ইসলামী রাষ্ট্রের ভূমি রাজস্ব

এই আর্টিকেলটিতে ভূমি রাজস্ব নির্ধারনের বিধান সম্পর্কে লিখতে পারবেন, ওশরী ও নিসফে ওশরী জমির মাঝে পার্থক্য করতে পারবেন, ওশর ও খারাজের মধ্যে পার্থক্য বলতে পারবেন।

ভূমি রাজস্ব

জমি (ভূমি) যার উপর আমরা ঘর বাড়ি তৈরি করি, ফসল উৎপাদন করি, মিল-কারখানা স্থাপন করি এর প্রকৃত মালিক আল্লাহ তাআলা। তিনি মানুষের সাময়িক ভোগের জন্য (ভূমি) সৃষ্টি করেছেন।

 আল্লাহ বলেন- 

"পৃথিবীকে তোমাদের জন্য বিছানা করেছেন।" (সূরা আল-বাকারা: ২২)

প্রত্যেক মানুষ ব্যক্তিগতভাবে খন্ড খন্ড ভূমি ভোগ দখলের মালিক হলেও ইসলামী রাষ্ট্র আল্লাহর পক্ষ থেকে তাঁর খিলাফতের দায়িত্ব পালন করে বিধায় তার উপর রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ও অধিকার বিরাজমান। তাই জনসাধারণকে ভূমি ভোগের বিনিময়ে এক ধরনের কর প্রদান করা আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় যেমন ভোগকারীর উপর কর্তব্য, ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থায়ও অনুরূপ কর্তব্য।

ভূমি রাজস্ব

রাষ্ট্রের সকল প্রকার ভূমি ভোগ করার বিনিময়ে ভোগদখলকারী ব্যক্তি রাষ্ট্রকে যে কর প্রদান করে তাকে ভূমি রাজস্ব বলে।

ভূমির শ্রেণি বিভাগ

ইসলামী রাষ্ট্রের ভূমিকে প্রধানত দু'ভাগে বিভক্ত করা যায়- ওশরী জমি ও খারাজী জমি।

যে জমির মালিক মুসলমান অথবা মুসলমানই যে জমি সর্ব প্রথম আবাদ ও চাষোপযোগী করে তুলেছে, অথবা যথারীতি যুদ্ধ করে যে সব জমি মুসলমানগণ দখল করেছে, এককথায় যে জমির মালিক মুসলমান তা ওশরী হিসেবে গণ্য।

আরো পড়ুন:

খারাজী জমি

আর যে সকল জমির মালিক অমুসলিম, অমুসলিমগণই যে জমি আবাদ ও চাষোপযোগী করে তুলেছে অথবা ইসলামী রাষ্ট্র যেসব জমি অমুসলিমদের কাছ থেকে যুদ্ধের মাধ্যমে লাভ করার পর তাদের মতামত নিয়ে তাদেরকে চাষাবাদ করার জন্য হস্তান্তর করে দিয়েছে তা সবই 'খারাজী' জমি হিসেবে পরিচিত।

ওশরী ও খারাজীর নামকরণ

"ওশর" শব্দটি আরবী। এর অর্থ হচ্ছে এক-দশমাংশ। মুস্লমানদের চাষাবাদকৃত জমিতে ফসলের এক-দশমাংশ (ওশর) বা এক-দশমাংশের অর্ধেক (নিসফুল ওশর) পরিমাণ রাজস্ব গ্রহণ করা হয় বলে উহাকে ওশরী জমি বলে।

আর "খারাজ" শব্দটি আরবী শব্দ। খারাজা থেকে উৎপত্তি। খারাজা শব্দের অর্থ হল কর। যেহেতু অমুসলিমদের জমির উপর কর ধার্য করা হয় তাদেরকে ফসলের অংশ বিশেষ কর দিতে হয় না তাই তাদের ভোগকৃত জমিকে খারাজী জমি বলে। তবে অমুসলিমদের যে সব জমি মুসলমানদের হস্তগত হয়েছে তা যদি মুসলমানরা অমুসলিমদেরকে ফসলের অংশ বিশেষের ভিত্তিতে সাময়িকভাবে বর্গা চাষের জন্য প্রদান করে তাহলে অমুসলিমগণ ফসলের অংশ বিশেষ ইসলামী রাষ্ট্রকে প্রদান করবে (খায়বারের দখলকৃত জমিতে মহানবী (স.) তাই করেছেন)।

আরো পড়ুন:

ভূমি রাজস্বের আইনগত ভিত্তি

ইসলামী রাষ্ট্রের আয়ের উৎস হিসেবে ভূমির উপর রাজস্ব ধার্য করা হয়। আল্লাহ তাআলা ভূমি রাজস্ব সম্পর্কে কুরআন মাজীদে বলেন-

