ইসলামি রাষ্ট্রের সামরিক ব্যবস্থা
এই আর্টিকেলটিতে ইসলামি রাষ্ট্রের সামরিক ব্যবস্থার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করতে পারবেন, ইসলামি রাষ্ট্রের সামরিক প্রধানের কাজ কি তা বর্ণনা করতে পারবেন, ইসলামি রাষ্ট্রে সামরিক বাহিনীর লক্ষ্য-উদ্দেশ্য কি তা বর্ণনা করতে পারবেন, ইসলামি রাষ্ট্রের সামরিক ব্যবস্থা সুদৃঢ় করণের উপায় বর্ণনা করতে পারবেন।
সামরিক ব্যবস্থার গুরুত্ব
প্রত্যেক স্বাধীন জনগোষ্ঠীর স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব তার সামরিক বিভাগের উপর নির্ভরশীল। যে জনগোষ্ঠী শত্রুর আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে যতবেশী সক্ষম ও শক্তিশালী, তার স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব ততো বেশি সুসংহত। এদিক থেকে প্রত্যেকটি স্বাধীন জনগোষ্ঠীর জন্য একদল সুদক্ষ ও প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত সামরিক বাহিনীর বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচ্য। জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে শত্রুমুক্ত করা এবং স্বাধীনভাবে নিশ্চিন্তে জীবন যাপনের নিশ্চয়তাদানই সামরিক বাহিনীর একমাত্র কাজ। জনগণ ও দেশের স্বাধীনতার বিশ্বস্ত প্রহরী হচ্ছে সামরিক বাহিনী। কাজেই এ বিভাগের গুরুত্ব খুব সহজেই অনুধাবন করা যায়।
সামরিক তৎপরতার লক্ষ্য
ইসলামি রাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী প্রকৃতপক্ষে দেশ, জাতি ও জাতীয় আদর্শের অতন্দ্র প্রহরী। তারা জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার কাজে সদা নিয়োজিত থাকে। মূলত তারা দীনের মুজাহিদ। ইসলামের প্রাথমিক এবং পরবর্তী সময়ের ইসলামি জীবনধারা লক্ষ্য করলেই বুঝতে বেগ পেতে হবে না যে, মুসলমানদের সামরিক তৎপরতা কত অনন্য। বস্তুত কুরআন মাজীদ অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভাষায় সামরিক বিষয়াদি নিয়ে কথা বলেছে এবং এর বাস্তব দিক সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। তীর নিক্ষেপ, অশ্বারোহণ ও অস্ত্র পরিচালনা শিক্ষালাভ ও শিক্ষাদান এবং সামরিক তৎপরতায় লিপ্ত থাকার বিষয়ে ইসলাম বিশেষভাবে গুরুত্ব প্রদান করেছে। আল্লাহ বলেন-
"অভিযানে বেরিয়ে পড়, হালকা অবস্থায় হোক অথবা ভারী অবস্থায় এবং সংগ্রাম কর আল্লাহর পথে তোমাদের সম্পদ ও জীবন দ্বারা। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।" (সূরা আত-তাওবা: ৪১) অপর এক আয়াতে আল্লাহ বলেন-
"এবং জিহাদ কর আল্লাহর পথে, যেভাবে জিহদ করা উচিত। তিনি তোমাদেরকে মনোনীত করেছেন।" (সূরা আল-হাজ্জ ৭৮)
এ জিহাদের নির্দেশ সর্বপ্রথম এসেছিল মহানবী (স) এবং তাঁর সাহাবীগণের প্রতি। তাঁরা এ নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করেছেন। তবে এ নির্দেশ সর্বজনীন। পৃথিবীতে যতদিন ঈমানদার লোকদের অস্তিত্ব আছে, ততো দিন কুরআন আছে আর যতদিন কুরআন আছে ততোদিন জিহাদের নির্দেশও আছে। মুজাহিদদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ বলেন-
"যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপর যারা জিহাদ করে তাদেরকে আল্লাহ শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন।" (সূরা আন-নিসা: ৯৫) ফলে ইসলামি রাষ্ট্রের সমগ্র মুসলমানই হচ্ছে সেই রাষ্ট্রের সেনাবাহিনী, বর্তমান যুগে দুনিয়ার প্রত্যেক স্বাধীন রাষ্ট্রেই একটা সুসংগঠিত সেনা রয়েছে। সেনাবাহিনী তারা দিবানিশি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কাজে ব্যস্ত থাকে আর তাদের জন্য বরাদ্দ থাকে জাতীয় বাজেটের শতকরা আশি ভাগ। এরা এমনি একটি পেশাদার সেনাবাহিনী যাদের একমাত্র কাজ হচ্ছে যুদ্ধ করা। ইসলামের দৃষ্টিতে এহেন তৎপরতা কাম্য নয়। তবে বর্তমান চাহিদা অস্বীকার করা যায় না। মোটকথা ইসলামে সামরিক কার্যক্রমের উদ্দেশ্য দেশ দখল নয়, জাতির পর জাতিকে গোলাম বানানো নয়। এক কথায় বলতে গেলে ইসলাম ও মুসলমানের প্রতিরক্ষাই হচ্ছে সামরিক তৎপরার একমাত্র লক্ষ্য।
ইসলামি রাষ্ট্রের সামরিক তৎপরতাকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়-
১। ইসলামি দেশ ও রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা এবং বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা করা।
২। পরাধীন ও দুর্বল লোকদেরকে স্বৈর শাসনের নিপীড়ন থেকে মুক্ত করা যেন তারা নিজেদের পছন্দমত যে কোন জীবন বিধান বা ধর্ম গ্রহণ করে স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করার সুযোগ পায়।
প্রথম প্রকারের সামরিক তৎপরতা সম্পর্কে কুরআন মাজীদে এসেছে:
"হে ঈমানদারগণ। তোমরা ধৈর্যধারণ কর, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কর এবং সদা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাক, আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।" (সূরা আলে-ইমরান: ২০০)
আর দ্বিতীয় পর্যায়ের সামরিক তৎপরতা চালাবার জন্য কুরআন মাজীদ বিশেষভাবে আহবান জানিয়েছে।
"তোমাদের কী হল যে, তোমরা যুদ্ধ করছ না আল্লাহর পথে এবং অসহায় নরনারী এবং শিশুদের জন্য, যারা বলে, হে আমাদের প্রতিপালক। এই জনপদ-যার অধিবাসী যালিম, তা হতে আমাদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাও এবং তোমার নিকট থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার নিকট হতে কাউকে আমাদের সাহায্যকারী পাঠাও।" (সূরা আন-নিসা: ৭৫)
মুসলিম মুজাহিদগণ যখন তদানীন্তন পারসিকদের উপর আক্রমণ পরিচালনা করেছিলেন তখন পারসিক রাজা রুস্তম তাদের আক্রমণের লক্ষ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে মুসলিম বাহিনীর মুখপাত্র বলেছিলেন,
"আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, আল্লাহর বান্দাদেরকে তাদের মত বান্দাদের গোলামী থেকে মুক্ত করে একমাত্র আল্লাহর বান্দা বানিয়ে দেয়া, একমাত্র আল্লাহর বান্দা হয়ে জীবন যাপনের সুযোগ করে দেয়া।"
সামরিক ব্যবস্থা সুদৃঢ় করণের উপায়
সামরিক ব্যবস্থার ব্যাপারে শত্রুদের গতিবিধি সম্পর্কে সদা সতর্ক থাকা এবং তার মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ আদর্শবাদী ইসলামি রাষ্ট্রের একান্ত করণীয়। এক কথায় বলা যায়, দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রতি কোনরূপ অবজ্ঞা ও গাফিলতি প্রদর্শন কিংবা অসতর্ক থাকা ক্ষমাহীন অপরাধ। এ ব্যাপারে দায়িত্বশীলদের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যাবশ্যক।
