ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের বৈশিষ্ট্য
ফরাসী পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের ক্রমবিকাশ সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করতে পারবেন; ফ্রান্সের বর্তমান সংবিধানের মূল বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করতে পারবেন; ফরাসী সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করতে পারবেন।
ভূমিকা
ভৌগলিক আয়তন ও জনসংখ্যাগত বিচারে ফ্রান্স ইউরোপের একটি ছোট দেশ হলেও এর রাজনৈতিক প্রভাব ইউরোপ ছাড়িয়ে সারা বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত। রাজনৈতিক ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ফ্রান্স অনন্য। স্বাধীনতা, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ব (Liberty. Equality and Fraternity)-এর শ্লোগানে ১৭৮৯ সালে মহান বিপ্লব সংগঠিত হয়েছিল ফ্রান্সেই। রাজতান্ত্রিক শোষণের বিরুদ্ধে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত এবং সশস্ত্র এ বিপ্লবের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল লুই সম্রাটের শাসন ও শোষণের পরিসমাপ্তি। অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে ফ্রান্সের সুদীর্ঘ ইতিহাস হলো শাসনতান্ত্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ইতিহাস। এ কারণে, ফ্রান্সকে অনেকে শাসনব্যবস্থার গবেষণাগার হিসাবে অভিহিত করার পক্ষপাতী। এছাড়াও ফ্রান্স উল্লেখযোগ্য সামরিক শক্তির অধিকারী। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর পক্ষে ফ্রান্স অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এখনও ইউরোপের একটি অন্যতম প্রধান শক্তি হিসাবে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভূমিকা রাখছে। ১৭৮৯ থেকে বর্তমান পর্যন্ত অনেক ধরনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা এখানে প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এর মধ্যে রয়েছে রাজতন্ত্র, সাধারণতন্ত্র এবং বোনাপার্টতন্ত্র। একই সাথে সচেতন জনগণের বিপ্লব এবং সামরিক ক্যু এ রাজনৈতিক ব্যবস্থায় বিদ্যমান ফলে এ পরিবর্তন দেখা গেছে। তা সত্ত্বেও ফ্রান্সের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় খুব একটা ধ্বস নামে নি। ইউরোপের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে ফ্রান্স প্রায় সব সময়ই অবস্থান করেছে। এ কারণে বলা যায় ফ্রান্সের রাজনৈতিক ব্যবস্থার আলোচনা আধুনিক রাষ্ট্রবিজ্ঞানে একটি উল্লেখযোগ্য অবস্থানের দাবীদার।
ফ্রান্সের বর্তমান সংবিধানটিকে বলা হয় পঞ্চম প্রজাতান্ত্রিক সংবিধান (The Fifth Republic)। অর্থাৎ ফ্রান্সের এ 'পঞ্চম প্রজাতন্ত্র' -এর আগে আরও চারটি প্রজাতন্ত্র বা সাধারণতন্ত্র কায়েম হয়েছিল। ফরাসী বিপ্লব সংঘটিত হয় ১৭৮৯ সালে। রাজশক্তির অপশাসন হটিয়ে মহান ফরাসী বিপ্লব যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করে তারই পথ ধরে ১৭৯২ সালে ফ্রান্সে নতুন একটি সংবিধান প্রণয়ন করা হয় এবং প্রথম প্রজাতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ১৯৪৮-এ ২য় প্রজাতন্ত্র, ১৮৭০-এ তৃতীয় প্রজাতন্ত্র, ১৯৪৬-এ চতুর্থ প্রজাতন্ত্র এবং ১৯৫৮ সালে পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের সূত্রপাত হয়। এখন আমরা পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের ক্রমবিকাশ সম্পর্কে আলোচনা করব।
