন: 'উসামা তুমি আমার নিকট স্বয়ং আল্লাহ তা'আলার নির্ধারিত বিধান পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করছ?” হযরত উসামা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আরজ করলেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ। আমাকে ক্ষমা করুন।"
অনুমানের ভিত্তিতে রায়প্রদান নিষিদ্ধ
পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে অনুমানের ভিত্তিতে রায় প্রদান করা হত না। বুখারী শরীফে বর্ণিত রয়েছে: একবার হযরত মুহাম্মদ (সা.) তাঁর একজন অত্যন্ত প্রিয় সাহাবী, হযরত আবদুল্লাহ ইবন সহলকে তার চাচাত ভাই মোহাইসা (রাঃ) সহ খায়বারের খেজুর পরিমাপ করার জন্য প্রেরণ করেন। হযরত আবদুল্লাহ একজন আততায়ীর হাতে রাস্তায় শহীদ হন। হযরত মোহায়সা তখন হযরত আবদুল্লাহর নিকট ছিলেন না। হযরত আবদুল্লাহর হত্যাকারী কোন ইয়াহুদীই হবে, কেননা এলাকাটি ছিল ইয়াহুদীদের, আর তারা ছিল মুসলমানদের চরম শত্রু ভাই এ দ্বীন কাজ হয়তো তাদের দ্বারাই হয়েছে।
কিন্তু হত্যাকারী কে? নির্দিষ্টভাবে তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। এজন্য মোহাইসা (রা) বিচার দায়েরের পর হযরত মুহাম্মদ (স) তাকে বললেন: তুমি কি শপথ করে বলতে পার যে, এ ঘটনা ইয়াহুদীদের দ্বারাই ঘটেছে?
স্বজন প্রীতি থেকে মুক্ত হয়ে বিচার কার্য পরিচালনা
মদীনা ইসলামি রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল-
এতে স্বজন-প্রীতির বিন্দুমাত্র অবকাশ ছিল না। যদি সত্যকে তুলে ধরার জন্য স্বীয় আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধেও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয় তাতেও দ্বিধা করার কোন অনুমতি নেই। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা করেছেন:
"হে মুমিনগণ! তোমরা ন্যায়বিচারে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকবে আল্লাহর সাক্ষী স্বরূপ যদিও তা তোমাদের নিজেদের অথবা পিতামাতা এবং আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে হয়।" (সূরা আন-নিস-১৩৫)
কোন কোন সময়ে স্নেহ ভালবাসা, মায়া-মমতা অথবা কারো ভয়-ভীতি মানুষকে ন্যায়বিচারের পথ থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। এই জন্যই পবিত্র কুরআনে আত্মীয়তা ও স্বজনপ্রিয়তার প্রভাবে প্রভাবান্বিত হয়ে কোন রকম রায় না করার তাগিদ করা হয়েছে। কেননা, এমন অবস্থায় ন্যায়বিচারের আশা সুদূরপরাহত।
একবার জনৈক ইহুদী একজন মুসলমানের বিরুদ্ধে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে মামলা দায়ের করল। প্রিয়নবী (স) সত্য ও ন্যায়ের খাতিরে সেই ইয়াহূদীর পক্ষে রায় দিয়ে সুবিচারের এক মহান আদর্শ পেশ করেন।
আঞ্চলিকতা ও দলীয় প্রভাবমুক্ত হওয়া
মদীনা ইসলামি রাষ্ট্রের বিচার কার্য সম্পূর্ণভাবে আঞ্চলিকতা প্রভাব মুক্ত ছিল। এ প্রসঙ্গে মহানবী (স) এরশাদ করেছেনঃ "যারা আঞ্চলিকতার প্ররোচনা দিবে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়।" (আবু দাউদ)
একবার হযরত ওয়াসেলা ইবন আসকা জানতে চাইলেনঃ "ইয়া রাসুলাল্লাহ! আঞ্চলিকতা কী? জবাবে তিনি বলেন অন্যায়ভাবে স্বগোত্রীয়দের সাহায্য ও পক্ষ সমর্থন করা।" (আবু দাউদ)
হযরত রাসূলে করীম (স)-এর পূত পবিত্র জীবনে কতগুলো ঘটনা এমন ঘটেছে যে, তাঁর দরবারে মামলা বিচাতের বাসলে দায়ের করার আর বাদী বিবাদীর মধ্যে এক পক্ষ মুসলিম আরেক পক্ষ অমুসলিম। রাসূলুল্লাহ (স) সাক্ষী গ্রহণের পর অমুসলিম ব্যক্তির পক্ষে রায় প্রদান করেন।