"হে মুমিনগণ! তোমরা যা উপার্জন কর এবং আমি যা ভূমি হতে উৎপন্ন করে দেই তন্মধ্যে যা উৎকৃষ্ট তা ব্যয় কর।" (সূরা আল-বাকারা: ২৬৭)

এই আয়াতের প্রথম অংশ হতে প্রমাণিত হয় যে, যাবতীয় নগদ ধন-সম্পদ বা টাকা পয়সার উপর যাকাত ফরয হয়। শেষাংশ হতে ভূমি রাজস্ব বা ওশর দেয়ার আদেশ প্রমাণিত হয়। মুসলমানদের জমি থেকে রাজস্ব হিসেবে যে ফসল নেয়া হয় তা ভূমির যাকাত হিসেবে গণ্য।

ভূমি রাজস্ব আদায় করার আদেশ নিম্নলিখিত আয়াতে অধিক সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। আল্লাহ বলেন-

"এর ফল আহার করবে আর ফল তোলবার দিনে এর হক প্রদান করবে এবং অপচয় করবেনা; নিশ্চয় তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না।" (সূরা আল-আন'আম: ১৪১)

এখানে 'হক' অর্থ জমির ফসল ভোগ করার বিনিময়। এটা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত এবং ইসলামী রাষ্ট্রের বায়তুলমালে এটা আদায় করতে হবে।

ভূমি রাজস্বের প্রকার

ইসলামী রাষ্ট্রের ভূমি থেকে তিন ধরনের রাজস্ব আদায় করা, হয়। (১) ওশর, (২) নিসফুল ওশর, (৩) খারাজ।

ওশর

পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে যে, ওশর মানে এক-দশমাংশ। মুসলমানরা যে সকল জমির মালিক এবং যা আবাদ ও চাষোপযোগী করা হয়েছে। চাষাবাদ করার সময় নিজের খরচে সেচ দেয়ার প্রয়োজন হয়নি বরং উক্ত জমি বৃষ্টি, ঝর্ণাধারা বা নদীর পানিতে সেচের কাজ সম্পাদিত হয়েছে। এ ধরনের জমিতে ওশর বা এক-দশমাংশ ফসল ইসলামী সরকারকে ভূমি রাজস্ব হিসেবে দিতে হয়। এ ব্যাপারে রাসূল (স.) ইরশাদ করেন

"যে সকল জমি বৃষ্টি, ঝর্ণাধারা বা খালের পানিতে সিক্ত হয় কিংবা যা সাধারণত সিক্ত থাকে সে জমিতে উৎপাদিত ফসলের এক-দশমাংশ এবং যে জমি পানি সেচের মাধ্যমে সিক্ত হয় তার বিশ ভাগের এক ভাগ ফসল রাজস্বরূপে দিতে হবে।" (আবু দাউদ)

হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল (রাঃ)-কে ইয়ামেনের শাসনকর্তা নিযুক্ত করে নবী করীম (স) যে নিয়োগ পত্র দিয়েছিলেন তাতে তিনি বলেন-

"মুসলমানদের জমি হতে উৎপাদিত ফসলের এক-দশমাংশ রাজস্ব বাবদ আদায় করবে। এ রাজস্ব সে জমি হতে গ্রহণ করা হবে, যা বৃষ্টি বা ঝর্ণার পানিতে স্বাভাবিকভাবে সিক্ত হয়, কিন্তু যে সব জমিতে স্বতন্ত্রভাবে বালতি, পাওয়ার পাম্প ইত্যাদি দ্বারা পানি দিতে হয় তা হতে এক-দশমাংশের অর্ধেক- (বিশ ভাগের এক ভাগ) রাজস্ব বাবদ আদায় করতে হবে।

অনুরূপভাবে হেমইয়ার-এর রাজার নিকট প্রেরিত ফরমানেও রাসূল (স) বলেছিলেন, "আল্লাশ এবং তার 'রাসূলের আনুগত্য স্বীকার কর, নামায পড়, যাকাত দাও, গণীমতের মাল হতে এক-দশমাংশ আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের জন্য আদায় কর। এতদ্ব্যতীত ভূমি রাজস্বও দিতে থাক। যে ভূমি বৃষ্টি বা ঝর্ণার পানিতে বিনা পরিশ্রমে ও অতিরিক্ত ব্যয় ব্যতীত সিক্ত হয়, তার এক-দশমাংশ ফসল এবং সেচ ব্যবস্থার সাহায্যে কৃত্রিম উপায়ে সিক্ত জমির বিশ ভাগের এক ভাগ ফসল ভূমি রাজস্ব বাবদ আদায় করতে থাক।"