আরো পড়ুন: ফ্রান্সের পার্লামেন্টে গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী
পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের ক্রমবিকাশ
ফ্রান্সের চতুর্থ প্রজাতন্ত্রের পতন হয় খুব তাড়াতাড়ি। স্বল্পস্থায়ী চতুর্থ সাধারণতন্ত্রের সংবিধানে যে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার পরিকল্পনা করা হয়েছিল তার সমগ্র পরিকল্পনাটি ছিল ত্রুটিপূর্ণ ও অসংগতিমূলক। এছাড়াও অল্প সময়ের মধ্যে ২০টি মন্ত্রীসভা গঠন, মন্ত্রীসভার সাথে জাতীয় সভার জটিল সম্পর্ক, দুর্বল ও মর্যাদাহীন সাধারণতন্ত্র পরিষদ, উপযুক্ত নেতত্বের অভাব, ফরাসী সাম্রাজ্যের দোদুল্যমান অবস্থা এবং সামরিক বাহিনীর একাংশ এবং জনগণের মধ্যে অসন্তোষ ইত্যাদি কারণে এর পতন ত্বরান্বিত হয়। ফ্রান্সের এ সংকটকালীন অবস্থায় শাসনভার গ্রহণ করার জন্য দ্য গলকে আহবান করা হয়। চতুর্থ সাধারণতন্ত্রের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ফ্লিমলিন পদত্যাগ করেন। রেনে কোটি জাতীয় নিরাপত্তার উপর জোর দেন এবং দ্য গলকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা ঘোষণা করেন। জেনারেল দ্য গল এ আবেদনে সাড়া দেন। কিন্তু তিনি দু'টি শর্ত আরোপ করেন। শর্ত ২টি হলোঃ (১) দেশের সমকালীন সংকট মোকাবিলা করার জন্য তাঁকে পরিপূর্ণ ক্ষমতা প্রদান করতে হবে; এবং (২) তাঁর সরকারকে ফ্রান্সের জন্য একটি স্থায়ী সংবিধান প্রণয়নের অধিকার দিতে হবে। জাতীয় সভা (National Assembly) এ দু'টি শর্তই স্বীকার করে নেয় এবং যাবতীয় ক্ষমতা ছ'মাসের জন্য তাঁর হাতে ন্যস্ত করা হয়। ক্ষমতাসীন হবার অব্যবহিত পরেই ফ্রান্সের জন্য একটি স্থায়ী সংবিধান প্রণয়নের ব্যাপারে দ্য গল আত্মনিয়োগ করেন। সংবিধানের মূলনীতি হিসাবে তিনি কতকগুলো মৌলিক আদর্শের কথা উল্লেখ করেন। আদর্শগুলো হল:
- ফ্রান্সে সংসদীয় বা দায়িত্বশীল শাসন ব্যবস্থার প্রবর্তন;
- গণতন্ত্রসম্মত শাসনতান্ত্রিক কাঠামো;
- সর্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে প্রতিনিধি নির্বাচনের ব্যবস্থা;
- আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে পৃথকীকরণ;
- বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্বাতন্ত্র্য সংরক্ষণ;
ফ্রান্সের মূল ভূখন্ডের সংগে ফরাসী অধ্যুষিত অন্যান্য অঞ্চলের সংযোগ সাধন। এ সকল মৌলিক সাংবিধানিক নীতিগুলোর ভিত্তিতে পঞ্চম সাধারণতন্ত্রের সংবিধান প্রণয়নের ব্যবস্থা করা হয়। এ সংবিধানের খসড়া প্রস্তুত করে একটি ক্ষুদ্র ক্যাবিনেট কমিটি। দুই মাসের মধ্যে খসড়ার কাজ সমাপ্ত হয় এবং খসড়াটি প্রকাশিত হয় ১৯৫৮ সালের জুলাই মাসে। খসড়া সংবিধানটি সাংবিধানিক পরমর্শদাতা কমিটি কর্তৃক বিবেচিত হয়। মোট ৩৯ জন সদস্য নিয়ে এ কমিটি গঠিত হয়েছিল। তার মধ্যে ২৬ জন সদস্য ছিলেন জাতীয় সভা ও সাধারণতান্ত্রিক পরিষদের প্রতিনিধি। এ কমিটির কয়েকটি ছোটখাট সংশোধনের সুপারিশগুলো সরকার মেনে নেয়। তারপর ১৯৫৮ সালের ২৮ শে সেপ্টেম্বর সংশোধিত সংবিধানটি গণভোটে পেশ করা হয়। বিপুল জনসমর্থনের ভিত্তিতে সংবিধানের খসড়াটি গণভোটে অনুমোদিত হয়। গণভোটে ভোট দাতাদের ৭৯.২৫ শতাংশ ভোট সংবিধানের সমর্থনে প্রদত্ত হয়। এ সংবিধানটি প্রবর্তিত হয় ১৯৫৮ সালের ৪ঠা অক্টোবর থেকে। ১৯৫৯ সালের জানুয়ারী মাসে জরজেস মাররান্নি (Georges Marranne) এবং আলবার্ট চ্যাটেলেট (Albert Chatelet) কে পরাজিত করে দ্য গল রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। মাইকেল দেব্রে (Michael Debre) প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের প্রথম সরকার গঠন করেন।