মনোবল ও মানসিক শক্তি চাঙ্গা রাখা
প্রতিরক্ষার কথা চিন্তা করলেই সর্বাগ্রে আমাদের মানসপটে ভেসে উঠে সামরিক বাহিনী, অস্ত্র-শস্ত্রের বিপুল সম্ভার ও বৈষয়িক সাজ-সরঞ্জামের কথা। মনে করা হয়, এগুলো পুরোপুরি বিদ্যমান থাকলে অন্য কিছুর প্রয়োজন নেই, আর এগুলোর ব্যবস্থা না হলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সমরবিদদের মতে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জনগণের মনোবল ও মানসিক শক্তি, তারপর নৈতিক শক্তি এবং সর্বশেষে অস্ত্র-শস্ত্র ও সাজ-সরঞ্জামের শক্তি। তাদের মতে-বস্তুগত শক্তির অপ্রতুলতার কারণে পরাজয়ের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে খুব কমই ঘটেছে। পরাজয়ের প্রকৃত কারণ হয়ে থাকে মূলতঃ মানসিক ও নৈতিক শক্তির দুর্বলতার কারণে। মানসিক ও নৈতিক শক্তির অধিকারী জাতিগুলো জয়ী হয় সেসব জাতির উপর যারা মানসিক ও নৈতিক দিক থেকে অপেক্ষাকৃত দুর্বল, যদিও তাদের বৈষয়িক শক্তির বিপুলতা বিরাজিত। ইসলামের ইতিহাসে এর অসংখ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। কুরআন মাজীদে আছে-
"এবং তোমাদের মধ্যে ধৈর্যশীল একশতজন থাকলে তারা দুই'শত জনের উপর বিজয়ী হবে। আর তোমাদের মধ্যে এক হাজার থাকলে আল্লাহর সাহায্যে তারা দুই হাজারের উপর বিজয়ী হবে। আর আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন।" (সূরা আনফাল ৬৬)
অন্যত্র আছে-
"তোমরা হীনবল হয়ো না এবং দুঃখিত ও হয়ো না; তোমরাই বিজয়ী হবে যদি তোমরা মুমিন হও।” (সুরা আলে-ইমরান ১৩৯)
ঐক্য ও শৃঙ্খলা অটুট রাখা
নিয়ম-শৃঙ্খলা ছাড়া সেনাবাহিনীর ধারণাই করা যায় না। মনীষী সক্রেটিস বলেছেন-
"সেনাবাহিনীর জন্য নিয়ম-শৃঙ্খলার সুষ্ঠুতা একান্ত অপরিহার্য। শৃঙ্খলাহীন সেনাবাহিনী মানুষের একটা ভীড় মাত্র। ইট, চুনা, বালু ও অন্যান্য সামগ্রী যেমন আপন হতেই ইমারত নির্মাণ করে দেয় না, অনুরূপভাবে জনতার কোন ভীড়ও 'সেনাবাহিনী' নামে অভিহিত হতে পারে না।"
বস্তুত সেনাবাহিনী যতই সুসংগঠিত ও সুসংহত হবে তা ততো শক্তিশালী হয়ে উঠবে। কোন জাতির সেনাবাহিনী যদি সুশৃঙ্খল হয় তাহলে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে। পক্ষান্তরে কোন জাতির মধ্যে বিরোধ ও প্রতিহিংসা যদি ক্রমশ প্রবল হয়ে উঠতে থাকে তাহলে শুধু এ কারণেই একটি জাতির ললাটে পরাজয়ের কালিমা লেগে যেতে পারে। তাই সেনাবাহিনীকে ঐক্য বজায় রাখার জন্য মহান আল্লাহ ঘোষণা করেছেন
'তোমরা পরস্পর ঐক্যবদ্ধ থাক'। (সূরা আলে-ইমরান-২০০)
কুরআন মাজীদে আরও এসেছে-
"হে মুমিনগণ। তোমরা যখন কোন দলের সম্মুখীন হবে তখন অবিচলিত থাকবে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করবে, যাতে তোমরা সফলকাম হও। তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করবে ও নিজেদের মধ্যে বিবাদ করবে না। বিবাদ করলে তোমরা সাহস হারাবে এবং তোমাদের শক্তি বিলুপ্ত হবে। তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।" (সূরা আল-আনফাল ৪৫-৪৬)
শত্রুর মোকাবিলায় বৈষয়িক শক্তি অর্জন
যুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য যুদ্ধের অস্ত্র-শস্ত্র ও সাজ-সরঞ্জাম এবং উপযুক্ত যান-বাহনের পুরোপুরি ব্যবস্থা থাকা একান্ত আবশ্যক। কুরআন মাজীদে এ পর্যায়ে নির্দেশ দেয়া হয়েছে-
"তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব বাহিনী প্রস্তুত রাখবে এবং এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত সন্ত্রস্ত করবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে এবং এতদ্ব্যতীত অন্যদেরকে যাদের বিষয় তোমরা জান না, আল্লাহ তাদের সম্পর্কে অবহিত আছেন। আল্লাহর পথে তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তার পূর্ণ প্রতিদান তোমাদের দেয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি অবিচার হবে না।" (সূরা আল-আনফাল ৬০)
শত্রুর হামলা হতে রক্ষা করতে পারে এমন সর্বপ্রকারের অস্ত্র-শস্ত্র তা যাই হোক না কেন- সংগ্রহ করা এবং তা দ্বারা সেনাবাহিনীকে সজ্জিত করে সদা প্রস্তুত রাখারই নির্দেশ অত্র আয়াতে প্রদান করা হয়েছে।
সামরিক ব্যবস্থা সম্পর্কে কুরআন-হাদীসের বক্তব্য
ইসলামি রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকই সামরিক বাহিনীর সদস্য। রাষ্ট্র যদি কখনো কোন শত্রু-রাষ্ট্র কর্তৃক আক্রান্ত হয় তখন সাধারণভাবে সকলের উপর আল্লাহর এই নিদের্শের বাস্তবায়ন অপরিহার্য হয়ে পড়ে।
"তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যারা করে তোমরাও তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর।" (সূরা আল-বাকারা ১৯০)
"হে মুমিনগণ। সতর্কতা অবলম্বন কর, অতঃপর হয় দলে দলে বিভক্ত হয়ে অগ্রসর হও অথবা একত্রে অগ্রসর হও।" (সূরা আন-নিসা ৭১)
শত্রুর আক্রমণ হতে আত্মরক্ষার জন্য রাষ্ট্রের সীমান্ত প্রহরা প্রতিরক্ষার দৃষ্টিতে অতীব জরুরি কাজ। এ পর্যায়ে মহানবী (সা.) বলেছেন-
"আল্লাহর পথে একদিন সীমান্ত পাহারা দেয়া সমগ্র দুনিয়া ও তার উপরে অবস্থিত সব জিনিস হতে উত্তম।" (বুখারী ও মুসলিম)
ইসলামে রাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার গুরুত্ব এত বেশি এ কারণে যে, দেশ রক্ষার সাথে সাথে ইসলামের হিফাযতের বিষয়টিও ওৎপ্রোতভাবে জড়িত। একাজ সকল মুসলমানের স্থায়ী কর্তব্যের অন্তর্ভুক্ত। কেননা যখন সাধারণ ঘোষণা দেয়া হবে যে, দেশ আক্রান্ত হয়েছে এবং জনগণকে তাতে যোগদান করার জন্য সাধারণভাবে আহবান জানান হবে তখন যুদ্ধে সক্ষম প্রতিটি মুসলমানের তাতে যোগদান করা ফরযে আইন হয়ে যায়। ইসলামি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষার সাথে সাথে যাবতীয় দুর্যোগ সফলভাবে উত্তরণের লক্ষ্যে প্রতিটি মুসলমানকে একজন সুদক্ষ সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে। মহানবী (স.) কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামি রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত সেনাবাহিনী না থাকলেও প্রয়োজনের তাগিদে প্রত্যেক সক্ষম মুসলমান মুজাহিদ স্বতঃস্ফ র্তভাবে রণাঙ্গণে উপস্থিত হয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতেন। মহানবী (সা) স্বয়ং ছিলেন প্রতিরক্ষা বিভাগের সর্বাধিনায়ক। সৈন্যগণ ছিলেন পদাতিক, অশ্বারোহী, তীরন্দাজ ও বর্মধারী।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url