নবী করীম (স) হযরত মুয়ায ইবন জাবাল (রা) কে ইয়ামেনের ট্যাক্স কালেক্টর হিসেবে নিযুক্ত করে পাঠিয়ে ছিলেন এবং খেজুর, গম, যব, আংগুর বা কিশমিশ হতে এক-দশমাংশ বা উহার অর্ধেক রাজস্ব বাবদ আদায় করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

ধান, গম, ভুট্টা, কিশমিশ ইত্যাদির ন্যায় সবজি ও বাগানের অন্যান্য গাছ গাছালীও এর আওতাভুক্ত। কারণ রাসূল স বলেছেন-

"জমিতে যাই উৎপাদিত হবে তাতেই এক-দশমাংশ রাজস্ব ধার্য হবে।"

এমনকি জমির ফসলের ফুল থেকে উৎপাদিত মধুতেও রাজস্ব হিসেবে ওশর আদায় করতে হবে। কেননা রাসূল (স.) মধু থেকেও ওশর আদায় করেছেন।

নিসফুল ওশর

মুসলমানদের ভোগকৃত এক ধরনের জমি আছে যাতে ফসল উৎপন্ন করতে নিজের খরচে সেচের ব্যবস্থা করতে হয়। এ ধরনের জমির উৎপাদিত ফসলে নিসফুল ওশর বা উৎপাদিত ফসলের বিশ ভাগের একভাগ রাজস্ব আদায় করতে হয়। এ সম্পর্কে রাসূল স. এর বাণী-

"যে জমি কোন প্রকারের সেচের মাধ্যমে সিক্ত করা হয় তার বিশভাগের একভাগ ফসল ভূমি রাজস্ব হিসেবে দিতে হয়।"

আমাদের দেশের অধিকাংশ জমি নিসফুল ওশর জাতীয় জমি। অর্থাৎ যেহেতু আমাদের দেশের উৎপাদিত ফসলে সাধারণতঃ কৃষক নিজের তত্ত্বাবধানে পানি সেচ করে, সার ও কীটনাষক ঔষধ প্রদান করে তাই এতে বিশ ভাগের একভাগ রাজস্ব দেয়া ওয়াজিব। তবে আমন ধানও বেশ কিছু ফলফলাদি উৎপাদনে কৃষককে ভূমিতে কোন সেচ করতে হয় না সে সব ফসলে দশভাগের এক ভাগ ভূমি রাজস্ব দিতে হবে।

বর্তমানে জমির যে ভূমি রাজস্ব আমাদের দেশে চালু আছে তা ইসলামী অর্থনীতিতে নিসফুল ওশরের পরিপুরক নয়।

আরো পড়ুন:

পার্থক্যের কারণ

মুসলমানদেরকে উপরে বর্ণিত দু'ধরনের জমির ওপর ওশর এবং নিসফুল ওশর রাজস্ব প্রদান করতে হয়। এ পার্থক্যের কারণ বর্ণনায় ইসলামী আইনজ্ঞগণ বলেন-

"কারণ শেষোক্ত জমিতে অধিক শ্রম নিয়োগ করতে হয়; কিন্তু প্রথম প্রকার জমি বৃষ্টি বা ঝর্ণার পানিতে স্বাভাবিকভাবেই সিক্ত হয় বলে তাতে কম শ্রমের প্রয়োজন হয়।"

এ সম্পর্কে ইমাম খাত্তাবী (র.) বলেন, যে জমিতে ফসল ফলাতে শ্রম ও ব্যয় কম হয় এবং লাভ বেশী হয় তাতে নবী করীম (স.) গরীবদের পাওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করেছেন। আর যে জমিতে ফসল ফলাতে শ্রম ও ব্যয় বেশি হয় সে জমিতে গরীবদের পাওনার পরিমাণ কম করে দিয়েছেন। জমির মালিকদের প্রতি অনুগ্রহ দেখান হয়েছে আর এটিই যুক্তিযুক্ত।

খারাজ

পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইসলামী রাষ্ট্রের অমুসলিমদের মালিকানা ও ভোগাকৃত জমি হতে যে রাজস্ব আদায় করা হবে তাকে খারাজ বলে।

খারাজের পরিমাণ কি হবে সে ব্যাপারে ফিকহবিদদের পক্ষ থেকে নির্দিষ্টভাবে কিছুই বলা হয়নি। তাই খারাজের পরিমাণ ধার্য করার ভার ইসলামী রাষ্ট্রের উপরই ন্যস্ত।