বর্তমান সংবিধানের মূল বৈশিষ্ট্য
ফ্রান্সের বর্তমান সংবিধানটিকে বলা হয় পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের সংবিধান। একে দ্য গল সংবিধানও (De Gaulle Constitution) বলা হয়। অন্যান্য সাধারণ সংবিধান অপেক্ষা এটি একটু জটিল। কারণ পঞ্চম সাধারণতন্ত্রের সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে পরস্পরবিরোধী রীতি-নীতিগুলোকে গ্রহণ করা হয়েছে। তার ফলে এ সংবিধানটির প্রকৃত বৈশিষ্ট্যগুলোর ব্যাখ্যা দূরহ হয়ে দাড়িয়েছে। এতে ভাষা অনেক ক্ষেত্রেই অস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্টতা ও সামগ্রিকতার অভাবও পরিলক্ষিত হয়। ফ্রান্সের পূর্বতন সংবিধান থেকে এর পার্থক্যগুলো হলো- (১) শাসন বিভাগের ক্ষমতার সম্প্রসারণ এবং প্রধানমন্ত্রী ও ক্যাবিনেটের থেকে রাষ্ট্রপতিকে বিশেষ মর্যাদা প্রদান; এবং (২) পার্লামেন্টের ক্ষমতা হ্রাস।
আরো পড়ুন: ভারতের বিচার ব্যবস্থা সুপ্রীমকোর্টের গঠন, ক্ষমতা ও কার্যাবলী
ফ্রান্সের পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নরূপ
- এ সংবিধানের একটি প্রস্তাবনা এবং ৯২টি ধারা বা অনুচ্ছেদ আছে। সংবিধানের এ ধারাগুলোকে ১৫টি অধ্যায়ে (Title Chapter) বিন্যস্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, মূল সংবিধানে ১৪টি অধ্যায় এবং ৮৯ টি অনুচ্ছেদ ছিল।
- আলোচ্য সংবিধানে তৃতীয় ও চতুর্থ সাধারণতন্ত্রের সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত মূলনীতি ও আদর্শগুলোকে অক্ষুণ্ণ রাখা হয়েছে। মানবাধিকার এবং জাতীয় সার্বভৌমিকতার উপর অবিচল আস্থা জ্ঞাপনের কথা বলা হয়েছে।
- পঞ্চম সাধারণতন্ত্রের সংবিধানে বলা হয়েছে যে ফ্রান্স হবে 'একটি অবিভাজ্য, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক ও সামাজিক সাধারণতন্ত্র'। সংবিধানের ২নং ধারায় বলা হয়েছেঃ "সরকারের মূলনীতি হবে জনগণের দ্বারা, জনগণের কল্যাণের জন্য, জনগণের শাসন"।
- সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করা হয়েছে যে জনগণই হল জাতীয় সার্বভৌমকতার অধিকারী।
- সংবিধানের ১নং ধারা এবং ৭৭ থেকে ৮৭ ধারার মধ্যে ফ্রান্সকে একটি সম্প্রদায় (Community) হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ কমিউনিটি গঠিত হবে ফরাসী সাধারণতন্ত্র এবং সমুদ্রপারের সেই সমস্ত অঞ্চলের জাতিগুলোকে নিয়ে যারা স্বাধীন সিদ্ধান্তের মাধ্যমে সংবিধান গ্রহণ করবে।
- রাষ্ট্রপতি মিতেরা (Francois Mitterand) ১৯৯২ সালের জুন মাসে একটি ডিক্রী জারি করেন। এ ক্রীর মাধ্যমে ফরাসী সংবিধানে একটি স্বতন্ত্র্য অধ্যায় যুক্ত হয়। এ নতুন অধ্যায়টির নামকরণ করা হয় ইউরোপিয়ান কম্যুনিটি ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (European Community and European Union) পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের সংবিধানে রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব ও ভূমিকাকে স্বীকার করা হয়েছে।
- এ সংবিধানে সংসদীয় শাসনব্যবস্থা ও রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থার মধ্যে এক বিরল সংমিশ্রণ সম্পাদিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতি উভয়েই শাসন ক্ষমতা ভোগ করেন এবং স্ব স্ব ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করেন।