দলীয় লোকের ভালবাসা তাঁকে ন্যায়বিচার থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেনি।
প্রিয়নবী (স) দূর বা নিকট সকলের প্রতি সমভাবে বিচার করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি এরশাদ করেছেন:
"উবাদাহ ইবনে সামিত (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, প্রিয়নবী (স) এরশাদ করেছেন: "আল্লাহর নির্ধারিত শান্তি জারী কর এবং তাতে দূর ও নিকটের মধ্যে কোন প্রকার পার্থক্য কর না।"
বিচারব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার
মদীনা ইসলামি রাষ্ট্রে বিচার ব্যবস্থা দীর্ঘসূত্রিতা পরিহার করা হত। যাতে করে অত্যাচারিতের প্রতি সঠিক ও যথাযথ ও সময়মত হলেই মহানবী সহযোগিতা দেখানো সম্ভব হয়। তাই কোন মামলা দায়ের করা (স) সঙ্গে সঙ্গে মিমাংসা করে দিতেন মুসলিম শরীফে আবু হায়দারের ঘটনা এখানে উল্লেখযোগ্য। মহানবী (স) কাছে রাস্তায় বা মসজিদে বা যে কোন জায়গায় বিচার চাওয়া হলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে ঐস্থানে বসেই বিচার কার্য সম্পাদন করে ফেলতেন।
ইমাম বুখারী, বুখারী শরীফের আহকাম অধ্যায় এ সম্পর্কে পৃথক পৃথক পরিচেছদ রচনা করেছেন। বিচার ক্ষেত্রে বর্তমান যুগে যেভাবে দীর্ঘ সূত্রিতাকে প্রশ্রয় দেয়া হয় মহানবী (স) এই দীর্ঘসূত্রিতা বা বিলম্বকে আদৌ রবদাশত করতেন না।
বিচারপ্রার্থীকে কোন অর্থ ব্যয় করতে হত না
এই বিচার-ব্যবস্থার আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল বিচার লাভের জন্য ফরিয়াদীকে কোন অর্থ-সম্পদও ব্যয় করতে হত না। কেননা, যে মজলুম, তার হক বা অধিকারই হল বিচার পাওয়া। এই সম্পর্কে প্রিয়নবী (স) সতর্ক বাণী উচ্চারু করে বলেছেন:
"মজলুমের ফরিয়াদ অবশ্যই গৃহীত, যদিও সে পাপী হয়।"
বাদী-বিবাদী উভয়ের প্রতি সমদৃষ্টি প্রদান
মদীনা ইসলামি রাষ্ট্রে বিচার ব্যবস্থা এমন ছিল যে, বিচার চলাকালীন সময়ে বিচারক বাদী বিবাদী উভয়ের সঙ্গে সর্ববিষয়ে সমান ব্যবহার করতেন। উভয় পক্ষকে সমান মর্যাদা দেওয়া হত, সমভাবে আলাপ আলোচনা করা হত।
মহানবী (স) শুধু এক পক্ষের কথা শুনেই মতামত দিতেন না। তিনি বলেছেন-
"অধিকারীর তথা বাদীর কিছু বলার অধিকার রয়েছে। " (মুসলিম)
যোগ্য, অভিজ্ঞ ও ন্যায়পরায়ন বিচারক নিয়োগ
মদীনা ইসলামি রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থার সঠিক পরিচালনার জন্য মহানবী (স) ন্যায়পরায়ণ যোগ্য, অভিজ্ঞ ও বিজ্ঞ ব্যক্তিকে বিচারক নিয়োগ করতেন। এ পাঠের শুরুতে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাঁরা সমগ্র মুসলিম মিল্লাতের কাছে যোগ্য ও ন্যায়পরায়ণ ছিলেন।
সত্য সাক্ষ্য নিশ্চিত করা
বিচার কার্য পরিচালনায় মহানবী (স) সাক্ষ্য গ্রহণ করতেন তবে তিনি সাক্ষ্যের সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতেন। সত্য সাক্ষ্যের গুরুত্ব আরোপ করতে গিয়ে তিনি বলেছেন-
"আল্লাহর শপথ আমি অন্যায়ের পক্ষে সাক্ষ্য দেব না।" (মুসলিম)
মিথ্যা সাক্ষ্যকে তিনি বলেন,
"সাবধান। মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান মহাপাপ। (বুখারী)
বিচারককে রাগন্বিত অবস্থায় রায় দেয়া নিষেধ-
বিচারকগণ স্বাভাবিক অবস্থায় রায় প্রদান করতেন, রাগান্বিত অবস্থায় রায় প্রদান অগ্রহণযোগ্য ছিল। এ প্রসঙ্গে মহানবী (স)-এর বাণী-
"বিচারক যেন রাগান্বিত অবস্থায় রায় প্রদান না করে।" (বুখারী)
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url