সরকার জমির গুণাগুণ বিবেচনা করে সময় ও অবস্থার চাহিদার আলোকে পার্লামেন্টের সাথে আলোচনা করে খারাজের পরিমাণ নির্ধারণ করবেন। খারাজ নির্ধারণের ক্ষেত্রে যাতে কোনভাবেই অমুসলিমদের উপর জুলুম না হয়, সেদিকে রাষ্ট্রপ্রধান অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।

এজন্য খারাজের পরিমাণ নির্ণয়ের বেলায় একটা বিশেষজ্ঞ কমিটি করা যেতে পারে। তারা অমুসলিমদের সকল জমি জরিপ করবেন, কি কি গুণাগুণ সম্পন্ন জমি আছে তার পার্থক্য করবেন, উর্বরতার পার্থক্য দেখবেন, প্রয়োজনীয় চাষের পরিমাণের পার্থক্যের প্রতি লক্ষ্য রাখবেন, এমনকি পানি সেচের আবশ্যকতা ও অনাবশ্যকতার পার্থক্যের প্রতিও লক্ষ্য রাখবেন কোন জমিতে কি পরিমাণ খারাজ (রাজস্ব) নির্ধারণ করলে প্রজাদের উপর অন্যায় হয় না তার একটি সুপারিশ উক্ত কমিটি সরকারকে পেশ করবেন। আর সে আলোকে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

অমুসলিমদের ভূমি রাজস্ব বা খারাজ টাকার মাধ্যমে যেমন গ্রহণ করা যেতে পারে অনুরূপভাবে সরকার ইচ্ছে করলে তা ফসলের মাধ্যমেও গ্রহণ করতে পারেন। তবে খারাজ আদায়ের জন্য এমন সময় নির্ধারণ করবেন যাতে প্রজাদের রাজস্ব আদায়ে কোন প্রকার কষ্ট না হয়।

ওশর ও খারাজের পার্থক্য

ওশর, নিসফুল ওশর এবং খারাজের মধ্য কয়েকটি বিষয়ে পার্থক্য বিদ্যমান। যেমন-

১. খারাজ আদায় করা হয় জমির ওপর এবং ওশর আদায় করা হয় জমির উৎপন্ন ফসল হতে। একাধিক সহোদর ভাইয়ের কোন 'এজমালি' জমি থাকলে এবং তাদের কেউ কেউ ইসলামে দীক্ষিত হলে- তখন ভূমি-রাজস্বও অনুরূপভাবে আদায় করতে হবে। অর্থাৎ মুসলমানের অংশ হতে ওশর এবং অমুসলিমের অংশ হতে খারাজ আদায় করা হবে।

মুসলমানদের জমি হতে 'ওশর' এবং অমুসলিমদের জমি হতে 'খারাজ' আদায় করার ব্যাপারে কোনরূপ জোর-জুলুম, অবিচার কিংবা হিংসা-বিদ্বেষের প্রশ্রয় দেওয়া যেতে পারে না। ইসলামী রাষ্ট্রে মুসলিম নাগরিকগণই প্রকৃতপক্ষে সকল প্রকার দায়িত্বের ভারপ্রাপ্ত হয়ে থাকে এবং সে জন্য তাদেরকে অন্যান্য দায়িত্ব ছাড়া রাষ্ট্রীয় প্রয়োজন পুরণের উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণে- অর্থ দানের দায়িত্ব পালন করতে হয়। কাজেই জমির রাজস্বের দিক দিয়ে সামান্য পার্থক্য হলেও মোটামুটিভাব মুসলমানকেই অধিক পরিমাণে অর্থ দান করতে হয়।

২. 'ওশর' কখনই কোন অবস্থায়ই রহিত হতে পারে না। তার পরিমাণ চির-নির্দিষ্ট তাতে হ্রাস-বৃদ্ধির অবকাশ নেই। এমনকি স্বয়ং রাষ্ট্রপ্রধান তা হতে কাউকে নিষ্কৃতি দিতে পারেন না। কারণ এটি শরীআত কর্তৃক নির্ধারিত কিন্তু প্রয়োজন হলে, উপযুক্ত কারণ থাকলে, খারাজের পরিমাণ হ্রাস-বৃদ্ধি করা, এমনকি অবস্থার প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণরূপে ক্ষমা করে দেয়ার পূর্ণ অধিকারও রাষ্ট্র প্রধানের রয়েছে।

৩. খারাজ বৎসরে একবার আদায় করা হয়, কিন্তু ওশর আদায় করা হয় প্রত্যেক ফসল হতে। বৎসরের মধ্যে যত প্রকারের ফসল যতবার ফলবে, তত প্রকার ফসলের উপর ততবারই 'ওশর' ধার্য হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url