- ফরাসী প্রজাতন্ত্রের জন্য দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট আইন সভা সংবিধান স্বীকার করে নেয়।
- আইন সভা এখানে সীমিত ক্ষমতা প্রয়োগ করে।
- ফ্রান্সের এ সংবিধানে সংসদীয় শাসনব্যবস্থার সীমিত প্রয়োগ পরিলক্ষিত হয়।
- পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের সংবিধানে গণভোটের ব্যবস্থা হলো একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এ সংবিধানে কতগুলো ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে গণভোট গ্রহণ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
- এ সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে প্রভৃত ক্ষমতাশালী করা হয়েছে। জরুরি অবস্থায় তার ক্ষমতার পরিধি বিশেষভাবে প্রসারিত হয়।
- এ সংবিধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল এর শাসনতান্ত্রিক পরিষদ (Constitutional Council)। সংবিধান বিশেষজ্ঞের মতে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান। শাসনতান্ত্রিক পরিষদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম।
- পঞ্চম প্রজাতন্ত্রের সংবিধানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে একটি বিচার বিভাগীয় উচ্চতর সংস্থা (The Higher Council of the Judiciary)। সংবিধানের ৬৭ ধারায় একটি উচ্চ আদালত সম্পর্কে বলা হয়েছে এবং সেই সাথে একটি অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের কথাও বলা হয়েছে।
- সংবিধানের ১১ ও ৮৯ নং ধারায় সংবিধান সংশোধনের ব্যাপারে দু'ধরনের পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী বা আইনসভার সদস্যদের অনুরোধক্রমে রাষ্ট্রপতি সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব আনতে পারেন। এ প্রস্তাবটি প্রথমে আইনসভার দু'টি কক্ষের প্রতিটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে গৃহীত হওয়া দরকার। রাষ্ট্রপতি এরপর কক্ষদ্বয়ের যুক্ত অধিবেশনে গণভোটের আয়োজন করেন। প্রস্তাবটি তিন-পঞ্চমাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠের ভোটে গৃহীত হলে সংবিধান সংশোধনের সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। তবে, সংবিধানের মৌল কাঠামো এবং সাধারণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ইত্যাদি কতকগুলো বিষয় সংবিধান সংশোধন দ্বারা পরিবর্তন করা যায় না।
সারকথা
ফ্রান্সের বর্তমান সংবিধান হচ্ছে পঞ্চম প্রজাতান্ত্রিক সংবিধান। চতুর্থ প্রজাতন্ত্রের পতনের পর এ সংকটকালীন সময়ে দ্য গলকে ছ'মাসের জন্য যাবতীয় ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়। তার নেতৃত্বে নতুন সংবিধান প্রণীত হয়। পঞ্চম সাধারণতন্ত্রের সংবিধানে পরস্পর বিরোধী কতগুলো নীতি গৃহীত হয়েছে। পূর্বের তুলনায় সংবিধানে শাসন বিভাগ ও রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও মর্যাদা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে জনগণকে সার্বভৌমত্বের উৎস হিসাবে স্বীকার করা হয়েছে। এতে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা এবং রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন ব্যবস্থার এক বিরল সংমিশ্রণ ঘটেছে। চতুর্থ সাধারণতন্ত্রের সংবিধানের তুলনায় এ সংবিধানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যয় সংযোজিত হয়েছে।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url